পূর্বাচল এ বছরেই বসবাস উপযোগী হবে: গণপূর্তমন্ত্রী

Rezaulস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

রাজধানীর পাশের উপশহর পূর্বাচল চলতি বছরেই বসবাস উপযোগী হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্প এলাকা ও কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত ১০০ ফুট খাল খনন প্রকল্প পরিদর্শনের সময় এ কথা জানান তিনি।

মন্ত্রী রেজাউল করিম বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে পূর্বাচল প্রকল্পের কাজে দেরি হয়েছে। এই বছরের মধ্যেই উত্তরা প্রকল্পের বরাদ্দ পাওয়া সকল বাসিন্দারাই বসবাস উপযোগী প্লট পাবেন।

প্রকল্পের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা আনার তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পে বিলম্ব ঘটিয়ে ব্যয় বাড়ানো কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।

বহুল আলোচিত পূর্বাচলের ‘আইকনিক টাওয়ার’ নির্মাণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয় বাকি রয়েছে। সেগুলো দ্রুততার সঙ্গে শেষ হওয়ার পরে আইকনিক টাওয়ারের নির্মাণ শৈলীটা সামনে চলে আসবে।

পূর্বাচলের যে ৮৪টি প্লট নিয়ে বিতর্ক উঠেছে, তা ভুল ধারণার উপর সৃষ্টি হয়েছে বলে দবি করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এটাই সবচেয়ে বড় কোনো প্রকল্প যেখানে যথেষ্ট ফাঁকা জায়গা রাখা হচ্ছে। যেখানে ঢাকায় সাত থেকে আট ভাগ ফাঁকা জায়গা আর এখানে ৪৫ ভাগ ফাঁকা জায়গা।

মন্ত্রীর সঙ্গে রাজউকের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, পূর্বাচল উপশহর প্রকল্প এবং ১০০ ফুট খাল খনন প্রকল্পের পরিচালকসহ রাজউকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

রোহিঙ্গাদের ১৬৫ মিলিয়ন ডলার মঞ্জুরি অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক

worldস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মৌলিক সেবা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে ১৬৫ মিলিয়ন ডলার মঞ্জুরি সহায়তা অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক (ডব্লিউবি)।

বিশ্বব্যাংক শনিবার এখানে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিশ্বের মধ্যে উদ্বাস্তুদের ক্রমবর্ধমান চাপে থাকা বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে ‘এমার্জেন্সি-মাল্টি-সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স প্রজেক্ট’। রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বেড়ে তা টেকনাফ ও উখিয়ার জনসংখ্যার তিনগুনে দাঁড়িয়েছে।

এতে বলা হয়, এই প্রকল্প মৌলিক অবকাঠামো নির্মাণ, কমিউনিটির উন্নয়ন এবং জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা রোধে সহায়ক হবে।

এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভূটানে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান ড্যান চ্যান বলেন, নিজ দেশের উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়ে বিশাল মহত্ত্ব দেখিয়েছে। এই বিপুল রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় অবকাঠামো, সেবা ও সম্পদের ওপর ব্যাপক চাপ পড়েছে। এ ক্ষেত্রে পরিস্থিতির উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প সহায়ক হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

জি এম গোল্ডেন রাইস বন্ধে সংসদে কথা বলবো: মেনন

menonস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

জি এম গোল্ডেন রাইসের চাষ ও প্রচলন বন্ধে সংসদে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী এবং বর্তমান সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। একই সঙ্গে এ জাতের চালের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করতে পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

শনিবার (০৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে কৃষি বিষয়ক কয়েকটি সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন মেনন। বহুজাতিক বীজ কোম্পানির আগ্রাসন বন্ধে এবং জি এম গোল্ডেন রাইসের প্রচলন বন্ধে যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ন্যাশনাল উইমেন ফারমার্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন (এনডব্লিউএফএ), বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচারাল ফার্ম লেবার ফেডারেশন (বিএএফএলএ), বাংলাদেশ শ্রমজীবী কেন্দ্র (বিএসকে) এবং ডেভেলপমেন্টাল এডুকেশন ফর পুওর (ডিইপ)।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, বিদেশি এবং বহুজাতিক কোম্পানিগুলো অনেক সময়েই আমাদের উপর আগ্রাসন চালানোর পাঁয়তারা করে। এখন তারা নতুন এই চাল নিয়ে এসেছে। কৃষি আন্দোলনের মাধ্যমেই এই আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। আমি আমার জায়গা থেকে ওয়াদা করছি যে, পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তরকে এর ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করবো। প্রয়োজনে সংসদে এ নিয়ে কথা বলবো।

আলোচনা সভায় কৃষি সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, বহুজাতিক কোম্পানি এবং প্রোপাগান্ডা ছড়ানোদের দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে যে, গোল্ডেন রাইস ধানে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, আয়রন এবং জিংক রয়েছে। এই চাল রাতকানাসহ ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ দূর করবে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, গোল্ডেন রাইসে বিটা ক্যারোটিনের পরিমাণ খুবই কম। যা ভিটামিনের অভাব মোকাবেলায় যথেষ্ট নয়। মূলত গোল্ডেন রাইস একটি জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনিয়ার্ড রাইস বা জিনবৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে আবিষ্কৃত এক ধরনের চাল।

গোল্ডেন রাইস প্রবর্তন বন্ধ করা, বিটি বেগুনের বাণিজ্যিক চাষাবাদ বন্ধ করাসহ সব জিএমও ফসল বন্ধ করা এবং কঠোর জৈব নিরাপত্তা আইন চালু করার দাবি জানানো হয় সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে। একই সঙ্গে আলোচনা সভা থেকে জি এম গোল্ডেন রাইসের বিষয়ে দেশীয় বিজ্ঞানীদের দিয়ে অধিকতর গবেষণা করারও দাবি জানান বক্তারা।

কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উন্নয়নের নীতি নির্ধারণী গবেষণার নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আক্তার, এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, হাওর কৃষক ও মৎস্যজীবী সমিতির কারিগরি পরিচালক অনুপম মাহমুদ, কোস্ট ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক মুজিবুল হকসহ অন্যরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

ফোর্বস–এর ২০১৯ সালের তালিকায় রেকর্ডসংখ্যক তরুণ ধনী

144650kailllllস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস–এর ২০১৯ সালের বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় যে ২ হাজার ১৫৩ জন বিলিয়নিয়ার বা শতকোটি ডলারের মালিক স্থান পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এবারই রেকর্ডসংখ্যক তরুণ জায়গা করে নিয়েছেন।

তালিকায় স্থান পাওয়া বিশ্বসেরা ধনীদের মধ্যে ৭১ জনের বয়স ৪০-এর নিচে। এই তরুণদের মধ্যে ২১ জন এবারই প্রথমবারের মতো এ তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। আবার বিশ্বসেরা ৭১ তরুণ ধনীর মধ্যে ৪১ জন অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি নিজের চেষ্টায় ধনী হয়েছেন।

ফোর্বসের এবারের তালিকায় বিশ্বের শীর্ষ ধনী হিসেবে নাম লেখানো তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৩০ জন প্রযুক্তি খাতের, ৭ জন ফ্যাশন ও খুচরা বিক্রি প্রতিষ্ঠানের এবং ৭ জন রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

ফোর্বসের এবারের তালিকায় থাকা নিজের চেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত ৪০ বছরের কম বয়সী শীর্ষ ধনীদের মধ্যে কাইলি কসমেটিকসের প্রতিষ্ঠাতা কাইলি জেনার ছাড়া বাকি সবাই পুরুষ। কাইলি এ বছরের তালিকায় প্রথমবারের মতো স্থান পেয়েছেন এবং এরই মধ্যে তিনি কনিষ্ঠতম বিলিয়নিয়ারের স্বীকৃতি পেয়েছেন।

২০১৯ সালের তালিকায় পৃথিবীর সবচেয়ে কনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ারও হয়েছেন ২১ বছর বয়সী কাইলি জেনার। এর আগে টানা তিন বছর এই স্বীকৃতি ছিল নরওয়ের ২২ ও ২৩ বছর বয়সী দুই বোন আলেক্সান্দ্রা আন্দ্রেসেন ও ক্যাথারিনার দখলে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সিন্ডিকেট করে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির সুযোগ দেওয়া হবে না : বাণিজ্যমন্ত্রী

tipuস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টির মাধ্যমে পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা হবে। পণ্যের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করতে প্রতিযোগিতা কমিশন আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।

শনিবার ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির স্বাধিনতা এবং অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি বাংলাদেশ স্বাধীন করে গেছেন, আজ তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য দিনরাত কাজ করছেন। দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

তিনি গুটি কয়েক মানুষের লাভের জন্য দেশ স্বাধীন করা হয়নি উল্লেখ করে বলেন, পণ্যের সঠিক মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার সবকিছু করবে। সিন্ডিকেট করে পণ্যে অবৈধ মজুত গড়ে তুলে কৃত্রিম উপায়ে মূল্য বৃদ্ধির সুযোগ দেওয়া হবে না। বাজারে পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে। বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে।

টিপু মুনশি বলেন, পবিত্র রমজান মাসের আগেই পণ্যের অবৈধ মজুত ও দাম বৃদ্ধির সুযোগ দেওয়া হবে না। ব্যবসায় প্রতিযোগিতা না থাকলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ করতে দেওয়া হবে না। প্রতিযোগিতা সৃষ্টির মাধ্যমে পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা সম্ভব। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজ করতে দেওয়া হবে না। ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা গেলে দেশের মানুষ উন্নত মানের পণ্য প্রকৃত মূল্যে ক্রয় করার সুযোগ পাবেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মধ্যে ৪২তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ ইতোমধ্যে নিম্নআয়ের দেশ থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে শুরু করেছে। আগামী ২০২৪ নালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে পূর্ণাঙ্গ উন্নয়নশীল দেশ এবং ২০৪১ সালে হবে উন্নত দেশ। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রসংশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকার উপায় নেই। এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, শ্রম ও উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিউর রহমান, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সিলেটে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন

9999স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সিলেটে উদ্বোধন হয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার। শনিবার বিকেলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাস্থ শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। মাসব্যাপী এ মেলার আয়োজন করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেন, এখন বাণিজ্য নির্ভর অর্থনীতির উপরই দাঁড়িয়ে আছে সারাবিশ্ব। যে কোন দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা দেশীয় পণ্যের প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মন্ত্রী বলেন, দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে হলে আমাদেরকে দেশীয় পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত করতেই হবে। আর এর মাধ্যম হতে পারে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা।
তিনি বলেন, সিলেটের চা শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। এছাড়া এখানকার হাওর-বাওড়ের মাছ যদি প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশে রফতানি করা যায় তবে দেশের অর্থনীতি লাভবান হবে। এজন্য সিলেটে মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি সিলেট থেকে সরাসরি বিমানের কার্গো সার্ভিস চালু করা প্রয়োজন। বাণিজ্য সম্প্রসারণের সিলেটের এসব উন্নয়নের কথা সরকারের পরিকল্পনায়ও আছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি হাসিন আহমদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মেট্রোপলিটন চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি আবদুর জব্বার জলিল, জেলা ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যান পরিষদের সভাপতি শেখ মো. মকন মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মোশাহিদ আলী প্রমুখ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

সপ্তাহের ব্যবধানে পিই ০.৭৪ শতাংশ কমেছে

PE-300x197স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদায়ী সপ্তাহে পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। পতনের সঙ্গে সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। ডিএসইতে সপ্তাহজুড়ে পিই ০.৭৪ শতাংশ কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৬.১৯ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৬.০৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.১২ পয়েন্ট বা ০.৭৪ শতাংশ কমেছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১০.৫৬ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১৯.৮৩ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৭.১৯ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯.১৫ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৬.৮৪ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১৪.৪৩ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২৭.২৮ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ২২.০২ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ১৬.৩৯ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩৩.৭৬ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১২.৮৬ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ২৩.৬১ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২০.৪৯ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৩৫.০৫ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৫.৩৭ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৭.১৭ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ১৯.২০ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই ৬৮৪.৫০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২০৫১ কোটি টাকা

dseস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ডিএসইতে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২০৫১ কোটি টাকা। সর্বশেষ সপ্তাহে লেনদেন বাড়লেও সূচক কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিল ৪,১৫,০৭৩ কোটি টাকা। যা সপ্তাহের শেষদিনে কমে দাঁড়িয়েছে ৪,১৩,০২২ কোটি টাকা। এ হিসাবে গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে ০.৪৯ শতাংশ বা ২০৫১ কোটি টাকা।

এ সময় ৫ দিনে মোট ২৯৭৯ কোটি ৯২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে সেখানে ২৯১৩ কোটি ৪২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ২.২৫ শতাংশ বেশি।

এসময় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসই্ক্স ২৫.৪৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৮৬ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক পয়েন্ট ৫.৫২ পয়েন্ট কমে দাড়িয়েছে ১৯৯৩ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ১০.৯৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩০৩ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৫০ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৫২টির, কমেছে ৯৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৩টি কোম্পানির শেয়ার কোনো লেনদেন হয়নি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম

রফতানি বাণিজ্যে ৮ মাসে প্রবৃদ্ধি ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ

epbস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

নানা প্রতিবন্ধকতার পরও রফতানি বাণিজ্যে সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) দুই হাজার ৭৫৬ কোটি ২৮ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এ আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেশি। যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাত দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক। এ খাতের রফতানি আয় ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। এছাড়া রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে অন্যান্য খাতের আয়ও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। যার কারণে রফতানিতে বড় প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হচ্ছে। এধারা অব্যাহত থাকলে অর্থবছর শেষে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে সব ধরনের পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ৫৫৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। তবে এ সময়ে আয় হয়েছে দুই হাজার ৭৫৬ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাত দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সমেয়ের তুলনায় এ বছর রফতানি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে রফতানি আয় ছিল দুই হাজার ৪৩৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, একক মাস হিসেবে চলতি বছরের ফেব্রুরিতে ৩৩৮ কোটি ৩২ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এটি গত ফেব্রুরির তুলনায় ১০ দশমকি ১২ শতাংশ বেশি। গত বছরের ফেব্রুরিতে পণ্য খাতে রফতানি আয় ছিল ৩০৭ কোটি ২১ লাখ ডলার।

দেশের রফতানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। আলোচিত সময়ে এ খাত থেকে রফতানি আয় এসেছে দুই হাজার ৩১২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাত দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর রফতানি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে পোশাক খাতে রফতানি আয় ছিল দুই হাজার ২৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এনএ

বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল করতে চায় সৌদি

bd-saudiস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের ব্যবসায়ী ও সরকারি প্রতিনিধি দলকে রিয়াদের একটি কনফারেন্সে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে সৌদি আরবের বাণিজ্য ও বিনিয়োগবিষয়ক মন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি বলেছেন, আমরা বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নয়নে ‘বাংলাদেশ-সৌদি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল’ সৃষ্টি করতে পারি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এক সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। সৌদি আরবের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফর উপলক্ষ্যে এ সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আসা সৌদি আরবের এ উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব রয়েছেন দেশটির অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মোহাম্মেদ আল তোয়াইজরি এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান মনোনীত এ প্রতিনিধিদলে সৌদি উন্নয়ন তহবিল ও সরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাসহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

আবদুল্লাহ আল কাসাবি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশ এশিয়ার নতুন টাইগার। আমরা এ দেশকে বিশ্বাস করি। সৌদি আরবের একটি বড় উন্নয়ন সহযোগী বাংলাদেশ। আমাদের বাংলাদেশি ভাইরা গত এক দশকে সৌদি আরবের উন্নয়নে সহায়তা করেছে। প্রায় দুই মিলিয়ন বাংলাদেশি সৌদি আরবে আছেন। যারা নতুন সৌদি আরব গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখছেন।

দুই দেশের ব্যবসায়ীক সম্পর্ক উন্নয়নের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ-সৌদি আরব বাণিজ্যিক লেনদেন বেশ কম। উভয় দেশের মধ্যে আন্তঃবাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র ১.৪ বিলিয়ন ডলার, যা সন্তোষজনক নয়।

সৌদি প্রতিনিধি দলের বংলাদেশ সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় স্থাপিত হয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি আপনাদেরকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমরা সহায়তা, কাজ ও সুযোগের সন্ধানে এখানে এসেছি। আশা করি এই বৈঠক ফলপ্রসু হবে। আমরা নির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঠিক করতে পারব।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এনএ