বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সেফটি নেট কর্মসূচির স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে আরো ২৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা দেবে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে। বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আজম এবং বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর কাইমিয়াও ফান তাদের স্ব স্ব পক্ষে স্বাক্ষর করবেন।
বিশ্বব্যাংকের একজন মুখপাত্র জানান, এই অর্থ সহায়তা প্রদান করায় বাংলাদেশে সেফটি নেট কর্মসূচিতে বিশ্বব্যাংকের মোট ঋণ সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াবে ৭৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৯ সালের ৩০ জুন এই প্রকল্প কাজ শেষ হবার কথা।
বিশ্বব্যাংকের সহযোগী ঋণদান সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) এই ঋণ দিচ্ছে। সুদমুক্ত এই ঋণ ছয় বছর গ্রেসপিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে। তবে শুধুমাত্র শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ নেয়া হবে।
সরকার সারা দেশে দরিদ্র এবং অতিদরিদ্র লোকদের সহায়তা প্রদানে কয়েকটি সেফটি নেট কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য নেয়া বাস্তবায়নাধীন এ সকল সেফটি নেট কর্মসূচিতে বিশ্বব্যাংক অর্থ সহায়তা করছে। দেশের ৯০ লাখ দরিদ্র লোক এই কর্মসূচির সুফল পাচ্ছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/এসটি