অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রেখেও ব্যাংক থেকে নেওয়া যাবে ঋণ

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আমানত, বন্ড, কৃষিপণ্য, মেধাস্বত্ত্বসহ বিভিন্ন অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রেখেও ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার বিধান রেখে ‘সুরক্ষিত লেনদেন (অস্থাবর সম্পত্তি) আইন ২০২২’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

বুধবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘এটা একটা নতুন আইন। আমরা ব্যাংক থেকে যেসব লোন দিই, সেটার বিপরীতে একটা ইকুইটি দিতে হয়, স্থাবর সম্পত্তি কিংবা ক্যাপিটাল ইকুয়েপমেন্ট আনলে সেগুলো। এখানে অস্থাবর সম্পত্তিকে ইকুইটি হিসেবে দেওয়ার জন্য একটা প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এখন থেকে অস্থাবর সম্পত্তির বিপরীতেও কেউ ঋণ নিতে পারবে। কারো যদি স্থায়ী আমানত থাকে সেটার বিপরীতেও, সেটাকে সিকিউরিটি রেখে অনুপাত অনুযায়ী ঋণ নিতে পারবে। কারো যদি বন্ড থাকে সেটা দিয়েও সে ঋণ নিতে পারবে। দামি গাড়ি, স্বর্ণ, মেধাস্বত্ব বন্ধক রেখেও ঋণ নেওয়া যাবে।’

এছাড়া খনিজসম্পদ, কৃষিজাতপণ্য, প্রক্রিয়াজাত মাছ ও জলজ প্রাণী, গবাদি পশু, রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী পণ্য প্রস্তুতের কাঁচামাল, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত, নিবন্ধিত কোম্পানির শেয়ার সার্টিফিকেট, কোনো সেবার প্রতিশ্রুতির বিপরীতে সেবাগ্রহীতার মূল্য পরিশোধের স্বীকৃতি বন্ধক রেখে ব্যাংক ঋণ নেওয়া যাবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, ‘এটা করার কারণ হলো মধ্যম ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বন্ধক দেওয়ার মতো স্থাবর সম্পত্তি নেই। তারা যেন তাদের অস্থাবর সম্পত্তি জমা দিয়ে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারে। এটা বিনিয়োগের ভিত্তিটাকে অনেক বড় করবে।’

স্থাবব সম্পত্তি বন্ধক রেখেই ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক জালিয়াতি হয়। এক্ষেত্রেও জালিয়াতি সুযোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আপনি শিল্প স্থাপন করতে গেলে তো ব্যাংকের আলাদা ক্রাইটেরিয়া আছে। এটা মধ্যম ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সুবিধা দেবে। ব্যাংকের এপ্রিজাল (মূল্যায়ন) সিস্টেম আছে, সেটা যদি ফেয়ারলি করে…। কেউ স্বর্ণ দিলে ব্যাংক সেটা চেক করে নেবে।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সিগারেটের মূল্য নির্ধারণে সতর্ক হলে বাড়বে রাজস্ব আয়

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

তামাক খাত থেকে মোট রাজস্বের ১০ শতাংশের বেশি আসে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বাজেটে সব স্তরের সিগারেটের মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমানো এবং একই সঙ্গে রাজস্ব আয় বাড়াতে প্রায় প্রতিবছরই সিগারেটের দাম বাড়ানো হয়। এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, এনবিআর আরো সতর্কতার সঙ্গে সিগারেটের মূল্য নির্ধারণ করলে এ খাত থেকে রাজস্ব আয় অনেক বাড়বে।

তারা মনে করেন, মাঝারি স্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানো হলে মাঝারি স্তরের ভোক্তারা নিম্ন স্তরের সিগারেটে এবং নিম্ন স্তরের সিগারেটের ভোক্তারা ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া সিগারেট (যা বাজারে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি হয়) অথবা কেউ কেউ বিড়ির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। এর ফলে রাজস্ব আয় কমে যায়।

সরকারের মোট রাজস্ব আয়ের সিংহভাগই তামাক খাত থেকে আসে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে সরকার এই শিল্পের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমাতে পারছে না। বাজেট প্রণয়নের সময় বরাবরই দেখা যায় এই শিল্পের ওপর আলাদা লক্ষ্যমাত্রার চাপ প্রয়োগ করা হয়। তবে বাড়তি এই চাপ অনেক ক্ষেত্রে রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে এনবিআর বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সুচিন্তিত রাজস্বনীতি গ্রহণ করে যাচ্ছে। আর এই রাজস্বনীতির কারণেই করোনা পরবর্তী সময়ে সিগারেট বিক্রি হ্রাস পেলেও তা সরকারের রাজস্ব আয় ও বাজারের স্থিতিশীলতার মাঝে এক ভারসাম্য বজায় রেখেছে।

এনবিআর আগামী বাজেট সামনে রেখে ইতিমধ্যে সিগারেট উৎপাদক কম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে। এনবিআরের একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, তারা কর আদায়কারী কমিশনারদের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করছেন। আগামী বাজেটে সিগারেটের মূল্য নির্ধারণে এমন কৌশলের কথা ভাবছেন যাতে এ খাত থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

বন্ডের কিস্তি শোধ আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্র

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বন্ড আকারে নেওয়া সার্বভৌম ঋণের কিস্তি পরিশোধে রাশিয়ার ৬০ কোটি ডলার আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রের কোষাগারে রক্ষিত রাশিয়ার বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইউক্রেইনে যুদ্ধ বন্ধের জন্য মস্কোর ওপর চাপ আরও বাড়ানোর নতুন পদক্ষেপ এটা।

রয়টার্স জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপের কারণে নিজস্ব কোষাগারে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ে হাত দিতে হতে পারে মস্কোকে।

২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ সেনারা ইউক্রেইনে অভিযান শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ অবরুদ্ধ করে ওয়াশিংটন।

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এতোদিন ডলার-নিয়ন্ত্রিত বন্ডের কিস্তি শোধের জন্য ক্রেমলিনকে কুপন আকারে ওই তহবিল ব্যবহার করার সুযোগ দিয়ে আসছিল।

যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার ডলার নিয়ন্ত্রিত বন্ডের কিস্তির সবচেয়ে বড় অর্থ পরিশোধের সময়সীমা ছিল সোমবার। রাশিয়ার ৫৫ কোটি ২৪ লাখ ডলারের মূল আমানত শোধ করার কথা ছিল এদিন। তবে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা রুশ রিজার্ভ তারা মস্কোকে ব্যবহার করতে দেবে না।

একইসঙ্গে রাশিয়ার ২০৪২ সালে ম্যাচিউরিটির অপেক্ষায় থাকা আরেকটি বন্ডের কিস্তি হিসেবে দেওয়া কুপনের বিপরীতে ৮ কোটি ২০ লাখ ডলার পরিশোধেরও দিন নির্ধারিত ছিল সোমবার।

যুক্তরাষ্ট্রর অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপ মস্কোকে একটি কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলেছে। ঋণ শোধের জন্য তারা হয় নিজেদের হাতে থাকা বিদেশি মুদ্রার মজুদ ব্যবহার করবে, নয়ত বিকল্প কোনো পথ বের করতে হবে। আর ব্যর্থ হলে খেলাপির খাতায় নাম লেখাতে হবে।

রাশিয়ার কিস্তির এই অর্থ লেনদেনের মধ্যস্তকারী ব্যাংক হিসেবে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জেপিমরগ্যান চেজ অ্যান্ড কোম্পানি। তাদের এ লেনদেন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়।

নিয়ম অনুযায়ী, সময়সীমা পার হয়ে গেলে রাশিয়া ৩০ দিনের অতিরিক্ত সময় পাবে অর্থ পরিশোধের জন্য।

ইউক্রেইনে অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার ৬৪ হাজার কোটি ডলারের স্বর্ণ ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অর্ধেকই জব্দ করে রেখেছে পশ্চিমা দেশগুলো।

নিজেদের হাতে থাকা বাকি মজুদ খরচ করলে তা দেশের অর্থনীতির ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা এ সপ্তাহে তাদের বিরুদ্ধে নতুন অবরোধ আরোপ করতে যাচ্ছে।

রাশিয়া মোট ১৫টি আন্তর্জাতিক বন্ডের মাধ্যমে ৪ হাজার কোটি ডলারের সমপরিমাণ (অভিহিত মূল্য) ঋণ বিশ্ববাজার থেকে নিয়েছে। পশ্চিমা অবরোধের পরেও এখন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধে খেলাপি হওয়া থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পেরেছে। তবে পরিস্থিতি দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে।

হংকংয়ের আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গিবসন ডানের অবরোধ বিষয়ক আইনজীবী ডেভিড উলবার বলেন, পশ্চিমারা আসলে চেষ্টা করছে, রাশিয়া যাতে তাদের হাতে থাকা বিদেশি মুদ্রা যতটা সম্ভব নিঃশেষ করে ফেলতে বাধ্য হয়। এটা করা গেলে রাশিয়া যুদ্ধের জন্য বিদেশি মুদ্রা ব্যবহার করতে পারবে না।

ইউরোপের ক্রেতাদের কাছে গ্যাসের দাম রুবলে পরিশোধের যে দাবি রাশিয়া করেছে, তার ওপরও চাপ সৃষ্টি করবে এই পদক্ষেপ।

রয়টার্স লিখেছে, এর আগে রাশিয়া শেষবারের মত যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছিল কুপন আকারে ৪৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার পরিশোধের জন্য। ওই অর্থ পরিশোধের সময়সীমা ছিল গত বৃহস্পতিবার। ইউক্রেইনে যুদ্ধ শুরুর পর এভাবে কমপক্ষে পাঁচটি লেনদেন করার সুযোগ পেয়েছে মস্কো।

রাশিয়া নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তার আন্তর্জাতিক বন্ডের আসন্ন কিস্তিগুলোর কোনো একটি পরিশোধে যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা খেলাপি দেশ হিসেবে চিহ্নিত হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

আগামী অর্থবছরের বাজেট বাড়ছে ৮০ হাজার কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা সাজিয়েছে অর্থ বিভাগ। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার বাড়ছে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। আর সংশোধিত বাজেটের তুলনায় প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা বেশি ব্যয় ধরা হচ্ছে।

চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ও আগামী অর্থবছরের নতুন বাজেট নিয়ে অর্থ বিভাগের তৈরি করা এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আগামী ১৭ এপ্রিল ২০২১-২২ অর্থবছরের কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সভায় উপস্থাপনের জন্য প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে অর্থ বিভাগ। সেখানে আগামী অর্থবছরের বাজেটের ব্যয়, রাজস্ব সংগ্রহ, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি), বাজেট ঘাটতি, ঘাটতি অর্থায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। তবে এ পরিকল্পনাই চূড়ান্ত বাজেট নয়। অর্থ বিভাগের পরিকল্পনার পরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংযোজন-বিয়োজন হয়ে থাকে।

ইতোমধ্যে আগামী অর্থবছরের বাজেট নিয়ে যেসব আলোচনা ব্যবসায়ী সংগঠন ও গবেষণা সংস্থাগুলো করেছে সেখানে সম্প্রসারণমূলক বাজেট প্রণয়নের সুপারিশ এসেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রণোদনা প্যাকেজ অব্যাহত রাখা, প্রণোদনা বাড়ানো, নতুন ধরনের অবকাঠামো উন্নয়ন, মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাড়তি বরাদ্দ দরকার। পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেল, গ্যাস, শিল্পের কাঁচামালের দাম বিশ্ববাজারে বেড়েছে। ফলে সরকারকে ভর্তুকিও বাড়াতে হতে পারে। বাজেটে সে জন্যও বরাদ্দ রাখা দরকার।

অর্থ বিভাগও মনে করছে আগামী অর্থবছরের বাজেট সম্প্রসারণমূলক হওয়া উচিত। করোনার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার যেসব প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্যই তা দরকার। পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল, খাদ্যসহ সামগ্রিক পণ্যবাজার ঊর্ধ্বমুখী। ফলে আগামী বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন ব্যয়সহ সার্বিক সরকারি ব্যয় বাড়তে পারে।

সার্বিকভাবে রাজস্ব সংগ্রহে গতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে। আগামী অর্থবছরেও এ অবস্থা বজায় থাকবে বলে আশা করছে সরকার। এ জন্য মোট রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। এই প্রথম দেশের রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা চার লাখ কোটি টাকার বেশি ধরা হচ্ছে। তবে বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আগামী অর্থবছরে সরকার অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী সরকারি ব্যয় কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে।

যদিও প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্নেষণ করে দেখা গেছে, বাজেট প্রকৃতপক্ষে সম্প্রসারণমূলক হচ্ছে না। কারণ চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে যে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা অর্থবছরের জিডিপির তুলনায় ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আর আগামী অর্থবছরের বাজেটে যে বরাদ্দ পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা নতুন অর্থবছরের সম্ভাব্য জিডিপির ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ। ফলে জিডিপির আকারের তুলনায় বাজেট বরাদ্দ বাড়ছে না। অন্যদিকে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, সার, গ্যাসের দামের যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ;তাতে আগামী অর্থবছরে ভর্তুকি বাবদ সরকারের ব্যয় বাড়বে। বাড়বে সামাজিক নিরাপত্তা ও বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয়। সংশোধিত বাজেটের তুলনায় যে ৯০ হাজার কোটি টাকা বাড়তি বরাদ্দ রাখা হচ্ছে, তার বড় অংশই চলে যাবে এসব খাতে। ফলে বাড়তি বরাদ্দ থেকে উন্নয়ন ব্যয় কতটা করা যাবে, তা দেখার বিষয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে এডিপির বাস্তবায়ন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। এ সময়ে প্রকল্প সাহায্য ও সরকারের তহবিল থেকে ব্যয় দুটোই বেড়েছে। সূত্র : সমকাল

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

পদ্মা সেতু চালু হবে ২০২২ সালের শেষ নাগাদ: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদকে জানিয়েছেন, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। বুধবার সংসদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জমান সরকারের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।

এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। একই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের গৃহীত ১৭টি মেগা প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা ও অগ্রগতি বিস্তারিত তুলে ধরেন।

শহীদুজ্জমান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সাহসী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু হতে যাচ্ছে ইতিহাসে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং প্রকল্পগুলোর একটি।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের উভয় প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোড ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মূল সেতুর ভৌত অগ্রগতি ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। বর্তমানে সেতুতে কার্পেটিং, ভায়াডাক্ট কাপের্টিং, ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন, মুল সেতু ও ভায়াডাক্টের মুভমেন্ট জয়েন্ট, ল্যাম্পপোস্ট, অ্যালুমিনিয়াম রেলিং, গ্যাসের পাইপলাইন, ৪০০ কেভিএ বিদ্যুত এবং রেললাইন নির্মাণের কাজ চলমান। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশোধিত ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বলে তিনি জানান।

নোয়াখালী-২ আসনের মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনামূল্যে কোভিড টিকা প্রদানের শুরু থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮৪ হাজার ১২০ ডোজ টিকা সংগ্রহ করেছে। এ পর্যন্ত ১২ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার ৯৪৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ১১ কোটি ৪২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজসহ মোট ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯০৪ জনকে দুই ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া এক কোটি ৮১ হাজার ১৯৩ জনকে বুস্টার ডোজ প্রদান করা হয়েছে।

টিকার মূল্য সংক্রান্ত ওই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান জানান, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সংশ্লিষ্ট দেশের সাথে নেগোসিয়েশন করে বিশ্ববাজারে প্রচলিত দরের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম মূল্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে টিকা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। তবে টিকা কেনার ক্ষেত্রে নন-ডিকক্লোজার এগ্রিমেন্ট থাকায় টিকার মূল্য বা এ সংক্রান্ত ব্যয় প্রকাশ করা সমীচীন হবে না।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

লেনদেনের শীর্ষে লাফার্জ হোলসিম বিডি; ২য় বেক্সিমকো

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের চতূর্থ কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে লাফার্জ হোলসিম বিডি লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ৪০ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বেক্সিমকো লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ৮ লাখ টাকার।

কাট্টালী টেক্সটাইল লিমিটেড ১৫ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের ১৩ কোটি ৬৪ লাখ, বিবিএস ক্যাবলসের ১৩ কোটি ৫৭ লাখ, সী পার্লস হোটেল এন্ড রিসোর্টের ১২ কোটি ৭১ লাখ, ওরিয়ন ফার্মার ১১ কোটি ৬৩ লাখ, ভিএফএস থ্রেড ডায়িংয়ের ১১ কোটি ২৫ লাখ, মোজাফফর হোসেন স্পিনিংয়ের ১০ কোটি ৯৮ লাখ ও নাহী এলুমিনাম কম্পোজিট প্যানেল লিমিটেডের ৯ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

ডিএসইতে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে সূচকগুলো কমেছে। তবে এদিন সেখানে লেনদেনও আগের দিনের চেয়ে কমেছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের চতূর্থ কার্যদিবস বুধবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩১.৮১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬৬৬২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৪.৫৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪৫৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫.৫৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২৪৫৯ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৯০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫৭৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৭৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৪৪টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ২৯৩টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ৩৮টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- লাফার্জ হোলসিম বিডি, বেক্সিমকো লিমিটেড, কাট্টালী টেক্সটাইল, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, বিবিএস ক্যাবলস, সী পার্লস হোটেল এন্ড রিসোর্ট, ওরিয়ন ফার্মা, ভিএফএস থ্রেড ডায়িং, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং ও নাহী এলুমিনাম কম্পোজিট প্যানেল লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৭৯.৩৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৯ হাজার ৫৬৭ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২৭৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৫৭টির, কমেছে ১৯৬টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল ও বার্জার পেইন্টস বিডি লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

  1. লাফার্জ হোলসিম বিডি
  2. বেক্সিমকো লিমিটেড
  3. কাট্টালী টেক্সটাইল
  4. বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস
  5. বিবিএস ক্যাবলস
  6. সী পার্লস হোটেল এন্ড রিসোর্ট
  7. ওরিয়ন ফার্মা
  8. ভিএফএস থ্রেড ডায়িং
  9. মোজাফফর হোসেন স্পিনিং
  10. নাহী এলুমিনাম কম্পোজিট প্যানেল লিমিটেড।

রুশ তেল কোম্পানি গ্যাজপ্রমের ওয়েবসাইট হ্যাক

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

রাশিয়ান তেল কোম্পানি ‘গ্যাজপ্রম নেফ্ট’ এর ওয়েবসাইট হ্যাকের শিকার হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।

হ্যাকের পর ওয়েবসাইটটিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহচর গ্যাজপ্রমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলেক্সি মিলারের নামে একটি বিবৃতি পোস্ট করা হয়। এতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সমালোচনা করা হয়।

গ্যাজপ্রমের একজন মুখপাত্র বিবৃতিটিকে ফালতু বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। এরপরই পেজটি কাজ করা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সূত্র: আল-জাজিরা

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

৬.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিলো এডিবি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৬.৯ শতাংশ এবং ২০২২-২০২৩ অর্থবছর শেষে তা দাঁড়াতে পারে ৭ দশমিক ১ শতাংশে। সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি, বেসরকারি খাতের সক্রিয় অংশগ্রহণ, অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও রপ্তানি এ প্রবৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রাখছে।

বুধবার (৬ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয়ে ‘এশিয়ান ডেভলপমেন্ট আউটলুক ২০১৮’র এক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং ভার্চুয়ালি এ তথ্য তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি জানায়, ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ ও দেশের বাজারে অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি আগামী দুই অর্থবছর সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্য, ভোগ্যপণ্য, গ্যাস ও তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ২০২২ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হবে ৬ শতাংশ।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রভাব কাটিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের দিক থেকে এশীয় দেশগুলোর তুলনায় এগিয়ে বাংলাদেশ। এটি রীতিমতো প্রশংসনীয়৷ শক্তিশালী এ পুনরুদ্ধারে সরকারের দেওয়া প্রণোদনা, সাপোর্টিভ ফিসক্যাল পলিসি, প্রবাসী আয়ের ওপর প্রণোদনা এবং সঠিক মুদ্রানীতি নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/