এনসিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেডের বিরুদ্ধে নগদ বিও হিসাবে সুদ ধার্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে। একই কারণে বিওতে থাকা সব শেয়ার হিসাবধারীকে না জানিয়ে বিক্রির অভিযোগ তুলেছেন এক বিনিয়োগকারী।
অভিযোগটি ইতোমধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানিয়েছেন মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা নামে এই বিনিয়োগকারী। ডিএসইর চীপ রেগুলেটরি অফিসার বরাবর গত ২৪ জানুয়ারি একটি লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।
এনসিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডে গ্রাহকটির বিও হিসাব নম্বর ১২০২০৯০০১৭৭৮২০৭৯৫। আর ক্লায়েন্ট কোড নম্বর ০৪১৯৯।
ভুক্তভোগী এই বিনিয়োগকারী অভিযোগ করেন, ২০১০ সালে এনসিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজে তার বিও হিসাবে ওভার পারচেজ হয়। এর পর থেকে তার বিও তে সুদ আসতে থাকে। ২ বছর পর ২০১২ সালে ব্যাংকটি তা সমাধান করে দেয় আর বিও হিসাব এভারেজ করতে বলা হয়। ব্যাংকের কথা মতো ১.৬০ লাখ টাকার শেয়ার কিনে এভারেজ করেন বলে জানান এই বিনিয়োগকারী।
দুই বছর পর ২০১৫ সালে শেয়ারের দর কমায় তাকে আবার এভারেজ করতে বলা হয় বলে লিখিত অভিযোগে জানায় এই বিনিয়োগকারী। তবে সে সময় তিনি যোগাযোগ করতে অক্ষম হন। এর পর ২০১৬ সালে মে মাসে জানতে পারেন তার বিও হিসাবে কোনো শেয়ার নেই। তার শেয়ারগুলো তাকে না জানিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে এনসিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ কর্তৃপক্ষ।
বিনিয়োগকারীদের মতে, দরপতনে যেসব বিনিয়োগকারীর হিসাবে মূলধন ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে, তাদের জানিয়ে এবং তাদের সম্মতিতেই শেয়ার বিক্রি করা হয়। লোকসান কমাতে বিনিয়োগকারীরা নিজে থেকেই শেয়ার বিক্রি করেন। এনসিসি ব্যাংক মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফাকে কিছু না জানিয়ে শেয়ার বিক্রি করে ভূল করেছে বলে সহমত পোষণ করেছেন পূঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান উর রশিদ চৌধুরী্ও।
তিনি বলেন, অব্যাহত দরপতনে এমনিতেই তারা ব্যাপক লোকসানের মধ্যে রয়েছেন। এ অবস্থায় ব্রোকারেজ হাউসগুলো মার্জিন ঋণ সমন্বয়ের নামে ফোর্স সেল অব্যাহত রাখলে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বেন। এছাড়া ফোর্স সেল অব্যাহত থাকলে বাজারে ব্যাপক ভীতি ছড়িয়ে পড়বে এবং অতিরিক্ত বিক্রির চাপে দরপতন রোধ করা সম্ভব হবে না। ফোর্স সেল নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাদের আরো সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোঃ সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, মানবিক কারণেই সব ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংককে ফোর্স সেল বা ট্রিগার সেল না করার জন্য বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা অনিয়ম সম্পর্কে কেউ অভিযোগ করলে কমিশন নিজস্ব আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/শরিফ
এবিষয়ে ব্যাংকের সাথে গ্রাহকের নাটকীয়তা জানতে সঙ্গে থাকুন….আগামী রবিবার।