ডেসটিনির পরিচালক রফিকুল আমীনের স্ত্রী কারাগারে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা মানিলন্ডারিং আইনের এক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনের স্ত্রী ফারাহ দিবাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রবিবার (১২ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি।

ফারাহ দিবার পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহিনুর ইসলাম। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মীর আহাম্মেদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. বেলাল এ তথ্য জানান।

গত ১২ মে এ মামলায় রফিকুল আমীনকে ১২ বছর, তার স্ত্রী ফারাহ দিবাকে ৮ বছর কারাদণ্ড দেন। এছাড়া আরও ৪৪ আসামিকে ২৩শ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে এক হাজার ৯০১ কোটি টাকা সংগ্রহ করে ডেসটিনি। সেখান থেকে এক হাজার ৮৬১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। ওই অর্থ আত্মসাতের ফলে সাড়ে ৮ লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতির মুখে পড়েন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

ডলারের দাম আবারো বাড়লো

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে টাকার মান ফের কমেছে। গত ৭ জুন প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ৯২ টাকায় বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে পরের দিনই হঠাৎ মার্কিন মুদ্রার দাম ৫০ পয়সা কমায় ব্যাংকটি। ফলে প্রতি ডলার ৯১ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হয়।

কিন্তু রবিবার (১২ জুন) আবারও ডলারের দাম ৫০ পয়সা বেড়েছে। আজ আন্তঃব্যাংকে এক ডলার ৯২ টাকায় বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে গত ৭ জুন প্রতি ডলারের দাম ৫ পয়সা বাড়িয়ে ৯২ টাকা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সবশেষ ৫০ পয়সা বাড়ানো হলো। এ নিয়ে এক মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার মান ৫ টাকা ৫ পয়সা কমল। এতে চলতি বছর ডলারের বিপরীতে ১০বার মান হারাল টাকা।

২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এরপরই ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমতে থাকে। যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে।
বর্তমানে ৯২ থেকে ৯৩ টাকার মধ্যে ডলার কেনাবেচা করছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। তবে খোলাবাজারে প্রতি ডলারের মূল্য রাখা হচ্ছে ৯৮ থেকে ৯৯ টাকা পর্যন্ত।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

লেনদেনের শীর্ষে শাইনপুকুর; ২য় বেক্সিমকো

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ৩৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বেক্সিমকো লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৭২ লাখ টাকার।

বিডিকম অনলাইন লিমিটেড ২০ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে-আইপিডিসির ১৭ কোটি ৪০ লাখ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ১৫ কোটি ৭ লাখ, ফরচুন সুজের ১৪ কোটি ২৩ লাখ, বিডি ফাইন্যান্সের ৯ কোটি ৮৪ লাখ, ফুয়াং ফুডসের ৯ কোটি ৪৬ লাখ, সালভো কেমিক্যালসের ৯ কোটি ৪২ লাখ ও ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ৯ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

  1. শাইনপুকুর সিরামিকস
  2. বেক্সিমকো লিমিটেড
  3. বিডিকম অনলাইন
  4. আইপিডিসি
  5. বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন
  6. ফরচুন সুজ
  7. বিডি ফাইন্যান্স
  8. ফুয়াং ফুডস
  9. সালভো কেমিক্যালস
  10. ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড।

বাজেট ঘোষণার পরের দিনই শেয়ারবাজার পতন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাজেট ঘোষণার পরের দিনই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে সবগুলো সূচকের পতন হয়েছে। এদিন সেখানে লেনদেনও আগের দিনের চেয়ে কমোছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

গত বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেন।

আজ রবিবার দিনশেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৮.৮৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬৪৩১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১০.৬৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪০৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৭.১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২৩৩৪ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭৫৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

ডিএসইতে দিনভর ৩৭৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৫৩টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ৩০৬টির, আর দর অপরিবর্তিত আছে ১৯টির দর।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- শাইনপুকুর সিরামিকস, বেক্সিমকো লিমিটেড, বিডিকম অনলাইন, আইপিডিসি, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ফরচুন সুজ, বিডি ফাইন্যান্স, ফুয়াং ফুডস, সালভো কেমিক্যালস ও ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ১৩৪.৩৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৮৮৯ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩০১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৯টির, কমেছে ২২৬টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৪ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ৩০ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে শাইনপুকুর সিরামিকস ও বেক্সিমকো লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

বিডি পেইন্টসের শেয়ার বিও হিসাবে প্রেরণ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

এসএমই খাতে বিডি পেইন্টস লিমিটেডের কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারে (কিউআইও) আবেদনকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার প্রেরণ করা হয়েছে। সিডিবিএল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির বিও হিসাবে আজ ১২ জুন (রবিবার) বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার প্রেরণ করেছে সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) ।

এর আগে গত ২২ মে থেকে ২৬ মে পর্যন্ত কোম্পানিটির কিউআউতে আবেদন করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ড্রাগন সোয়েটারের ইজিএম ২৬ জুলাই

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি ড্রাগন সোয়েটার স্পিনিং মিলস লিমিটেডের একটি বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আগামী ২৬ জুলাই আহবান করেছে কোম্পানিটি। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

ডিএসই জানায়, ইজিএমটি এদিন বেলা ১১ টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র মতে, কোম্পানিটি ড্রাগন সোয়েটার বাংলাদেশ লিমিটেডের একীভূতকরণ করবে। এ কারণে একটি বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। ইজিমের রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয় ৩০ জুন।

ইতোমধ্যে ড্রাগন সোয়েটার স্পিনিং মিলস লিমিটেড ও ড্রাগন সোয়েটার বাংলাদেশ লিমিটেডের একীভূতকরণ বিষয়টি অনুমোদন দেন হাইকোর্ট।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ১ম প্রান্তিক বোর্ড সভা ১৫ জুন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান ঢাকা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চলতি বছরের ১ম প্রান্তিকের বোর্ড সভা আগামী ১৫ জুন আহবান করা হয়েছে। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেজুলেশন ২০১৫ এর ১৬(১) ধারা অনুযায়ী, এই বোর্ড সভায় প্রতাষ্ঠানটির ৩১ মার্চ ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত এই আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এদিন বেলা সাড়ে ৩টায় রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত বিমাটির নিজস্ব অফিসে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রতাষ্ঠানটির উক্ত প্রান্তিকের ইপিএস ও ন্যাভসহ অন্যান্য আর্থিক তথ্য শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

লূব-রেফ বিডির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানী ও শক্তি খাতের কোম্পানি লূব-রেফ বিডি লিমিটেডের সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে জানিয়েছে। ডিএসই’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি শেয়ারটির দর বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানিটির পক্ষ থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এ কথা জানানো হয়েছে।

কোম্পানিটির শেয়ারের এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই। তবে দর বাড়ার পেছনে মূল্য সংবেদনশীল কোন তথ্য কি তা জানতে চায় ডিএসই।

এ সময় লূব-রেফ বিডি লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি শেয়ারটির দর বৃদ্ধির পেছনে মূল্য সংবেদনশীল অপ্রকাশিত কোন তথ্য তাদের কাছে নেই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

বাড়বে আমদানি ব্যয়, ঝুঁকির মুখে পড়বে দেশীয় উৎপাদন শিল্প

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ সংযোজন শিল্পে খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যহারে শুল্ক কমানো হয়েছে। এই প্রস্তাবনার মাধ্যমে দেশে ফ্রিজ উৎপাদন পর্যায়ে সংযোজনকারী বা অ্যাসেম্বলারদের উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এতে আমদানি ব্যয় কমাতে সরকারের নেয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্থ হবে। পাশাপাশি দেশীয় পূর্ণাঙ্গ ফ্রিজ উৎপাদন শিল্পখাতের অগ্রগতিও ক্ষতির সম্মুখীন হবে এবং ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেট বক্তৃতা এবং বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, “দেশের ভেতর যেসব পণ্য উৎপাদন করা যায়, সেগুলো বিদেশ থেকে আনা আমরা নিরুৎসাহিত করছি। দেশের ভেতরে যেসব পণ্য উৎপাদন হয়, সেগুলো যদি আমাদের ব্যবহারে লাগে, তাহলে উৎপাদন আরও বাড়ানো হোক। ওইসব পণ্য বিদেশ থেকে আনা আমরা ভালোভাবে দেখি না। আমরা এভাবেই ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ কনসেপ্টকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।” কিন্তু বাজেটে এর প্রতিফলন দেখা যায় নি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাজেট উপস্থাপনের পর অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন (এসআরও) জারি করে। এসআরও তে রেফ্রিজারেটরের উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দুটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে। এসআরও অনুযায়ী রেফ্রিজারেটরের প্রধান অংশ (মেইন পার্টস) এবং যে কোনো দুইটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ উৎপাদন করলে কোনো প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরি-১ এর উৎপাদক হিসেবে গণ্য হবে। অন্যথায়, ফ্রিজের বডি কেবিনেট উৎপাদন করলেই (বাকিটা আমদানি করে) রেফ্রিজারেটর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরি-২ হিসেবে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে অতি অল্প বিনিয়োগ এবং লোকবল ব্যবহার করেই তারা উৎপাদকের সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

এতে করে যেসব প্রতিষ্ঠান বিপুল বিনিয়োগের মাধ্যমে রেফ্রিজারেটরের সবধরনের যন্ত্রাংশ তৈরি করেন, তাদের সঙ্গে সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠানের পার্থক্য থাকবে না। ফলে স্থানীয় রেফ্রিজারেটর শিল্পে বড় বিনিয়োগ আসবে না। দেশীয় উদ্যেক্তারা পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনমুখী শিল্পের পরিবর্তে সংযোজন শিল্প স্থাপনে বেশি আগ্রহী হবেন। ফলে দেশ বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ হারাবে। এর বিপরীতে আমদানি ব্যয় বাড়বে। এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হবে। যেটা সরকারের শিল্প সহায়ক নীতি এবং অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতার সঙ্গে সাংর্ঘষিক। এতে করে রেফ্রিজারেটরে প্রকৃত উৎপাদনকারী শিল্পের পরিবর্তে সংযোজন শিল্প উৎসাহিত হবে। বিষয়টি পুর্নর্বিবেচনা করা দরকার বলে অভিমত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশের অর্থনীতিবিদ ও খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, এই বাজেট প্রস্তবনায় সুফল পাবেন ফ্রিজ উৎপাদন পর্যায়ে স্থানীয় অ্যাসেম্বলাররা। এতে করে দেশীয় ফ্রিজ উৎপাদন অ্যাসেম্বলিং শিল্পে খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি পরিমাণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। যা কিনা ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ঠেকাতে সরকারের নেয়া আমদানি ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিপরীত।

খাতসংশ্লিষ্ট ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ফ্রিজ উৎপাদনে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই স্বয়ংসম্পূর্ণ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সরকারের দেয়া শিল্পবান্ধব সহায়ক নীতি ও কর সহায়তায় উৎপাদনশীলতার দিকে এগিয়ে গিয়েছে দেশের ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য শিল্পখাত। বর্তমানে দেশে ফ্রিজ, টিভি, এসির মতো ইলেকট্রনিক্স পণ্যের পুরোপুরি উৎপাদনমুখী বেশকিছু শিল্প বিকাশ লাভ করেছে। দেশীয় শিল্পোদ্যাক্তারা বিশাল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করে কারখানায় ব্যাপক পরিসরে অত্যাধুনিক সব মেশিনারিজ স্থাপনের মাধ্যমে ফ্রিজ ও এর আনুষঙ্গিক সকল যন্ত্রাংশ এখন দেশেই তৈরি করছে। স্থানীয় বাজারে ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি পণ্যের সিংহাভাগ চাহিদা মিটাতে সক্ষম হচ্ছেন এ খাতের উৎপাদনমুখী দেশীয় শিল্পোদ্যাক্তারা। শুধু তাই নয়; দেশে তৈরি উচ্চ গুণগতমানের ফ্রিজ এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশীয় ফ্রিজ উৎপাদন শিল্পের তৈরি ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত পণ্য বিশ্ববাজারে ব্যাপক প্রশংসা পাচ্ছে।

অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, বাংলাদেশের ফ্রিজ ও ইলেকট্রনিক্স শিল্প যখন পুরোপুরি উৎপাদনশীলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন এ খাতে অ্যাসেম্বলিং শিল্পোদ্যাক্তাদের উৎসাহিত করা ঠিক হবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইফতেখার হোসেন বলেন, বাংলাদেশে যেসব পণ্যের উৎপাদন সক্ষমতা আছে এবং সামগ্রিকভাবে জনগণের চাহিদা মেটাতে সক্ষম, সেসব পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে অ্যাসেম্বলারদের সুবিধা দেয়া ঠিক হবে না।

অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ বলেন, দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সরকার বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে আসছে। দেশের অর্থনীতির জন্যও এটি ভাল। তবে উৎপাদন ভলিউম অনুযায়ী সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অর্থাৎ যদি এ খাতে অনেক বেশি পণ্য যোগ হয়, তাহলে এক ধরনের সিদ্ধান্ত হতে পারে। অন্যদিকে এর মাধ্যমে যে পরিমাণ উৎপাদন বাড়তি যোগ হচ্ছে তার থেকে ফিনিসড প্রোডাক্ট উৎপাদকরা বেশি কন্ট্রিবিউট করছে, তাহলে তাদের সুবিধা বাড়ানো উচিত।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, সরকার ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’কে প্রমোট করতে চাচ্ছে। সরকারের মনোভাবটা হচ্ছে এমন যে- দেশের জন্য উৎপাদন করো, দেশেই উৎপাদন করো। এতে দেশে কর্মসংস্থান হবে। সকল পর্যায়ের উৎপাদকদের সুযোগ ও গুরুত্ব দেয়া ভালো। তবে কিছুক্ষেত্রে এমন নীতিমালা দরকার যেন দেশেই কিছু পণ্যের উৎপাদন সক্ষমতা এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ উৎপাদক তৈরি হতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু বিষয় সরকারের পরিকল্পনায় থাকা উচিত।

তিনি বলেন, দেশীয় কম্প্রেসর ও রেফ্রিজারেটর উৎপাদন শিল্পে সরকার যেহেতু নতুন উৎপাদকদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে, তার মানে সরকার এই খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে যারা স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠান অবশ্যই তাদের প্রাধান্য দেয়া উচিত।

সংশ্লিষ্টদের মতে, সরকার দেশীয় পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনমুখী ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য খাতে যে সুবিধা দিচ্ছে, এ খাতের উদ্যেক্তারা তার অনেক বেশি ফেরত দিচ্ছেন। এতে স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিযোগ হচ্ছে, কর্মসংস্থান ও দেশীয় উৎপাদন বাড়ছে, আমদানি ব্যয় হ্রাস পাচ্ছে, বিপরীতে বাড়ছে রপ্তানি আয়। যা রাজস্ব খাতে অবদান রাখছে। অন্যদিকে এ খাতের অ্যাসেম্বলিং শিল্পে কর রেয়াত সুবিধা দিলে প্রকৃত উৎপাদকের পরিবর্তে অ্যাসেম্বলারের সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনি খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে দেশের দেশের বৈদেশিক মুদ্রায় ব্যয়ও বাড়বে। ফলে দেশের আমদানি ব্যয় কমাতে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///