পেঁয়াজের বিষয়ে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল: কৃষিমন্ত্রী

razzakস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘পেঁয়াজ উৎপাদন বেশি হলে কৃষক দাম পায় না। এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি হয়েছিল। আবার বৃষ্টিতেও এ বছর পেঁয়াজ বেশি নষ্ট হয়েছে। এমন সময় ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। তবে আমাদেরও ভুল হয়েছে, আগাম ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল।’

বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ের নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রবিশস্য সাতটি ও খরিপ-১ এর আওতায় দুটি শস্যসহ মোট ৯টি শস্যের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রণোদনা দেওয়ার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব বাড়াতে হবে। মাঠ থেকে পেঁয়াজ ওঠানোর সময় আমদানি বন্ধ রাখার চিন্তা করা হচ্ছে, যাতে কৃষক ভালো দাম পায়।’

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘৯টি শস্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে দেশের ৬৪ জেলায় ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ৮০ কোটি ৭৩ লাখ ৯১ হাজার ৮০০ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এই প্রণোদনা বাবদ কৃষকদের বীজ, সার ও পরিবহন খরচে নগদ টাকা দেওয়া হবে।’

যে ৯টি শস্য বাবদ প্রণোদনা দেওয়া হবে, তার মধ্যে সাতটি রবিশস্য হলো−গম, ভুট্টা, সরিষা, চিনাবাদাম, শীতকালীন মুগডাল, পেঁয়াজ ও সূর্যমুখী।
খরিপ-১ এর আওতায় দুটি শস্য হলো−গ্রীষ্মকালীন মুগডাল ও গ্রীষ্মকালীন তিল।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭০০ বিঘা জমিতে যে ৯টি ফসল উৎপাদন হবে, তার মাধ্যমে ৮৪০ কোটি ২৯ লাখ ৩৪ হাজার ২৯১ টাকা আয় হবে।’

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *