উৎপাদন বন্ধ করেছে দেড় হাজার তৈরি পোশাক কারখানা

garmetnsস্টকমার্কেট প্রতিবেদক :

উৎপাদনে নেই দেড় হাজারেরও বেশি রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা। এর মধ্যে কিছু কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু কারখানায় নেই রফতানি আদেশ। কাজ না থাকায় এসব কারখানাও বন্ধ হওয়ার পথে।

প্রাথমিক সদস্যসহ বিজিএমইএর মোট সদস্য কারখানার সংখ্যা চার হাজার ৩৩৯টি। ঢাকা অঞ্চলের কারখানার সংখ্যা তিন হাজার ৬২৮টি। এর মধ্যে গত এক বছরে রফতানি আদেশের বিপরীতে ব্যবহূত কাঁচমাল আমদানির অনুমতি বা ইউডি (ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন) নিয়েছে এক হাজার ৬১৮ কারখানা। মূলত এরাই সরাসরি উৎপাদন এবং রফতানি প্রক্রিয়ায় রয়েছে। ইউডি না নিলেও ৮৭২ কারখানা সাব-কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে উৎপাদনে রয়েছে। বাকি কারখানাগুলো উৎপাদনে নেই। সরাসরি প্রতিটি কারখানা সরেজমিন পরিদর্শনের পর প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিজিএমইএর কমপ্লায়েন্স সেল।

জানা গেছে, ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর নিয়মিত উৎপাদনে না থাকাসহ অন্যান্য কারণে ৫৫০ কারখানার সদস্যপদ বাতিল করেছে বিজিএমইএ। ৩০০ কারখানা নিজেরাই বন্ধ করে দিয়েছে মালিক পক্ষ। নিয়মিত উৎপাদনে না থাকার কারণে ১৮০ কারখানার সদস্যপদ বাতিল করেছে বিকেএমইএ। বিকেএমইএভুক্ত ২০০ কারখানা নিজেরাই বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকরা।

বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, গত দুই বছরে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। এ সময় প্রধান দুই বাজার ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে দর কমেছে গড়ে প্রায় ৭ শতাংশ। আর বিশ্ববাজারে পোশাকের চাহিদা কমেছে ৮ শতাংশ। এই তিন প্রতিকূলতায় গত অর্থবছরে পোশাকের রফতানি প্রবৃদ্ধি নেমে আসে ১৫ বছরে সর্বনিল্ফেম্ন। গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) পোশাকের দর কমেছে ৪ দশমিক ৭১ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে কমেছে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। চলতি বছরও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে।

সূূত্র অনুযায়ী, নতুন মজুরি কাঠামোর জন্য ব্যয় বেড়েছে ৩২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গত বছর বিদ্যুৎ বাবদ ব্যয় বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ এবং গ্যাসে বেড়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ৪০ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিংসহ (সিঅ্যান্ডএফ) পরিবহন খাতে। সব খাত মিলিয়ে গত বছর উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে আগের বছরের তুলনায় ১৮ দশমিক শূন্য এক শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *