গেল সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পর্ষদ চার কোম্পানিকে মূল মার্কেট থেকে তালিকাচ্যুত করে ওটিসিতে পাঠানোর প্রস্তাব চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে পাঠিয়েছে। একইভাবে আরো তিন স্বল্প মূলধনি কোম্পানি তালিকাচ্যুতির প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে বস্ত্র খাতের দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস লিমিটেড, পাট খাতের জুট স্পিনার্স লিমিটেড ও চামড়া খাতের সমতা লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেড। এ মাসের মধ্যেই কোম্পানি তিনটিকে তালিকাচ্যুত করার বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক মো. রকিবুর রহমান বলেন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব এ তিন কোম্পানির শুনানি শেষ করতে চাই। যদি শুনানি শেষে তালিকাচ্যুত করার যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে আমরা এ তিন কোম্পানিকে মূল মার্কেট থেকে তালিকাচ্যুত করে ওটিসিতে পাঠাতে বিএসইসির অনুমোদন চাইব। একইভাবে ডিএসইর শর্টলিস্টে থাকা ৩০ কোম্পানির ক্ষেত্রেও পর্যায়ক্রমে অনুরূপ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আলোচ্য তিন কোম্পানির মধ্যে আবদুল আউয়াল মিন্টুর মালিকানাধীন মাল্টিমোড গ্রুপের কোম্পানি দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস লিমিটেড দীর্ঘদিন ধরেই লোকসানে রয়েছে। পাশাপাশি এর শেয়ারহোল্ডাররাও বছরের পর বছর লভ্যাংশ পাচ্ছেন না। ডিএসইতে সর্বশেষ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার ৩৯ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়।
শামস গ্রুপের কোম্পানি জুট স্পিনার্স লিমিটেড পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই লোকসান গুনছে। কোম্পানিটির উদ্যোক্তারা এর অবস্থা পরিবর্তনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। শেয়ারহোল্ডাররাও বঞ্চিত হচ্ছেন লভ্যাংশ থেকে। ডিএসইতে সর্বশেষ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার ১০৩ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়।
চামড়া খাতের কোম্পানি সমতা লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেডও দীর্ঘদিন ধরে লোকসানের কবলে রয়েছে। এর শেয়ারহোল্ডাররাও লভ্যাংশ পাচ্ছেন না। ডিএসইতে সর্বশেষ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার ৫৬ টাকায় লেনদেন হয়।
উল্লেখ্য, ডিএসইর লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫-এর ৫১(১)(এ) ধারা অনুসারে বিনিয়োগকারীদের পাঁচ বছর ধরে লভ্যাংশ না দেয়া, টানা তিন বছর ধরে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করা, ঐচ্ছিকভাবে কোম্পানির অবসায়ন কিংবা টানা তিন বছর ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকা, টানা তিন বছর ধরে লিস্টিং ফি’সহ অন্যান্য ফি প্রদান না করা এবং লিস্টিং রেগুলেশন কিংবা অন্য যেকোনো সিকিউরিটিজ আইন পরিপালনে ব্যত্যয়ের কারণে কমিশন ও স্টক এক্সচেঞ্জ যেকোনো কোম্পানিকে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত করতে পারবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/জেড