ডিএসইর পিই রেশিও ০.৭৬ শতাংশ কমেছে

স্টকমাকেটবিডি ডেস্ক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২০ থেকে ২৪ নভেম্বর) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ০.৭৬ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৪.৫৬ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১৪.৪৫ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.১১ পয়েন্ট বা ০.৭৬ শতাংশ কমেছে।

এর আগের সপ্তাহের শুরুতে (১৩ থেকে ১৭ নভেম্বর) ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৪.৭৯ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১৪.৫৬ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.২৩ পয়েন্ট বা ১.৫৬ শতাংশ কমেছিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

চিনির পর্যাপ্ত মজুদ আছে, সংকটটা কৃত্রিম: শিল্পমন্ত্রী

স্টকমাকেটবিডি প্রতিবেদক :

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, আমাদের চিনির কোনো অভাব নেই। রমজানকে সামনে রেখে বাজারে পর্যাপ্ত চিনির মজুদ আছে।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে রাজশাহী সার্কিট হাউসে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের পরিসংখ্যান বলছে দেশে পর্যাপ্ত চিনি মজুদ আছে। আর কেবল এখনকার জন্যই নয়; আগামী রমজান মাস পর্যন্ত চিনির এ মজুদ পর্যাপ্ত। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছেন। এ অবস্থায় বাজারে যেন আর চিনির সংকট না হয় সেজন্য সরকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আরও এক লাখ টন চিনি এনে রাখার জন্য বলেছে।

মন্ত্রী এদিন রাজশাহী সার্কিট হাউসে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণে রাজশাহী জেলার ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

শিল্পমন্ত্রী জানান, রাজশাহী এখন একটা নান্দনিক শহরে রূপ নিয়েছে। পরিবেশবান্ধব শিল্পের মাধ্যমে এ শহরটাকে আরও কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়েই তিনি আলোচনা করতে এসেছেন। এখান থেকে যেসব দাবি-দাওয়া উঠে এসেছে সেগুলো নিয়ে তিনি এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খাইরুজ্জামান লিটন শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন।

মন্ত্রী জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাষ্ট্রায়ত্ত যেসব কলকারখানা আছে সেগুলো আরও বাস্তবমুখী করে পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। যেসব কলকারখানার যন্ত্রপাতি পুরনো হয়ে গেছে সেখানে নতুন যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে। এসব কলকারখানা চালুর জন্য দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানানো হচ্ছে। পিপিপির মাধ্যমে এগুলো চালু করা হবে।

রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও রাজশাহী বিসিক আজ এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন- রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।

বিশেষ অতিথি ছিলেন- রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খাইরুজ্জামান লিটন, বিসিকের চেয়ারম্যান মুহা. মাহবুবর রহমান, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ্ এবং রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিক।

এছাড়া মতবিনিময় সভায় রাজশাহীর ব্যবসায়ী নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেছেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

বেসরকারি খাতের নেতৃত্বে ২০৪০ সালে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আগামী দু-এক দশকের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে বেসরকারি খাতের কম্পানিগুলো। এসব প্রতিষ্ঠান মেধাবী তরুণদের নিয়োগ করছে এবং শক্তি, আত্মবিশ্বাস ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে নিজেদের বিশ্বমানের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলছে। বহুজাতিক কম্পানিগুলোর সঙ্গে তুমুল প্রতিযোগিতা করে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করছে।

তাদের এ অর্জনের মধ্য দিয়ে ট্রিলিয়ন (এক লাখ কোটি) ডলারের মাইলফলক অর্জনের পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশও।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং ফার্ম বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের (বিসিজি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ সম্প্রতি বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিপর্যয়ের পরও কিভাবে দেশটির অর্থনীতি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তার ওপর আলোকপাত করে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে।

শুক্রবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘দ্য ট্রিলিয়ন-ডলার প্রাইজ-লোকাল চ্যাম্পিয়নস লিডিং দ্য ওয়ে’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক। মূল বক্তা ছিলেন এইচএসবিসি বাংলাদেশের করপোরেট কমার্শিয়াল ব্যাংকিংয়ের কান্ট্রি হেড রিয়াজ এ চৌধুরী। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ছিলেন বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের গ্লোবাল চেয়ার ইমেরিটাস ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর হ্যান্স-পল বার্কনার, বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের সিনিয়র পার্টনার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জারিফ মুনির, প্রতিষ্ঠানটির পার্টনার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর শৈবাল চক্রবর্তী, বোস্টন কলসাল্টিং গ্রুপের পার্টনার তৌসিফ ইশতিয়াক প্রমুখ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাবসায়িক কমিউনিটি, উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির দ্রুত সম্প্রসারণে প্রবৃদ্ধিশীল ভোক্তা বাজার, সাড়ে ছয় লাখেরও বেশি ফ্রিল্যান্সার নিয়ে ক্রমবর্ধমান গিগ ইকোনমি, সঙ্গে ডিজিটাল রূপান্তর এবং সরকারের বহুমুখী প্রচেষ্টা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে চলেছে।

ভিয়েতনাম, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এ প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে অপ্টিমিস্টিক আউটলুক (দৃঢ় আশাবাদ), গিগ ইকোনমি (ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল খণ্ডকালীন কাজ), ভোগ্য পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি, তরুণ ও ক্রমবর্ধমান কর্মশক্তি, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা (হাই ইকোনমিক রেজিলিয়ান্স), ডিজিটাল মাধ্যমের বহুল ব্যবহার, সরকারি উদ্যোগ এবং একটি বৃহৎ, সুসংগঠিত বেসরকারি খাতসহ বিভিন্ন বিষয় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বাংলাদেশের উদীয়মান চ্যাম্পিয়নরা নিজেদের বিশ্বের দরবারে সেরা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ও দেশকে নেতৃত্ব দিতে নিত্যনতুন কৌশল নিচ্ছে এবং চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছে। এভাবেই বাংলাদেশ ২০৪০ সাল নাগাদ এক ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উদীয়মান কম্পানিগুলো উদ্ভাবনী, দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্য দিয়ে অভ্যন্তরীণ বাজারে কাঠামোগত সুবিধা তৈরি করেছে এবং বৈশ্বিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণেও প্রস্তুত।

এ চ্যাম্পিয়নের সাফল্য অন্যান্য দেশের অনুকরণীয় কম্পানিগুলোর উদ্যোগেরই প্রতিধ্বনি। নিজস্ব দক্ষতা, সফলতা ও গুণগত মান অর্জনে তারা যেন দ্বিগুণ প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এই চ্যাম্পিয়নদের লক্ষ্য আন্তর্জাতিক পুঁজি বাড়ানো, বৈশ্বিক জোট গঠন এবং সরবরাহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বৈচিত্র্যময় ও পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রবেশ করা। বেসরকারি খাত উদ্ভাবন ও উৎপাদনশীলতা বাড়াচ্ছে এবং সুগঠিত কৌশলগত কর্মসূচির মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল সুবিধাকে কাজে লাগাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই চ্যাম্পিয়নরা বাংলাদেশের ট্রিলিয়ন ডলারের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে শক্তিশালী অবদান রাখবে। ’

প্রতিবেদনটি বিসিজির বিশ্লেষণ এবং বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কম্পানিগুলোর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে, যাদের বার্ষিক আয় ৩০০ মিলিয়ন থেকে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার। উদীয়মান এ কম্পানিগুলো বছরে গড়ে ১৬ শতাংশ করে রিটার্ন দিয়েছে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের, যা বৈশ্বিক হিসাবে চমকপ্রদ অর্জন। যেমন এটি এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল ১২০০ কম্পানিগুলোর ১৫ শতাংশ, এশিয়া ৫০ ইনডেক্সের ১৪ শতাংশ এবং এমএসসিআই এমার্জিং মার্কেটের ১০ শতাংশের বেশি।

বিসিজি প্রতিবেদনে কম্পানিগুলোর মধ্যে দৃঢ় আশাবাদ পেয়েছে এবং এদের ৫৭ শতাংশ বিশ্বাস করে পরবর্তী প্রজন্ম আরো ভালো জীবনযাপনের সুযোগ পাবে। বাংলাদেশের একটি উদীয়মান তরুণ শ্রমশক্তি রয়েছে। যাদের গড় বয়স ২৮ বছর। এ দেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যা ৬৮.৪ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশে ৮৩ শতাংশ কম্পানির সাহসী ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভিশন রয়েছে এবং ৩৮ শতাংশ আরো ভালো গ্রাহক ফলাফল অর্জনে মনোনিবেশ করেছে। প্রায় ৭৮ শতাংশ কম্পানি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে তারা প্রতিনিয়ত রূপান্তরের একটি সংস্কৃতি তৈরি করতে সক্ষম হবে এবং ৬১ শতাংশ আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণে কৌশল গ্রহণ করেছে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড তৈরি করার জন্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোক্তা বাজার বিশ্বের নবম বৃহৎ হওয়ার পথে রয়েছে মধ্যবিত্ত ও উচ্চ শ্রেণির দ্রুত বিস্তৃতির মধ্য দিয়ে। এই শ্রেণিটি ২০২০ সালের ১৯ মিলিয়ন থেকে ২০২৫ সাল নাগাদ হবে ৩৪ মিলিয়ন। ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গড়ে বার্ষিক ৬.৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডকে ছাড়িয়েছে। এ দেশের প্রবৃদ্ধির হার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর দ্বিগুণ এবং বৈশ্বিক গড় ২.৯ শতাংশের চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি।

বিসিজির বৈশ্বিক চেয়ার ইমেরিটাস হ্যানস-পল বার্কনার বলেন, ‘চীন ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ায় দুটি ডায়নামিক দেশ রয়েছে। আমি বলতে চাইছি ভারত ও বাংলাদেশ শক্তিশালী গতিতে রয়েছে। ’

বৈশ্বিক টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক সরবরাহ শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। বিসিজি মনে করে, এই খাতের দেশীয় কম্পানিগুলো বিশ্বজুড়েও তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে। এ ছাড়া ডিজিটাল খাতে সরকারি ব্যয় গত এক দশকে তিন গুণ বেড়েছে। সরকারের ২০৪১ ভিশন ও স্মার্ট জাতীয় পরিকল্পনা এই খাতের প্রবৃদ্ধিকে জোরালো করছে। টেলিকম খাতে বিশ্বের নবম বৃহৎ মোবাইল মার্কেটে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। এনজিও খাতও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য চালকের ভূমিকা রাখছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এনজিও ব্র্যাক ও গ্রামীণ ব্যাংক বিশাল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আর্থিক নিরাপত্তা জালে নিয়ে আসছে। স্টার্টআপ শিল্প এরই মধ্যে ৭০০ মিলিয়ন ডলারের ওপর তহবিল গড়ে তুলেছে। সরকারও এ খাতকে এগিয়ে নিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। অন্যান্য খাতের মধ্যেও অনেক কম্পানি বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ভূমিকা রাখছে। যেমন—প্রাণ-আরএফএল আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজি গড়ে তুলছে। ওষুধ কম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে বাজার বিস্তৃত করছে। প্রতিবেদনে ওয়ালটন, স্কয়ার, বেক্সিমকো, পিএইচপি, সামিট গ্রুপ, বিকাশ, শপ আপ, পাঠাও, ব্র্যাক ব্যাংক, রেনেটা, মেঘনা ও কনফিডেন্স গ্রুপের সাফল্যের কথা উঠে এসেছে। বিসিজি মনে করছে, বর্তমান বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ছে। তবে বাংলাদেশ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে সফলতার সঙ্গেই এ দেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হওয়ার পথে এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহেমদ পলক বলেন, ‘আমরা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে বিশ্বাসী। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনকে লক্ষ্য রেখে এগিয়ে যাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, ২০২৫ সালের মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে অন্তত পাঁচটি ইউনিকর্ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে গড়ে উঠবে। ’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক আগেই ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখেছে। এ বিষয়টি এখন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এখন আমরা বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমি বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপকে এ ধরনের সমীক্ষা পরিচালনার জন্য ধন্যবাদ জানাই, যেখানে আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতার চিত্র উঠে এসেছে। ’

বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের গ্লোবাল চেয়ার ইমেরিটাস হ্যান্স-পল বার্কনার বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন অন্যান্য উন্নয়নশীল অর্থনীতির জন্য রোল মডেল। এই দেশটি এরই মধ্যে অনেক কিছু অর্জন করেছে। বিশেষ করে দেশের বেসরকারি খাতের অপরিসীম অবদানের কারণে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর রূপান্তর এবং দেশের বেসরকারি খাতের উল্লেখযোগ্য অবদান এই গতিকে ত্বরান্বিত করেছে। লক্ষ্য অর্জন করতে এবং দেশের

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত রাখতে স্থানীয় বেসরকারি খাতের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে রূপরেখা আমাদের সমীক্ষায় প্রকাশ করা হয়েছে। ’

এ বিষয়ে বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের সিনিয়র পার্টনার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর জারিফ মুনির বলেন, ‘এই প্রতিবেদন নিয়ে আমরা উচ্ছ্বসিত। ৫-৭ বছর আগে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি দেশের প্রবৃদ্ধির পেছনে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে। অন্যদিকে বেসরকারি খাত থেকে উদীয়মান চ্যাম্পিয়নরা তৈরি হয়েছে, যাদের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে, পরিণত হবে ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমিতে। আমাদের উদীয়মান চ্যাম্পিয়নদের বৈশ্বিকভাবেও বিস্তৃতির লক্ষ্য রয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে তাদের এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র হবে—সব সময় রূপান্তরে প্রাধান্য দেওয়া, সামাজিক প্রভাবসহ আরো অনেক বিষয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

‘বেস্ট এমপ্লয়ার অ্যাওয়ার্ড’পেলো হুয়াওয়ে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

‘বেস্ট এমপ্লয়ার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আইসিটি খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি ও এই খাতে ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেমের বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখায় ফরেন ক্যাটাগরিতে প্রতিষ্ঠানটিকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিত বিএসএইচআরএম-গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স ৯ম আন্তর্জাতিক এইচআর কনফারেন্স ২০২২-এ হুয়াওয়েকেব এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। অ্যাওয়ার্ডটি গ্রহণ করেন হুয়াওয়ে টেকনোলোজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান হুয়াং বাওশিয়ং।

‘ইন বাংলাদেশ ফর বাংলাদেশ’ লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশে ১৯৯৮ সালে কার্যক্রম শুরু করে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। দীর্ঘ সময়ের এই যাত্রায় ধারাবাহিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে গ্রাহক-কেন্দ্রিক উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে গেছে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ। দেশের গ্রাহক, ভেন্ডর ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটগুলোর সাথে বিভিন্ন পর্যায়ের নানামুখী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কাজ করে গেছে প্রতিষ্ঠানটি। আইসিটি স্কিলস প্রতিযোগিতা, সিডস ফর দ্য ফিউচার, ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রাম, আইসিটি একাডেমি, হুয়াওয়ে আইসিটি ইনকিউবেটর এবং আরও বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের আইসিটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয় কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে বিশ্বমানের কাজের সুযোগ তৈরি করতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের সামগ্রিক আইসিটি খাতকে সফল ও টেকসই করতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে।

হুয়াওয়ে বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান হুয়াং বাওশিয়ং বলেন, ‘এই ব্যবসায়িক ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে ২০ হাজারেরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে হুয়াওয়ে। ভিন্ন ভিন্ন অপারেটরের সাথে একযোগে টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি চালু করে প্রতিষ্ঠানটি; পাশাপাশি, ফাইভজি উন্মোচনের লক্ষ্যেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে যাচ্ছে তারা। বিভিন্ন ক্যাম্পেইন ও উদ্যোগের মাধ্যমে আইসিটি ইকোসিস্টেমের বিকাশে সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ শুরু করেছে হুয়াওয়ে।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

আইসিসিবির সিরামিক মেলায় এক্স সিরামিকস গ্রুপ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চীনামাটির তৈরী পন্য নিয়ে এশিয়া অঞ্চলের অন্যতম আয়োজন, সিরামিক এক্সপো বাংলাদেশে অংশ নিয়েছে এক্স সিরামিকস গ্রুপ।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া সিরামিক প্রদর্শনীতে এক্সমনিকা, এক্সমোনালিসা, আলেকজান্ডার ও ভেনাস নামে চারটি ব্রান্ডের পসরা সাজিয়েছে দেশের অন্যতম এই প্রতিষ্ঠানটি।

তিনদিনব্যাপী এই মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমইএ)। স্বাগতিক বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৫টি দেশের ৯০টি প্রতিষ্ঠানসহ ২০০টি ব্রান্ড। মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য এক্স সিরামিকস গ্রুপের সৌজন্যে রয়েছে ‘ফ্রি কফি’ জোন।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহিন মাজহার বলেন, এক্স সিরামিকস গ্রুপ এই খাতের প্রথম ইতালীয় যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান যেটি উদ্ভাবনী পন্য উৎপাদনের মাধ্যমে দেশে আমদানি কমাতে সাহায্য করেছে। তিনি বলেন, গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী পন্যে উদ্ভাবন বজায় রাখছে প্রতিষ্ঠানটি।

এক্সসিরামিকসের পরিচালক মোরশেদ আলম বলেন, বাংলাদেশে সিরামিক টাইলসের ভবিষ্যৎ খুবই সম্ভাবনাময় যেমনটি এই মেলায় বিশ্বমানের পণ্য প্রদর্শনী হচ্ছে। মানসম্পন্ন সিরামিক পন্যের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রচুর ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, স্থানীয় উৎপাদনকারীরা বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে সিরামিক পণ্য রপ্তানি করে বছরে আয় প্রায় পাঁচশত কোটি টাকা। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ খাতটির সঙ্গে জড়িত।

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে জেনেক্স; ২য় ওরিয়ন ফার্মা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ১৬৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকার।

বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড ৯৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে-  নাভানা ফার্মার ৮৫ কোটি ৫২ লাখ, পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৭৮ কোটি ৮ লাখ , ইষ্টার্ণ হাউজিংর ৬৬ কোটি ৬৭ লাখ, সী পার্লস রিসোর্টের ৬১ কোটি ৩৪ লাখ, ইন্ট্রাকো রি-ফুয়েলিংয়ের ৫১ কোটি ৩০ লাখ, সামিট এলায়েন্স পোর্টের ৪৯ কোটি ৮৩ লাখ ও স্কয়ার ফার্মার ৪৫ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

ডিএসই’র মূলধন কমেছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা 

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা কমেছে। এই সপ্তাহে সেখানে লেনদেন ও সূচকেরও পতন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মোট ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬৯ কোটি টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৫ দিনে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৩১.৫২ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে গড় লেনদেন ৪১৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকার হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬০৪ কোটি টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে প্রতিদিনের গড় লেনদেন ৩১.৫২ শতাংশ কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫০.৮৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৬১৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ১০.২৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২১৮৯ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ১০.০৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩৫৪ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৯৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২৩টির, কমেছে ৮০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭৫টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ২১টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৭৯ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। এই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন ৩৪৫৪ কোটি টাকা বা ০.৪৫ শতাংশ কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///