বাজারে আদা-পেঁয়াজের দাম আরো কমল

521219c027d95-onionস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

স্বাভাবিক হয়ে আসছে আদা আর পেঁয়াজের বাজার। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দুটি দিয়ে ব্যবসায়ীরা ভোক্তার পকেট কেটেছেন বহু দিন। করোনার প্রভাব শুরুর পর থেকে সুযোগ বুঝে দাম বাড়িয়েছেন তাঁরা। জীবনধারণের বাড়তি খরচের চাপের মধ্যেও ৪০০ টাকায় আদা আর ৭০ টাকায় পেঁয়াজ কিনতে হয়েছিল মানুষকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাইকারি বাজারে আদার দাম এখন ১০০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে। শ্যামবাজার ব্যবসায়ীদের তথ্য মতে, বাজারে এখন আমদানি করা তিন দেশের আদা পাওয়া যায়। পাইকারিতে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা বার্মিজ আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি, সবচেয়ে ভালো মানের বার্মিজ আদাও পাওয়া যায় ১১০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান ছোট আদা পাওয়া যায় ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। চায়না আদার দামও সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা কেজি। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন ভারত থেকে আমদানি চালু হলে দাম আরো কমে আসবে।

তবে তুলনামূলক খুচরা বাজারে এখনো আদার দাম বেশি। বাজারগুলোতে সব ধরনের আদাই ১৫০ থেকে ১৬০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আদায় ব্যবসায়ীদের কিছুটা ঘাটতি দিতে হয়। এক বস্তা আদা কিনলে বিক্রি শেষ হওয়ার আগে কিছু নষ্ট হয়ে যায়। লাভ ছাড়াও সেই ঘাটতি খরচ যোগ হয় কেজিপ্রতি দামের সঙ্গে। এর পরও পাইকারি থেকে খুচরায় সর্বোচ্চ পার্থক্য থাকতে পারে ২০ টাকা পর্যন্ত।

রাজবাড়ী বাণিজ্যালয়ের ব্যবসায়ী মো. ইলিয়াস বলেন, শুনছি ভারত থেকে আবার আমদানি স্বাভাবিক হবে। তখন আদার দাম আরো কমে আসবে। তখন আমরা আরো কমে বিক্রি করতে পারব। এখনো আমরা যে দামে কিনছি তাতে কেজিতে দু-তিন টাকা কমিশন পেলেই বিক্রি করে দিচ্ছি। কাঁচামাল বেশি দিন রাখা যায় না। ১০০ টাকায় কিনলে খুচরায় তা ১৩০ পর্যন্ত বিক্রি করতে পারে। তবে পণ্যের পার্থক্যের সঙ্গে ঘাটতি কমবেশি হয়। যার ঘাটতি যেমন, সে সেভাবেই দাম ঠিক করে।

গত ২৬ মার্চ দেশে ছুটি শুরুর পর থেকে আদার দাম বাড়তে থাকে। অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পণ্যটির দাম বাড়ায়। বন্দরে পণ্য আটকে থাকায় এ সুযোগ নেয় তারা। রোজার আগে পণ্যটির দাম বেড়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় খুচরা বাজারে। পরে বাজারে নানা অভিযান আর বন্দরে পণ্য খালাসের ব্যবস্থা করলে দাম ধীরে ধীরে কমে আসে।

এদিকে সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি ২৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে খুুচরা বাজারেও দাম কমে আসছে। পাইকারি বাজারে এখন ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। খুচরা বাজারে এখন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। গত সপ্তাহে যা ৫০ থেকে ৫৫ টাকার মধ্যে ছিল। পেঁয়াজের ব্যবসায়ীরাও তাকিয়ে রয়েছেন ভারত থেকে আমদানির দিকে।

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী খান অ্যান্ড সন্সের মালিক গৌতম ঘোষ বলেন, ইন্ডিয়া থেকে পেঁয়াজ আসছে শুনছি। সেটা এলে দাম আরো কমে যাবে। তাঁর দেওয়া তথ্য মতে, কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে ১৭৫ টাকা পাল্লা (পাঁচ কেজি) বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় ২০০ টাকা পাল্লা বা ৪০ টাকা কেজি। শ্যামবাজারে আরো একটু কম, মান ভেদে ৩২ থেকে ৩৩ টাকা কেনা যাচ্ছে। গত সপ্তাহে পাইকারিতে ৪০-৪২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *