গেলো কয়েকবছরে তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়া বেশ ভালোভাবেই লেগেছে শেয়াবাজারে। এখন দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই বাড়িয়েছে অনলাইনে শেয়ার বেচাকেনার কার্যক্রম। ফলে বেড়েছে বিনিয়োগকারীদের সরাসরি অংশগ্রহণও। তবে এসব থেকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থারা।
প্রযুক্তির এসব ইতিবাচক খবরের পাশাপাশি রয়েছে নেতিবাচক ব্যবহারও। গেলো কয়েক বছরে শেয়ার বেচাকেনা নিয়ে, নানা প্রলোভন আর গুজব ঘুরছে ফেসবুকসহ অন্য যোগাযোগ মাধ্যমে।
ডিএসইর ওয়েবসাইটে জানানো হয়, ফেসবুক, ওয়াটসআপ, ভাইবারসহ সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত তথ্যগুলো অমূলক। ডিএসই এসব মাধ্যমে কোনো ধরণের তথ্য প্রদান করে না।
আরো বলা হয়, এসব পেজের এডমিনকে অবৈধ্যভাবে তথ্য নেওয়ার অভিযোগে কপিরাইট আইন-২০০০ অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হবে।
অন্যদিকে দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোর নামে চলছে চটকদার বিজ্ঞাপন। বেশিভাগ নাম সর্বস্য কোম্পানির শেয়ারের দাম ৩ শ থেকে ৪শ শতাংশ বাড়ার নিশ্চিত খবরে সয়লাব ফেসবুক পেজগুলো। এতে লোভে পড়ে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
শুধু তাই নয়, টাকার বিনিময়ে “শেয়ারের নাম বা আইটেম” বিক্রি করছে কোনো কোনো ফেসবুক অ্যাডমিন। মোবাইল লেনদেন মাধ্যম ব্যবহার করে টাকার বিনিময়ে বলে দিচ্ছেন কোন শেয়ারের দাম বাড়বে, তার আগাম খবর। আর এ ফাঁদে পা দিয়ে আমছালা দুটোই হারাচ্ছেন অনেকেই।
শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে যে শুধু বিনিয়োগকারীরাই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তা নয়, নষ্ট হচ্ছে বাজারের ভারসাম্যও। তাদের মতে, এমন প্রচারণা বন্ধে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের হতে হবে আরো মনযোগী। বিনিয়োগকারীদের চাহিদা মাথায় রেখে, পরামর্শ প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন দেয়ার সুপারিশও করেন তারা।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড