অর্থপাচার মামলায় পাঁচ জনকে কারাগারে দিলেন হাইকোর্ট

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদেশে অর্থপাচার এবং ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্য খালাস করার অভিযোগের মামলায় বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ না করে ফের হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করায় পাঁচ আসামিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ৫ আসামিকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে সোমবার আদালত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এরপর তাদের শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট ফয়সল হাসান আরিফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

যাদের পুলিশে দেওয়া হয়েছে সেই পাচঁ আসামি হলেন-ফরিদপুর জেলার মোফাজ্জেল হোসেন মোল্লা, মো. রাহাত হোসেন, আলাউদ্দিন মোল্লা ও রমজান আলী এবং পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মো. সুমন। এ পাঁচ আসামিই বর্তমানে চট্টগ্রাম বসবাস করেন।

বিদেশে অর্থ পাচার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় গতবছর ৯ সেপ্টেম্বর ওই ৫ জনসহ ৯ জনকে আসামি করে ঢাকার কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের দুই সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা নিতাই চন্দ্র মন্ডল ও মো. আজিবর রহমান পৃথক দুটি মামলা করেন। রুটি মেকার ও ধুমপান সংক্রান্ত মেশিন আমদানির ঘোষণা দিয়ে ১ কোটি ৩২ লাখ পিস সিগারেট আমদানি এবং ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে কর ফাঁকি দিয়ে পণ্য খালাস করার অভিযোগ আনা হয় মামলায়।

মামলায় আরো বলা হয়, এর মাধ্যমে ২ কোটি ৪৭ লাখ ৫১ হাজার ২৪২ টাকার সমপরিমান বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করা হয়েছে। কাস্টম বিভাগ থেকে ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে রাজস্ব পরিশোধ দেখিয়ে পণ্য খালাস করে নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ১৬ কোটি অভিযোগের মামলায় ৩৭ লাখ ৯৪ হাজার ২৮৩ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।

এ মামলায় উল্লেখিত ৫ আসামি গতবছর হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন। হাইকোর্ট গতবছর ২৪ সেপ্টেম্বর তাদের চার সপ্তাহের জামিন দেন। একইসঙ্গে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু হাইকোর্টের এ আদেশ অনুযায়ী আসামিরা ঢাকার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পন না করে আবার হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন। এ অবস্থায় হাইকোর্ট জামিন না দিয়ে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাদের সংশ্লিস্ট আদালতে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। এ ঘটনার পর প্রথমে তাদের কোর্ট পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে তাদের তুলে দেওয়া হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *