অনলাইন ‘সিকিউরিটি ডে’ পালন করলো গ্রামীণফোন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে আমাদের অনলাইন উপস্থিতির সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন স্বাভাবিকতায় ডিজিটাল নির্ভরতা বৃদ্ধির ফলে সাইবার নিরাপত্তাকে এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। এজন্য, সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান শঙ্কার বিষয়ে গ্রাহক ও কর্মীদের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে গ্রামীণফোনের মূল প্রতিষ্ঠান টেলিনর গ্রুপ অক্টোবর মাসকে সাইবার নিরাপত্তা সচেতন মাস হিসেবে বিবেচনা করে বাংলাদেশ সহ এর সব অপারেটিং মার্কেটে আজ (১৩ অক্টোবর) ‘সিকিউরিটি ডে’ পালন করেছে।

‘টেলিনর সিকিউরিটি ডে’ উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হোসেন ও বিজনেস সিকিউরিটি অফিসার রুনে ইয়েলসিং; টেলিনরের গ্রুপ বিজনেস সিকিউরিটি ডিরেক্টর মিকেলসেন ওয়েস্তাইন এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ। অনুষ্ঠানে টেলিনর ও এর অংশীজনরা অনলাইন স্পেসে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা সমস্যা নিয়ে তাদের উদ্বেগ তুলে ধরেন।

সাইবার-নিরাপত্তার ব্যাপারে টেলিনর এবং গ্রামীণফোন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, অনলাইনে ব্যবহারকারীদের দায়িত্বপূর্ণ আচরণ ও কার্যকলাপ ইন্টারনেট, প্রাইভেসি ও সাইবার আক্রমণকারীদের থেকে মূল্যবান তথ্য নিরাপদ রাখতে সহায়তা করবে। সাইবার হামলা শনাক্ত, প্রতিরোধ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভূমিকা পালন করতে পারে সাধারণ জনগণ। ‘উই আর সিকিউরিটি – সিকিউরিটি ইজ এভরিওয়ান’স রেসপনসিবিলিটি’ – শীর্ষক এই বছরের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গ্রামীণফোন এর কর্মী, পার্টনার এবং অংশীজনদের সাথে বাস্তব জীবনের ক্ষেত্রে উদাহরণ ও পেশাগত জীবনে এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছে।

হিউম্যান ফায়ারওয়্যাল তৈরির উদ্দেশ্যে এবং নিরাপত্তা বিষয়ে সবাইকে তাদের দায়িত্বের ব্যাপারে সচেতন করতে টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ওয়েবিনার, নিরাপত্তা বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কারের আয়োজন করা এবং নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বাস্তব উদাহরণ ও এর পরিণতি সম্পর্কিত অডিও-ভিজ্যুয়াল ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট লার্নিং মডিউল তৈরির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করে।

এছাড়াও, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান একটি নিরাপদ ভার্চুয়াল স্পেস তৈরির উদ্দেশ্যের ব্যাপারে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, “ইন্টারনেটের ওপরে নির্ভরতা বৃদ্ধির সাথে সাথে সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকিও ক্রমেই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। এবং এটা শুধুমাত্র এ বৈশ্বিক মহামারি চলাকালীন সময়েই নয়, বরং সবসময়ই প্রাসঙ্গিক। কানেক্টিভিটির সম্ভাবনার সর্বোত্তম ব্যবহারে নাগরিকদের জন্য সেফটিনেট নিশ্চিত করে একটি বিশ্ব তৈরিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সবার জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিতে গ্রামীণফোনে আমরা আমাদের গ্রাহকদের সচেতন করে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ।”

টেলিনরের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এর নেটওয়ার্কে ইন্টারনেট নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে, দু’টি প্রাসঙ্গিক ফোরাম হচ্ছে – ইনফরমেশন সিকিউরিটি ফোরাম (আইএসএফ) এবং জিএসএম অ্যাসোসোসিয়েশন ফ্রড অ্যান্ড সিকিউরিটি গ্রুপ (এফএএসজি)। গ্রামীণফোন উদ্ভাবনী নানা প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশেও এর কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছে, যেমন- ‘ইন্টারনেটের দুনিয়ায় জানতে হবে, কোথায় আপনার থামতে হবে,’ ‘বি স্মার্ট ইউজ হার্ট’, ‘ঠিক লাইনে অনলাইনে’, ‘ডিজিওয়ার্ল্ড’, প্রাসঙ্গিক অডিও-ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, বুকলেট এবং স্বনামধন্য বিভিন্ন স্থানীয় এবং বৈশ্বিক সংস্থার সাথে পার্টনারশিপ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *