স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামে চায়ের নিলাম মৌসুম শুরু হয়েছে। সোমবার শুরু হওয়া ২০২২-২৩ মৌসুমের প্রথম নিলামে সাড়ে ১১ লাখ কেজি চা বিক্রির জন্য প্রস্তাব করেছেন বাগান মালিকরা। তবে চাহিদা বেশি থাকলেও আশানুরূপ ভালো মানের চা না আসায় প্রস্তাবের এক-তৃতীয়াংশ চা অবিক্রীত থেকে গেছে।
ব্রোকার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর দেয়া তথ্যে দেখা গেছে, নিলামে ২১ হাজার ১০৯ প্যাকেটে সর্বমোট ১১ লাখ ৫৪ হাজার কেজি চা বিক্রির জন্য প্রস্তাব করা হয়। আগের মৌসুমের প্রথম নিলামে চা উঠেছিল ১৫ লাখ ২৫ হাজার কেজি। এ বছর শুরু থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সরবরাহ কমেছে। যার কারণে
আগামী নিলামেও পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে কম অর্থাৎ ১২ লাখ কেজি চা প্রস্তাবের ঘোষণা দিয়েছে বাগান মালিকদের মনোনীত ব্রোকার্স প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০২১-২২ মৌসুমে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় নিলামে চা উত্তোলন হয়েছিল ১৪ লাখ ২১ হাজার ১৮৩ কেজি।
নিলামে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে এইচআরসি গ্রুপের ক্লিভডন বাগানের চা। বাগানটির জিবিওপি(এস) গ্রেডের চায়ের ১০ লটের একটি প্যাকেজ বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৩৫৬ টাকা দরে। একই বাগানের ওএফ গ্রেডের ১০ লটের একটি প্যাকেজ চা বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩৯ টাকা দরে।
এছাড়া শীর্ষ দামের চা বিক্রিকারী বাগানগুলোর মধ্যে রয়েছে লস্করপুর চা বাগানের দুই লট (প্রতি লটে ১০ বস্তা), মধুপুর বাগানের দেড় লট (১৫ বস্তা)। দারাগাঁও বাগানের চায়ের একটি লটও সর্বোচ্চ দামে বিক্রির তালিকায় রয়েছে।
নিলামসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মৌসুমের প্রথম নিলামে চাহিদা থাকলেও ভালো মানের চায়ের সরবরাহ কম ছিল। যার কারণে চাহিদা বেশি থাকা সত্ত্বেও ৭০ শতাংশ চা বিক্রি হয়েছে। বাকি ৩০ শতাংশ চা অবিক্রীত থেকে গেছে। সম্প্রতি দেশজুড়ে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় আগামী নিলামগুলোয় ভালো মানের চায়ের সরবরাহ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তারা।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড