সরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সংশোধিত মুদ্রানীতির আওতায়, সরকারি খাতে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আগের ৪৪.৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩১.৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়

চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্যে সরকারিখাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। হয়। শেষ ছয় মাসে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার পরিমাণ কম হবে এমন ধারণার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশোধিত মুদ্রানীতির আলোকে এ পরিবর্তন আনা হয়।

সংশোধিত মুদ্রানীতির আওতায়, সরকারি খাতে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আগের ৪৪.৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩১.৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।

তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক উদার মুদ্রানীতি বজায় রেখে বেসরকারি খাতে ঋণ-প্রবৃদ্ধি ১৪.৮ শতাংশে রাখলেও; দেশে করোনা মহামারির অভিঘাতে ঋণ চাহিদা ৮ শতাংশে নেমে এসেছে।

এব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. হাবিবুর রহমান জানান, সঞ্চয়ী মাধ্যমগুলো (সঞ্চয়পত্র, বন্ড) বিক্রির চাপ বেশি থাকায় সরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনা হয়। ফলে, ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার পরিমাণ আরও কমবে। সাম্প্রতিক বিক্রির প্রবণতা ইতোমধ্যেই সেদিকে ইঙ্গিত করছে বলেও জানান তিনি। “আমাদের ধারণা, আগামী ছয় মাসে সরকার ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে যে পরিমাণ ঋণ করার লক্ষ্য নিয়েছিল- তা পূরণ করতে পারবে না”

হাবিবুর রহমান বলেন, এরপরও, আর্থিকখাতের বাজারে পর্যাপ্ত তারল্য ধরে রাখার স্বার্থেই উদার মুদ্রানীতি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তবে মুল্যস্ফীতির চাপ দেখা দিলে, তখন যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ২০২০ সালের জুলাই- নভেম্বর মেয়াদে ব্যাংকিং খাত থেকে ৩,১২৪ কোটি টাকা ঋণ নেয় সরকার। গতবছরের একই মেয়াদে এর পরিমাণ ছিল ৪০,৬৪৬ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুসারে; বাজেটে ঋণ লক্ষ্যমাত্রা ৮৪,৯৮০ কোটি টাকা রাখা হলেও, গৃহীত ঋণের পরিমাণ ছিল তার থেকেও অনেক কম। অন্যদিকে, ২০২০ সালের জুলাই- নভেম্বর মেয়াদে জাতীয় সঞ্চয়পত্র বিক্রির মোট পরিমাণ ছিল ১৯,০৪৪ কোটি টাকা। আগের বছরের একই মেয়াদে যার পরিমাণ ছিল ৫,৮৪১ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সংশোধিত মুদ্রানীতি বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মূল্যস্ফীতি চলতি অর্থবছরের ৫.৪ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রাতেই থাকবে বলে আশা প্রকাশ করে। তবে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি বাড়ার আভাস দিয়ে জানানো হয়, এরফলে স্থানীয় পর্যায়ের মুল্যস্ফীতিতেও সামান্য প্রভাব পড়তে পারে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *