ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন বেড়েছে ২৯ শতাংশ। এর প্রভাবে সার্বিক বাজার মূলধনের পরিমাণও বেড়েছে। উল্লেখ্য শেয়ারবাজারে ভালো মৌলভিত্তি কোম্পানির শেয়ার হিসেবে ‘এ’ ক্যাটাগরিকে বিবেচনা করা হয়। আর ডিএসইতে ‘এ’ ক্যাটাগরি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়াকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে শেয়ারবাজারের টানা পতনের কবলে পড়ে বিনিয়োগকারীরা আস্থা হারিয়ে বাজার থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়। কিন্তু গত দু’মাস ধরে বাজারে ওই ধরনের পতন দেখা যায়নি। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি আস্থা ফিরে পেয়েছেন। আর এ আস্থার প্রতিফলনে বর্তমান বাজারের যে ভিত্তি তৈরি হয়েছে সেখান থেকে পেছনে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই।
তাই এখনই ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগের উপযুক্ত সময়। দু-একদিন সামান্য কারেকশন হলে যারা প্যানিক হয়ে শেয়ার ছেড়ে দিয়ে নিজে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করেন তার শুধু নিজের ক্ষতি করছেন না বরং তারা গোটা বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। বিশ্লেষকরা এই অবস্থা থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন।
ডিএসই সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য মতে গত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির লেনদেন তার আগের সপ্তাহের তুলনায় ১.২৯ গুন বা ২৯.৪১ শতাংশ বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে টার্নওভার বেড়েছে ৯৯৭ কোটি ৭৩ লাখ ২৬ হাজার ১২৮ টাকা।
সূত্র মতে, গত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৯০ কোটি ৪৫ লাখ ৩৪ হাজার ৯৩৭ টাকা। তার আগের সপ্তাহে ছিল ৩ হাজার ৩৯২ কোটি ৭২ লাখ ৮ হাজার ৮০৯ টাকা।
এদিকে গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে পরিমাণ লেনদেন হয়েছে তার ৯৩.৯৬ শতাংশ অবদান রেখেছে ‘এ’ ক্যাটাগরি।
উল্লেখ্য, ‘এ’ ক্যাটাগরিতে বর্তমানে ২৬৪টি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে বিবিএস, এপোলো ইস্পাত, লাফার্জ সুরমা, স্কয়ার ফার্মা, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, ইফাদ অটোস, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি, সিএমসি কামাল, কোয়া কসমেটিকস এবং অলিম্পিক এক্সেসরিজ লিমিটেড গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে। সাপ্তাহিক টপটেন গেইনারের তালিকায় থাকা প্রায় সকল কোম্পানি ‘এ’ ক্যাটাগরির।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ