২০২১-২২ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমেছে। গত অর্থবছরে নিট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৯১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে যা ছিল ৪১ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে আগের বছরের তুলনায় সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমে অর্ধেকে নেমেছে।

গত অর্থবছরে সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ৩২ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল। কিন্তু বছর শেষের হিসাবে দেখা গেছে, সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এ খাতে বিনিয়োগ হয়নি। মোট ১ লাখ ৮ হাজার ৭০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে।

একই সময়ে মেয়াদপূর্তি ও অন্যান্য কারণে মূল ভাঙিয়ে ফেলায় বিনিয়োগকারীদের সরকার ফেরত দিয়েছে ৮৮ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা। এদিকে, গত অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের সুদ বাবদ সরকার ৪০ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেছে।

সংশ্নিষ্টরা জানান, বর্তমানে সরকারের সঞ্চয়পত্রেই সুদহার সবচেয়ে বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে এগুলোর ক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করায় বিক্রি কমেছে। বর্তমানে নগদ টাকায় সঞ্চয়পত্র কেনা যায় না। ব্যাংক চেক দিয়ে কিনতে হয়। থাকতে হয় টিআইএন সনদ। বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ লাখ টাকার বেশি হলে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্রও দিতে হয়। জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। ১৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রে সুদহারও কমানো হয়েছে। একক গ্রাহকের ক্রয়সীমা সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে অনলাইনে।

বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমে জনগণ থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে স্বল্প আয়ের মানুষকে সামাজিক সুরক্ষা দেওয়াও সরকারের লক্ষ্য। তবে অভিযোগ রয়েছে, বিত্তবানসহ অনেকে নানা কৌশলে সঞ্চয়পত্র কিনে রাখেন। এতে সরকারের সুদ পরিশোধের ব্যয়ও বেড়ে যায়। এ জন্য সরকার সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ কার্যক্রমে কিছু সংস্কার এনে তা নির্ধারিত সীমার মধ্যে রাখার চেষ্টা করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম//

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *