ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট কোম্পানির মূলধন হবে ৫০০ কোটি টাকা

bsecনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য গঠিত আলাদা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন প্রস্তাব করা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট কোম্পানি নামে আলাদা এ কোম্পানি গঠনের একটি খসড়া আইনও তৈরি করা হয়েছে। এই খসড়া আইন থেকে এইসব তথ্য জানা যায়।

গত ৬ অক্টোবর শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদিত এ খসড়া আইনে বলা হয়েছে, নতুন কোম্পানির মালিকানার সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ দুই স্টক এক্সচেঞ্জ মিলে ধারণ করতে পারবে। নতুন গঠিত কোম্পানিটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর তিন মাসের মধ্যে দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে লেনদেন নিষ্পত্তি কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি দুই স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন নিষ্পত্তির সুরক্ষা তহবিলও নতুন কোম্পানিতে স্থানান্তরিত হবে। বর্তমানে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে সম্মিলিতভাবে এ তহবিলের জন্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকা সংরক্ষিত রয়েছে।

খসড়া আইনটি মতামতের জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জসহ (সিএসই) সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। ২২ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে খসড়া আইনের ওপর তাদের মতামত দিতে বলেছে বিএসইসি। ওই সব মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করে আইনটি চূড়ান্ত করা হবে।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, দুই স্টক এক্সচেঞ্জ সম্মিলিতভাবে ৭০ শতাংশ মালিকানা নিতে পারলেও এককভাবে কোনো স্টক এক্সচেঞ্জের ৪৯ শতাংশের বেশি মালিকানা থাকবে না। স্টক এক্সচেঞ্জ ছাড়াও সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং কৌশলগত বিনিয়োগকারী কোম্পানিটির মালিকানার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবে। এর বাইরে সিডিবিএল এবং কৌশলগত বিনিয়োগকারী যে কেউ চাইলে কোম্পানিটির সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ মালিকানা নিতে পারবে।

লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য গঠিত হতে যাওয়া নতুন কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সম্পর্কে খসড়া আইনে বলা হয়েছে, পর্ষদ হবে ১১ সদস্যের। এদিকে লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য আলাদা কোম্পানি গঠিত হলে তাতে শেয়ারবাজারে লেনদেন-সংক্রান্ত ঝুঁকি অনেক কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *