ধর্মঘটের হুমকি দিল জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানোসহ পাঁচ দাবিতে ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ হুমকি দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হক।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সাত দিনের মধ্যে তাদের দাবিগুলো না মানলে তারা ৩১ আগস্ট ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রতীকী ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করবে। তারপরও দাবি আদায় না হলে তারা লাগাতার ধর্মঘটের কর্মসূচিতে যাবে।

নাজমুল হক বলেন, তাঁরা চাইলে দেশে অচলাবস্থা তৈরি করতে পারেন, কিন্তু তাঁরা তা করেননি। এখন তাঁরা ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি দিচ্ছেন। কারণ, তাঁদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।

নাজমুল হক বলেন, ২০১৩ সালে অকটেন ও পেট্রল বিক্রি করে তাঁরা ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমিশন পেতেন। আর ডিজেল থেকে পেতেন ৩ দশমিক ২২ শতাংশ কমিশন। এখন এ কমিশন প্রায় ১ শতাংশ করে কমেছে। কমিশনের হার ৭ শতাংশ করার দাবি জানান তিনি।

জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে তেলের কারচুপি রোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা; অভিযানের সময় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বা বিপণন কোম্পানির প্রতিনিধি রাখা; সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ইজারা মাশুল যৌক্তিক হারে নির্ধারণ করা; রাস্তায় জ্বালানি পরিবহনের সময় ট্যাংক-লরির কাগজপত্র পরীক্ষার নামে পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা।

সংবাদ সম্মেলনে তেলের মাপে কারচুপি নিয়েও কথা বলেন নাজমুল হক। তিনি বলেন, তাঁরা তেল পরিমাপে কারচুপি রোধ অভিযানের বিরোধী নন। এ ব্যাপারে তাঁরা সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

তবে নাজমুল হক অভিযোগ করেন, যেসব পেট্রলপাম্পে পরিমাপে কোনো হেরফের পাওয়া যায় না, সেখানেও নানা অজুহাতে হয়রানি-জরিমানা করা হয়।

তেল বিক্রির কমিশন কম হওয়ার কারণে কেউ কেউ মাপে কারচুপি করতে পারেন বলে মনে করেন নাজমুল হক। এ ব্যাপারে সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কাউকে শাস্তি দেওয়ার কোনো ক্ষমতা তাদের নেই।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরে ইজারা মাশুল সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রায় প্রতিটি পাম্পের সামনে থেকে মূল রাস্তা পর্যন্ত সংযোগ সড়ক সওজ অধিদপ্তরের কাছ থেকে ইজারা নিতে হয়। গত মার্চে ইজারার হার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন হারে ইজারার টাকা অনেক বেড়ে গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে পাম্প পরিচালনার জন্য লাইসেন্স–প্রক্রিয়ার সমালোচনা করা হয়। বলা হয়, আগে ডিলারশিপ লাইসেন্স, বিস্ফোরক লাইসেন্স ও ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে পাম্প পরিচালনা করা যেত। এখন এই তিনটি লাইসেন্সের সঙ্গে পরিবেশ, ফায়ার ও লেবার লাইসেন্স নেওয়ার নিয়ম করা হয়েছে। এসব লাইসেন্স পাওয়া ও নবায়নে ঘুষ দিতে হয় বলে অভিযোগ সংগঠনটির।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হারুন অর রশীদ, যুগ্ম মহাসচিব মীর আহসান উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *