আইএমএফ ঋণ দিলে অন্য সংস্থাগুলোও দেবে : মসিউর রহমান

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, ‘আইএমএফের ঋণ পাওয়া হলো চারিত্রিক সনদের মতো। অর্থাৎ আগে যেমন কোনো গেজেটেড কর্মকর্তার কাছ থেকে চারিত্রিক সনদ নিতে হতো, না চিনলেও তিনি বলে দিতেন, তাহার চরিত্র ভালো। কোনোদিন দুষ্টুমি করেন নাই, ইত্যাদি ইত্যাদি। সে রকম আইএমএফ বাজেট সহায়তা হিসেবে ঋণ দিলে সেটি কোনো দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু হওয়া বোঝায়। এটি হলে অন্য দেশ বা সংস্থা ঋণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করবে সহজেই। সেই সঙ্গে বিনিয়োগও আসবে।

গত বৃহস্পতিবার ‘সাউথ সাউথ অ্যান্ড ট্রায়াঙ্গুলার কো-অপারেশন: ট্যাপিং নিউ অপরচুনিটিস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মসিউর রহমান এসব কথা বলেন। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ সেমিনারের আয়োজন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও ইউএনডিপি। নলেজ ফর ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের আওতায় এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইআরডির সচিব শরিফা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএন রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর গুয়েন লুইস ও ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের সিইও অ্যান্ড চেয়ারম্যান এম. মাশরুর রিয়াজ এবং রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. এম. এ. রাজ্জাক। সেমিনারে বক্তব্য দেন ইআরডির অতিরিক্ত সচিব ফয়জুল ইসলাম, ইউএনডিপির কান্ট্রি ইকোনমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মসিউর রহমান আরও বলেন, রিজার্ভ কমে যাওয়া এবং জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে আমরা খুব চিন্তিত। বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি হয়েছে আন্তর্জাতিক কারণে। কভিড মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরবরাহ চেইন ব্যাহত হয়েছিল। তবে এখন অনেক পণ্যের দাম কমেছে। সংকট গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী হবে না। শিগগির কেটে যাবে।

তিনি বলেন, দক্ষিণ ও দক্ষিণে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে বিনিময় মুদ্রা। একক কোনো মুদ্রা থাকলে ভালো হতো।

মূল প্রবন্ধে এম. মাশরুর রিয়াজ বলেন,নলেজ শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ ও দক্ষিণ সহযোগিতার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব। এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প সমস্যায় পড়বে। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে। এজন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।

এম. এ. রাজ্জাক বলেন, দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলোÑনলেজ শেয়ারিংয়ের অভাব, আমদানি-রপ্তানির মধ্যে সামঞ্জ্যহীনতা, রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণ না হওয়া, কানেক্টিভিটি জোরদারকরণ, এলডিসি উত্তরণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ এবং শুল্ক ও অশুল্ক বাধা প্রভৃতি। এসব ক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।

শরিফা খান বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও কভিড-১৯ পরবর্তী অবস্থায় দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার মাধ্যমে রাষ্ট্রগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে। সেই সঙ্গে এসডিজির লক্ষ্য বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে হবে।

বক্তারা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে চীন ও ভারতে রপ্তানি বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম///

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *