ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে রেমিটেন্স

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

রোজার ঈদের আগে এপ্রিলে প্রবাসীরা ২০৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা গতবছরের একই সময়ের চেয়ে ৮৯ শতাংশ বেশি। গত বছর এপ্রিলে ১০৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার দেশে রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

অর্থ মন্ত্রণালয় গতকাল রবিবার হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে প্রায় ২০ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৯ শতাংশ বেশি।

গত অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে ১৪ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা। একক মাসে হিসেবে এপ্রিলে রেমিটেন্স বেশি বাড়ার কারণ চলতি মাসের মাঝামাঝিতে রোজার ঈদ। সাধারণত ঈদের আগে প্রবাসীরা বরাবরাই দেশে স্বজনদের কাছে বেশি অর্থ পাঠান।

এছাড়া গত বছর বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকে মার্চ-এপ্রিলে। তখন বিভিন্ন দেশে লকডাউন থাকাসহ বিভিন্ন কারণে এপ্রিলে রেমিটেন্স কমেছিল।

চলতি অর্থবছর শেষ হতে এখনও দুই মাস বাকি। অথচ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসেই গত অর্থবছরের চেয়ে সাড়ে ১৩ শতাংশ বেশি রেমিটেন্স চলে এসেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের পুরো সময়ে (জুলাই-জুন) ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল।

২০২০ সালের নয় মাসই গেছে মহামারীর সঙ্কটের মধ্যে, এখনও সে বিপদ কাটেনি। পুরো বিশ্বের মত বাংলাদেশের অর্থনীতিও এ সঙ্কটে হোঁচট খেয়েছে। তবে এর মধ্যেও প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ প্রবাহ কমেনি; উল্টো বেড়েছে।

প্রবাসীদের পাঠানো এই অর্থের উপর ভর করে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন আবার ৪৪ বিলিয়ন ডলার কাছাকাছি যাচ্ছে । চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৫ এপ্রিল বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন হয়েছে ৪৩ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। এই রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার হিসেবে প্রায় ১১ মাস সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *