আলেশা মার্টের অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

নিরাপত্তাজনিত কারণে আলেশা মার্ট তাদের দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বুধবার রাতে আলেশা মার্টের ফেসবুক পেজে জানায়, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ও নিরাপত্তাজনিত কারণবশত আলেশা মার্টের সমস্ত অফিশিয়াল কার্যক্রম আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।’

এতে বলা হয়, ‘আমাদের অফিসে কতিপয় লোক দ্বারা অফিস কর্মকর্তাদের গায়ে হাত তোলা এবং বলপ্রয়োগের চেষ্টার কারণে আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছি। উল্লেখ্য যে, বলপ্রয়োগকারীরা আমাদের কাস্টমার নয়, তাদের পেমেন্ট শিডিউল ছিল না। এমনকি এসএমএস পায়নি। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পাওয়ার পরই পুনরায় আমাদের কার্যক্রম শুরু হবে।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ফনিক্স ফাইন্যান্সের বোর্ড সভা ৭ ডিসেম্বর

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নন ব্যাংকিং আর্থিক খাতের কোম্পানি ফনিক্স ফাইন্যান্সের চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের বোর্ড সভা আগামী ৭ ডিসেম্বর আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন বেলা  তিনটায় রাজধানীতে কোম্পানিটির নিজেদের প্রধান ভবনে এ বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) আইন-২০১৫ এর ১৬/১ অনুযায়ী, এ বোর্ড সভায় চলতি অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করবে কোম্পানি টির পরিচালনা বোর্ড।

সভাশেষে কোম্পানিটির এই প্রান্তিকের ইপিএস ও ন্যাভ শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ নিয়ে খবরটি সঠিক নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বন্ডে বিনিয়োগ শেয়ারবাজার এক্সপোজার থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে, শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাজার মূল্যে হিসাব করা হবে—মর্মে কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর ঠিক নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ তথ্য জানায়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, শেয়ারবাজারে তফসিলি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ১৯৯৩-এ শেয়ারবাজারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের বিষয়ে বিদ্যমান কতিপয় আইনি সীমাবদ্ধতার বিষয়ে বিএসইসির প্রতিনিধি দলকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সভার পরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের প্রতিনিধির বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ওই সভার কতিপয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, তা সঠিক নয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর একেএম সাজেদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে বিএসইসির সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত এ সভা কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।সভায় বিএসইসির উদ্যোগে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড গঠনের ফলে তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন এবং পুঞ্জিভূত লোকসান বিদ্যমান থাকলেও সংশ্নিষ্ট বছরের মুনাফা হতে নগদ লভ্যাংশ বিতরণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

নভেম্বরে রেমিটেন্স দেড় বছরের সর্বনিম্ন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

যেখানে করোনা শুরুর বছরে বানের ঢেউয়ের মতো প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স এসেছিল দেশে, সেখানে এখন টানা ছয় মাস ধরে শুধুই কমছে। বর্তমানে বেহালদশা প্রবাসী আয়ে। সদ্যবিদায়ী মাস নভেম্বরে যে পরিমাণ রেমিটেন্স এসেছে, তা গত দেড় বছরের সর্বনিম্ন।

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ (১.৫৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত বছরের এই মাসে রেমিটেন্স এসেছিল ২০৭ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। সে হিসাবে এবার ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকা কম। ২৫ শতাংশ কমে গেছে।

গেল নভেম্বরে আসা এই রেমিটেন্স গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে সর্বনিম্ন ১৫০ কোটি ডলার রেমিটেন্স আসে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) দেশে রেমিটেন্স আসে ৮৬০ কোটি ৮৮ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৩ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা)। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২২৮ কোটি ৫২ লাখ বা প্রায় ২১ শতাংশ কম। তার আগের অর্থবছরে (২০২০-২১) প্রথম পাঁচ মাসে আসে এক হাজার ৮৯ কোটি ৪১ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা)।

২০২০-২১ অর্থবছর অর্থাৎ করোনার শুরুর বছরে রেমিটেন্সের ঢেউ নামে। ওই অর্থবছরে যত রেমিটেন্স দেশে আসে, তা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ওই বছরে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠান প্রবাসীরা। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি ছিল।

কিন্তু দিন দিন এভাবে রেমিটেন্স আসা কমে যাওয়াকে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনার বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর হুন্ডির মাধ্যমে আবারো অর্থ লেনদেন বেড়ে গেছে। এ ছাড়া করোনাকালে যে হারে প্রবাসীরা চাকরি হারিয়েছে সেভাবে এখন নতুন নিয়োগ হয়নি। এজন্য রেমিটেন্স আসা কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/