সদস্য কারখানাগুলোর শ্রমিক ৪০ লাখের বেশী : বিজিএমইএ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ নিজস্ব বায়োমেট্রিক ডাটাবেসে ৪০ লাখ শ্রমিকের তথ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংঠনের সভাপতি মো. ফারুক হাসান। এ ছাড়া এই তথ্য ব্যাংককে আরো বেশী ব্যবহার উপযোগী করা হবে। এ জন্য ম্যাপড ইন বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।

আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে আমরি হোটেলে সংগঠনের সভাপতির ফারুক হাসানের যুক্তরাজ্যে, বেলজিয়াম ও স্কটল্যান্ড সফর শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট/সার্কুলার ইকোনোমি ক্যাটাগরিতে বায়োমেট্রিক আইডেন্টিটি অ্যান্ড ওয়ার্কার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ ব্যবহারের জন্য বিজিএমইএ ২৫ তম ওয়াল্ড কনগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজিতে (ডাব্লিউআইটি) গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেনস অ্যওয়ার্ড পেয়েছে।

ফারুক হাসান জানান, বিজিএমইএ তথ্য ব্যাংক নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে কাজ শুরু করেছে। এরমধ্যে কাজ শেষও হয়েছে। এই তথ্য ব্যাংকে বিজিএমইএ সদস্য কারখানাগুলোর ৪০ লাখের বেশী শ্রমিকের তথ্য রয়েছে। তিনি বলেন, তবে এই খাতের অনেক শ্রমিক চলে গেছে। তাদের সংখ্যাও আছে এ তথ্য ব্যাংকে। যেসব শ্রমিক চলে গেছে তারা আবার ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে বলে হালনাগাদ করা হয়নি।

এই তথ্য ব্যাংকের সুবিধার ফলে কোন কারখানা কোন ধরনের পণ্য নিয়ে কাজ করে, শ্রমিক সংখ্যা কত এবং শ্রমিকদের ব্যক্তিগত তথ্যসহ পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়ে আরো সমৃদ্ধ করা হচেছ। এই ডাটা ব্যাংককে আরো তথ্যবহুল করতে ইতিমধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে ব্রাক বিশ্ব বিদ্যালয়ের ম্যাপড ইন বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বদ্ধ করা হয়েছে। এতে বিদেশি ক্রেতা সংস্থার আর্থিক সহয়োগিতা করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণে দেশের পোশাক খাত ভালো অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে বিজিএমইএ নেতারা বলেন, ইতিমধ্যে বেশ সবুজবান্ধব কারখানায় বাংলাদেশে বিশ্বের শীর্ষে। এ ছাড়া জ্বালানি সাশ্রয়ে আমাদের নিজেদের উদ্যেগেই কাজ করতে হয়। এতে করে আমাদের খরচ অনেক কমে আসেব। এ ছাড়া কার্বন নিঃসরনের পারকেপিটার দিক থেকে বাংলাদেশ অবস্থান শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ এবং চায়নার ৭.৬। বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানেই রয়েছে। তবে সনদ না থাকলেও খরচ কমাতে নিজেদের প্রয়োজনে এই খাতের উদ্যেক্তারা করে থাকেন।

পোশাক খাতের আশার কথা জানিয়ে ফারুক হাসান বলেন, কমপ্লায়েন্স, জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং সবুজ কারখানা কারণে রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হচেছ। দরও বাড়ছে। করোনাকালীন সময়ে লোকসান করে কারখানা চালু রাখায় এখন সুফল পাচিছ। তবে কাচামালের দর বাড়ার কারণে যে হারে পোশাকের দাম বেড়েছে সেই হারে কাটিং মেকিং চার্জ (সিএম) হচ্ছে না।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবি আর ও কাস্টমে চাপে কারখানার উদ্যেক্তারা। এই নিয়ে বিজিএমইএ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। এটা না হলে রপ্তানি আয়ে বাধাগ্রস্ত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

২০৩০ সালের পর দেশের গ্রিনকারখানা ছাড়া পোশাক নেবে না অনেক ক্রেতা এমন এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সহসভাপতি মিরান আলী বলেন, এই তথ্য ঠিক নয়; তবে তারা পরিবেশ বান্ধব কারখানা অগ্রধিকার দেয়; এটা আমরাও চায় সরকারও চায়।

ডিজেল দাম বাড়ার প্রভাব নিয়ে বিজিএমইএ বক্তব্যে নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিবহন খরচ বাড়ছে। আন্তর্জাতিক বাাজারে কমার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাজারের সমন্বয় করা আহবান জানিয়েছে তিনি।

এ ছাড়া আগামী বছর (২০২২) নভেম্বর তৃতীয় সপ্তাহে দেশের পোশাক খাতের ব্রান্ডিয়ের জন্য বৈশ্বিক ক্রেতাদের নিয়ে মেড ইন বাংলাদেশ ইউক করবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমএ সভাপতি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *