গত বেশ কিছুদিন ধরেই দর পতন চলছে সেকেন্ডারি মার্কেটে। হাতেগোনা কিছু কোম্পানি ছাড়া প্রায় সব খাতের শেয়ারের দরই নিম্নমুখী রয়েছে। এই বাজার থেকে লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। উল্টো প্রতিনিয়ত হিসাব করতে হচ্ছে লোকসানের। সেকেন্ডারি মার্কেটের পতনের রেশ পড়েছে আইপিওর বাজার বা প্রাইমারি মার্কেটেও। এ বাজার থেকেও শেয়ারের কাঙ্ক্ষিত দর পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। ফলশ্রুতিতে ভারি হচ্ছে হতাশার পালা। কাজে আসছে না ক্ষতিগ্রস্তদের আইপিও কোটা।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত বছরের শেষ দিকে বাজার পরিস্থিতি কিছুটা ভাল থাকার কারণে আইপিওর বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়তে থাকে। শেয়ারবাজার ভাল থাকার কারণে তখন শেয়ারের কাঙ্ক্ষিত দরও পান আইপিও বিজয়ীরা। কিন্তু এর পর বাজারে দর পতন শুরু হলে দ্রুত এর রেশ পড়ে আইপিও বাজারে। আইপিও আবেদনে কঠিন প্রতিযোগিতা থাকলেও কাঙ্ক্ষিত দর থেকে বঞ্চিত হন বিনিয়োগকারীরা।
শেয়ারবাজারে সর্বশেষ তালিকাভুক্ত হয় বস্ত্র খাতের কোম্পানি নূরানী ডাইং। এই কোম্পানিটির আইপিওতে কঠিন প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা গেলেও শেয়ারের দরের বেলায় এর উল্টো চিত্র দেখা যায়। জানা যায়, এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি আইপিওর বিপরীতে জমা পড়ে ২৮ গুণ আবেদন। এতে সকলের ধারণা হয় বাজারের এর চাহিদা ভাল থাকার পাশাপাশি সন্তোষজনক দরে এ শেয়ার বিক্রি করা যাবে। কিন্তু তালিকাভুক্তির দিনই হতাশ হন বিনিয়োগকারীরা।
প্রথম দিনে লেনদেন শেষে এ শেয়ার বেচাকেনা হয় ২১ টাকায়। যদিও দিনের এক পর্যায়ে মাত্র কয়েকটি হাওলায় এ শেয়ার ২৭ টাকায় লেনদেন হয়। এরপরই দর নেমে আসে ২০ টাকা ৪০ পয়সায়। এতে হতাশ হয়েছেন আইপিও বিজয়ীরা। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দর দাঁড়ায় ১৯.৩০ টাকা।
এর আগে প্যাসিফিক ডেনিমস লেনদেনের সময়ও এমন চিত্র লক্ষ্য করা যায়। প্রথম দিন এই কোম্পানি শেয়ার সর্ব শেষ ২৭ টাকায় লেনদেন হলেও দিনের বেশিরভাগ সময়ই তা ২৫ টাকার নিচে লেনদেন হয়। অন্যদিকে সেকেন্ডারি মার্কেট কিছুটা ভাল থাকায় শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের কাক্সিক্ষত দর পান আইপিও বিজয়ীরা। প্রথম দিনই এ শেয়ার ৫৩ টাকায় লেনদেন হয়।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/কেএস