আকুর দেনা শোধের পর রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বৈশ্বিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফেরাতে আমদানি দায় কমানোর উদ্যোগের মধ্যেও সংকট যায়নি। নতুন এলসি কমলেও আগের দায় পরিশোধের চাপ রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে। এর মধ্যে নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ১১২ কোটি ডলারের বেশি পরিশোধ করতে হবে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমে ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নামতে পারে।

গত বুধবার রিজার্ভ ছিল ৩৩ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলারের কম। অবশ্য আইএমএফের পরামর্শ মেনে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে রিজার্ভের হিসাব করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ। এতে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

রিজার্ভের পতন ঠেকাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক, জাইকাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। সম্প্রতি এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রতিশ্রুত ২৫ কোটি ডলার রিজার্ভে যোগ হয়েছে। নতুন বছরে আইএমএফের প্রতিশ্রুত ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ ছাড় শুরুর আশা করা হচ্ছে।

তবে সংস্থাটি থেকে ঋণ নিতে বাংলাদেশকে কিছু সংস্কার করতে হবে। শর্তের অন্যতম হলো- আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রিজার্ভের হিসাব করতে হবে। বিশেষ করে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে জোগান দেওয়া ৭ বিলিয়ন ডলারসহ বিভিন্ন তহবিলে দেওয়া ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বাদ দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এতে সম্মত হয়েছে। সে বিবেচনায় চলতি সপ্তাহে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ নামবে ২৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইডিএফের বিকল্প একটি বড় তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। নতুনভাবে গঠন করা তহবিল থেকে রপ্তানিকারকদের ডলারের বিকল্প হিসেবে অনেক কম সুদে টাকায় ঋণ দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে ইডিএফের আকার কমিয়ে যে ডলার ফেরত আসবে তা রিজার্ভ হিসেবে দেখানো হবে। এরই মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ডের বিকল্প টাকায় একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া অর্থ পাচার ঠেকাতে আমদানি-রপ্তানিতে আন্ডার ইনভয়েসিং এবং ওভার ইনভয়েসিং ঠেকানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ছাড়া বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় বাড়ানো, রপ্তানি আয় ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সূত্র : সমকাল

স্টকমার্কেটবিডি.কম////

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *