বাংলাদেশের ১০টি খাতে দক্ষ শ্রমিকের অভাব আছে বলে এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ‘লেবার মার্কেট অ্যান্ড স্কিল গ্যাপ ইন বাংলাদেশ: ম্যাক্রো ও মাইক্রো লেভেল স্ট্যাডি’ শীর্ষক এ গবেষণা পরিচালনা করেছে যৌথভাবে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এবং অর্থমন্ত্রণালয়।
রবিবার সকালে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে এ গবেষণা প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন বিআইডিএস’র মহাপরিচালক কেএএস মুর্শিদ। অর্থমন্ত্রণালয়ের স্কিল ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইআইপি) আওতায় এ গবেষণা পরিচালিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ১০টি খাতের শ্রমিকদের দক্ষতার অভাব আছে। খাতগুলো হলো- অ্যাগ্রো ফুড প্রসেসিং, স্বাস্থ্য সেবা, হাসপাতাল ও ট্যুরিজম, তৈরি পোশাক, বস্ত্র, চামড়া, তথ্য প্রযুক্তি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, জাহাজ নির্মাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান। আগামী ২০২০ সাল নগাদ এ ১০টি খাতে দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হবে ৭ কোটি ৩০ লাখ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হবে তৈরি পোশাক খাতে ৬০ লাখ এবং অ্যাগ্রো ফুড খাতে ৩০ লাখ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাজেটে জিডিপির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা যদি আমাদের অর্জন করতে হয় তাহলে এই পরিমান দক্ষ শ্রমিকের ঘাটতি মেটাতে হবে। তা না হলে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নাও হতে পারে।
এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের পর্যালোচনা প্রতিবেদন খুবই প্রয়োজন। আমাদের দেশের সার্বিক উন্নয়নে কোন খাতে কি পরিমান দক্ষ শ্রমিকের অভাব আছে তা জানা সহজ হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের জাহাজ নির্মাণ খাত বড় খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এ খাতে দক্ষ শ্রমিকের অভাব আছে। আমরা এবারের বাজেটে এ খাতে ৫ লাখ শ্রমিকের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামীতে এর সংখ্যা আরও বাড়বে।’