তালিকাভুক্তির প্রথম দিনেই অভিহিত মূল্যের চেয়েও কম দামে লেনদেন হয়েছে এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ডের প্রতিটি ইউনিট। গতকাল মঙ্গলবার প্রথম দিনের লেনদেন শেষে ফান্ডটির প্রতিটি ইউনিটের দাম নেমে এসেছে ৭ টাকা ৪০ পয়সায়। অথচ প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ছিল ১০ টাকা।
১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ফান্ডটির ছয় কোটি ইউনিট সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিক্রি করা হয়। ১০০ কোটি টাকার ফান্ডটি ১০ কোটি ইউনিটে বিভক্ত। এর মধ্যে দুই কোটি করে মোট চার কোটি ইউনিট ফান্ডটির উদ্যোক্তা ও প্রাক্-প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা প্রি-আইপিও প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এদিকে গতকাল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ফান্ডটির পৌনে আট লাখ ইউনিট লেনদেন হয়। আইপিওতে যেসব বিনিয়োগকারী এটির ইউনিট বরাদ্দ পেয়েছেন, তাঁরা প্রথম দিনে কেনা দামের চেয়ে কমে এসব ইউনিট বিক্রি করেছেন।
ডিএসইতে গতকাল ফান্ডটির লেনদেন শুরু হয় ৭ টাকা ১০ পয়সায়। পরে লেনদেনের একপর্যায়ে তা বেড়ে সর্বোচ্চ ৯ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠে। আর সর্বনিম্ন দর নেমেছিল ৬ টাকা ৬০ পয়সায়। যদিও দিন শেষে ফান্ডটির প্রতিটি ইউনিটের দাম দাঁড়ায় ৭ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দিনেই প্রতি ইউনিটের বিপরীতে লোকসান গুনতে হয়েছে ২ টাকা ৬০ পয়সা।
আইপিওতে ফান্ডটির প্রতিটি বাজারগুচ্ছ বা মার্কেট লট গঠিত হয় ৫০০টি ইউনিট নিয়ে। প্রতি লটের জন্য আবেদনে বিনিয়োগকারীদের খরচ হয় পাঁচ হাজার টাকা। আইপিওতে বিজয়ী একজন বিনিয়োগকারী যদি গতকাল প্রতিটি ইউনিট ৭ টাকা ৪০ পয়সায় বিক্রি করে থাকেন, তাহলে প্রতি লটে তাঁর লোকসান হয়েছে ১ হাজার ৩০০ টাকা। কারণ, ওই দামে ফান্ডটির একটি লট বিক্রি করে বিনিয়োগকারী পেয়েছেন ৩ হাজার ৭০০ টাকা।
গত ১১ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ফান্ডটি আইপিওর মাধ্যমে দেশি-বিদেশি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। ফান্ডটির ১০০ কোটি টাকার মধ্যে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান সন্ধানী লাইফ ইনস্যুরেন্স দিয়েছে ২০ কোটি টাকা, ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে প্রাক্-আইপিও প্লেসমেন্টের মাধ্যমে। আর বাকি ৬০ কোটি টাকা জোগান দিয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। ১০ বছর মেয়াদি এ ফান্ডটির সম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনারস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এএআর/জেড