পঞ্চাশ মাফিয়ার নিয়ন্ত্রণে ঢাকার ক্লাবপাড়া। আর এই মাফিয়াদের অধিকাংশই ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা। এই মাফিয়ারাই রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাবে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও নেপালের মতো বসিয়েছেন ক্যাসিনো। আর এই ক্যাসিনো থেকে তারা হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ।
হয়েছেন বিত্ত-বৈভবের মালিক। এরই মধ্যে তারা মোটা অঙ্কের অর্থ বিভিন্ন কৌশলে বিদেশে পাচার করেছেন।
ঢাকার ক্যাসিনোগুলোর আয়ের অর্থ তিনভাবে পাচার হচ্ছিল বিদেশে।
প্রথমত, ক্যাসিনোগুলোয় কর্মরত বিদেশি নাগরিকরা তাদের বেতন ও অংশীদারি থেকে পাওয়া অর্থ নিজ দেশে পাচার করতেন।
দ্বিতীয়ত, ক্যাসিনোগুলোর একাধিক মালিক নিয়মিত সিঙ্গাপুর, দুবাই, ব্যাংককে গিয়ে জুয়া খেলে ওড়াতেন বিপুল পরিমাণ অর্থ।
তৃতীয়ত, ক্যাসিনোর আয়ের টাকা পাচার করা হতো বিদেশে অবস্থানকারী সরকারের তালিকাভুক্ত একাধিক শীর্ষ সন্ত্রাসীর কাছে। এসব তথ্য পাওয়া গেছে ঢাকার ক্যাসিনো মালিকদের রাজনৈতিক সহযোগীদের কাছ থেকে।
পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও ক্যাসিনোসংশ্লিষ্টরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ঢাকার ক্যাসিনোগুলোয় অংশীদারির ভিত্তিতে কাজ করেন ৯ জন নেপালি নাগরিক।
ক্যাসিনো পরিচালনায় অভিজ্ঞ এসব নেপালি নাগরিকের বিভিন্ন দেশে ক্যাসিনোর ব্যবসা রয়েছে। ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশে এসে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়ে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করছেন তারা। এ ছাড়া নেপালের আরো প্রায় ২০ জন নাগরিক ঢাকার ক্যাসিনোগুলোতে কাজ করেন।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড