দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে নিত্যপণ্যের বাজারে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চাল, ব্রয়লার মুরগি ও সবজির সরবরাহ ভালো হওয়ায় বাজারে এর সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। পণ্যের দাম কমায় ঈদের পর কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে নিত্যপণ্যের বাজারে। আগামী ৩ জুন মহান সংসদে বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এবারের বাজেটে ভোগ্যপণ্যের দাম কমানোর বিশেষ কৌশল থাকবে। সবচেয়ে বড় কৌশল হচ্ছে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা। আসন্ন বাজেটে দ্রব্যমূল্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে মূল্যস্ফীতি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ যা গত বারো বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, কাপ্তান বাজার, ফকিরাপুল বাজার, যাত্রাবাড়ী বাজার এবং মুগদা বড় বাজার ঘুরে দেখা যায় নতুন করে আর কোন পণ্যের দাম বাড়েনি। বরং চাল, মুরগি, সবজিসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম কমেছে। আগামী বাজেট ঘোষণার পর যাতে নতুন করে কোন পণ্যের দাম না বাড়ে সেই প্রত্যাশা করছেন সাধারণ ভোক্তারা।

তাঁদের আশা, বাজেট ঘোষণার পরও বাজারেও স্বস্তি বিরাজ করবে। বোরো মৌসুমের নতুন চাল ওঠায় দাম কমতে শুরু করেছে। এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এর পাশাপাশি খাদ্য মজুদ বাড়াতে বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি করা হয়েছে। এর একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে।

গত পনের দিন আগেও মোটা চাল প্রতিকেজি ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হতো। এখন নতুন মৌসুমের মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৫ টাকায়। কমেছে মাঝারি মানের পাইজাম, লতা ও সরুমানের নাজিরশাইল ও মিনিকেট চালের দামও।

মাঝারি চাল ৫৪ থেকে ৫৫ এবং সরু চাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। কাপ্তান বাজারের চাল ব্যবসায়ী ও নুরু রাইছ এজেন্সির সত্বাধিকারী মো. নুরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, বাজারে নতুন মোটা চাল প্রতি কেজি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, বিআর আটাশ চাল ৪৫ থেকে ৪৬, মিনিকেট ৫২ থেকে ৫৩ এবং নাজিরশাইল চাল ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া কেজিতে ৩০ টাকা কমে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকায়। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও পাকিস্তানী লেয়ার মুরগি আগের মতো ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতিডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এক্ষেত্রে ডজনে দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত।

ফকিরাপুল বাজারে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। মসলাজাতীয় পণ্যের ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩৪ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়, যা কয়েক দিন আগের তুলনায় কেজিতে দুই টাকার মতো বেশি।

এছাড়া বাজারে ডাল ও চিনির দাম এখনো আগের মতোই রয়েছে। প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকা ও সরু দানার মসুর ডাল ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। অপরিবর্তিত আদা-রসুনের দাম।

কারওয়ান বাজারে আদা (চীনা) ১২০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে কমেছে বেশিরভাগ সবজির দাম। প্রতিকেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, সাজনা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, আলু ২০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।

এছাড়া প্রতিপিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকায়। ৫ টাকা দাম বেড়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। শসা ৪০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা ও লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। নিত্যপণ্যের বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। বাজাওে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০-৬০০ টাকায়। এছাড়া মাছ আগের দামে বিক্রি হচ্ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *