পরিচালকদের দ্বন্দ্বে ভুক্তভােগী বিনিয়োগকারীরা

boardনিজস্ব প্রতিবেদক :

কোম্পানিতে দুর্নীতি, অনিয়ম ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ। এতে ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান বজলুর রশিদের নেতৃত্বে এক পক্ষে রয়েছেন শিল্পপতি আজম জাহাঙ্গীর, যুক্তরাজ্য প্রবাসী মিজানুর রহমান ও বাবেল মিয়া। অন্য পক্ষে বাকি ১০ পরিচালক।

বর্তমানে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান আবদুল মালেক। দ্বন্দ্বের কারণে এজিএম না করায় কোম্পানটি শেয়ারবাজারে ‘এ’ থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নেমে আসে। দিনে দিনে আরো অচলাবস্থার তৈরি হচ্ছে।

ফলে সংকুচিত হয়ে আসছে এসব কোম্পানির প্রিমিয়াম আয়। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে বিনিয়োগকারী ও বীমাগ্রহীতাদের ভবিষ্যৎ।

গত বছরের ৯ নভেম্বর পরিচালকদের সভায় বজলুর রশিদকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। নতুন করে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান পদে বসানো হয় আবদুল মালিক নামে এক পরিচালককে। একই সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হয় আরেক পরিচালক গোলাম মোস্তফাকে। প্রায় এক মাস পর এ বিষয়ে আদালতে রিট করে চেয়ারম্যানের পদ ফিরে পান বজলুর রশিদ।

তবে একই দিন অন্য পক্ষের পরিচালকদের রিটে আবারো পদ হারাতে হয় তাকে। আদালতের আদেশে কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন আবদুল মালিক। পরিচালকদের দ্বন্দ্বের কারণে নির্ধারিত সময়ে বার্ষিক সাধারণ সভাও (এজিএম) করতে পারেনি কোম্পানিটি। এজিএম না করায় শেয়ারবাজারে ‘এ’ থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নেমে আসে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

কোম্পানিটির পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ করিম বলেন, বজলুর রশিদ অবৈধভাবে কোম্পানি দখল করে ছিলেন। আদালতের আদেশে তা আমরা আবারো ফিরে পেয়েছি। পরিচালকদের দ্বন্দ্বের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, কার্যক্রম পরিচালনায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে তা বিনিয়োগকারী ও বীমাগ্রহীতাদের পুষিয়ে দেয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *