পৌনে ৫ কোটি লিটার সয়াবিন তেল নিয়ে বন্দরে জাহাজ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

সয়াবিন তেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর জলসীমায় পৌঁছেছে আরেকটি জাহাজ। ভোজ্যতেল আমদানিতে তিন ধাপে ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্তের পর সয়াবিন তেল নিয়ে আসা প্রথম জাহাজ এটি। বন্দরের জলসীমা থেকে এ সয়াবিন তেল প্রথমে ট্যাংক টার্মিনালে নেওয়া হবে। পরে সেখান থেকে কারখানায় নিয়ে পরিশোধন করে বাজারজাত হবে।

বাজারে তৈরি হওয়া সংকটের মধ্যে তেল নিয়ে আসা এ জাহাজে রয়েছে ৪২ হাজার ৮৫০ টন বা ৪ কোটি ৬৮ লাখ লিটার অপরিশোধিত সয়াবিন। দেশের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান এই তেল আমদানি করেছে। এই পাঁচ প্রতিষ্ঠান হলো সিটি, মেঘনা, বসুন্ধরা, সেনা কল্যাণ ও বাংলাদেশ এডিবল অয়েল। সাধারণত এত বড় জাহাজে সয়াবিন তেল আমদানির নজির কম। আমদানিকারকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ এক জাহাজের তেল দিয়ে ১০ থেকে ১২ দিনের চাহিদা পূরণ করা যাবে।

নরওয়ের পতাকাবাহী এমভি স্টেভেনজার পাইওনিয়ার জাহাজটি ব্রাজিলের পরানাগুয়া বন্দর থেকে রওনা হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি। সেই হিসাবে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাতে সময় লেগেছে ৩৪ দিন। আর জাহাজটিতে আসা সয়াবিন তেলের ঋণপত্র খোলা হয়েছে তারও আগে।

জাহাজটি বন্দর সীমানায় পৌঁছানোর কথা জানিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, রোববার জাহাজটি কুতুবদিয়ায় বন্দর জলসীমায় পৌঁছেছে। বন্দর ও কাস্টমসের প্রক্রিয়া শেষ করে জাহাজটি থেকে ছোট জাহাজের মাধ্যমে তেল খালাস শুরু হবে।

দেশে স্বাভাবিক সময়ে সয়াবিন তেলের চাহিদা থাকে মাসে এক লাখ টন। সেই হিসাবে এক জাহাজ তেল দিয়ে ১২ দিনের চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে রোজার সময় চাহিদা বেশি থাকে। তা সত্ত্বেও জাহাজটির তেলে ১০ দিনের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাহাজটিতে করে আমদানি হওয়া সয়াবিনের প্রতি টনের দাম পড়েছে প্রায় দেড় হাজার মার্কিন ডলার। আগের তুলনায় বেশি দামে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তেল কিনতে হয়েছে।’

জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে আসা সয়াবিনের প্রতি টনের গড় দাম ছিল ১ হাজার ৪০০ ডলার। এবার টনপ্রতি দাম ৮০ থেকে ৯০ ডলার বেড়েছে। তাতে ব্যয় বেড়েছে লিটারপ্রতি ছয় থেকে সাত টাকা। আর ভ্যাট কমানোয় লিটারপ্রতি সাশ্রয় হয়েছে ১২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৪ টাকা পর্যন্ত।

সরকার আমদানি পর্যায়ে ভ্যাটের হার ১৫ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে। আবার উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং সরবরাহ পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে। ভ্যাট কমানোয় এই জাহাজ থেকে প্রায় ৬০ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে না সরকার। তবে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। তাতে রাজস্ব মিলবে প্রায় ২৬ কোটি টাকা। সূত্র : প্রথম আলো

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *