স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
পদ্মা সেতুর ওপর পিচ ঢালাই বা কার্পেটিংয়ের কাজ গতকাল শুরু হয়েছে। সেতুটির ৩৭ নম্বর খুঁটির কাছে সকাল থেকে এই কাজ শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৪০ নম্বর খুঁটির কাছে ৩৪৪ মিটার পর্যন্ত পিচ ঢালাইয়ের কাজ করা হয়।
চার লেনের সেতুটির মাঝখানে সড়ক বিভাজক রয়েছে। সড়ক বিভাজকের পশ্চিম প্রান্তের ওই ৩৪৪ মিটারে গতকাল পিচ ঢালাইয়ের কাজ করা হয়। এর আগে পরীক্ষামলূকভাবে সেতুর ৪০ নম্বর খুঁটির কাছে ৬০ মিটার এলাকায় কার্পেটিং করা হয়েছিল। এখন মুন্সীগঞ্জের দিকে কার্পেটিং এগোচ্ছে। এই কার্পেটিংয়ের আগে গত ২০ অক্টোবর পানি নিরোধক আস্তরণ (ওয়াটারপ্রুফ লেয়ার) দেওয়া হয়।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের জানান, ৪৩০ মিটার এলাকা ওয়াটারপ্রুফ লেয়ার দিয়ে কার্পেটিংয়ের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। তবে গতকাল প্রথম দিনে ওই ৪৩০ মিটার এলাকায় কার্পেটিং করা সম্ভব হয়নি। ৩৪৪ মিটার এলাকায় কার্পেটিং করা সম্ভব হয়। ওয়াটার প্রুফ লেয়ারের ওপর দুই লেয়ারে ১০০ মিলিমিটার পুরুত্বে এই কার্পেটিং হবে। তবে প্রথম দফায় ৬০ মিলিমিটার পুরুত্বের লেয়ার দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় বাকি ৪০ মিলিমিটার পুরুত্বে লেয়ারটি দেওয়া হবে।
সেতুর শেষ পর্যায়ের কাজ কার্পেটিং শুরু হওয়ায় পদ্মা সেতু এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিল। ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতুর এই কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করতে কয়েক মাস লাগবে।
এদিকে কার্পেটিং ছাড়াও পদ্মা সেতুর প্যারাপেট ওয়াল এবং ডিভাইডারেও কাজ চলছে। এ ছাড়া নদীশাসন ও পূর্ব পাশে গ্যাসলাইন স্থাপনের কাজও চলছে পুরোদমে। সেতুর নিচতলার পূর্ব পাশ দিয়ে গ্যাসলাইন স্থাপন হলেও পশ্চিম পাশে ওয়াকওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। আগামী জুনের আগেই পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
পদ্মা সেতুর মাওয়া অংশ থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেললাইনের কাজের অগ্রগতি ৭১ শতাংশ। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৩৬ শতাংশ। আগামী জুনের আগেই পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/