২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে নবীন বাংলাদেশের জন্য প্রবীণ বাজেট বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সংস্থাটি মনে করছে, দেশের অর্থনীতির সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো আসছে, তা মোকাবিলায় বক্তব্য ও কার্যকর পদক্ষেপ বাজেটে নেই।
পাশাপাশি বাজেটে রাজস্ব আদায়, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে সিপিডি।
সিপিডি মনে করছে, বাজেটে যে বাড়তি ব্যয়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে, তার বড় অংশ যাবে জনপ্রশাসন ও সুদ ব্যয় খাতে। সে তুলনায় উন্নয়ন ব্যয় বৃদ্ধির হার একটি জায়গায় আটকে আছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে জিডিপি অনুপাতে যে ব্যয় করা দরকার, সেটি নেই। অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স ও তরুণদের উদ্যোগকে চ্যালেঞ্জর মুখে ফেলবে নতুন বাজেট। ব্যাংক খাতের করপোরেট কর হার কমানোর কঠোর সমালোচনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৮-১৯ প্রস্তাবিত বাজেটের পর্যালোচনা তুলে ধরেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
রাজধানীর গুলশানের লেক শোর হোটেলে শুক্রবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব পর্যালোচনা তুলে ধরেন সংস্থাটির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। উপস্থিত ছিলেন সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, জ্যেষ্ঠ গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, মূলত দুটি দিক থেকে সিপিডি এ বাজেটকে পর্যালোচনা করেছে। এগুলো হলো সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে নতুন যেসব চাপ অর্থনীতির সামনে আছে সেগুলো মোকাবিলায় বাজেটে দিকনির্দেশনা এবং সম্পদের সুষম বণ্টন ও বৈষম্য রোধ করা।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসটি/জেডআর