আগামী পাঁচ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রায় ১৩ হাজার মেগাওয়াট বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার, যার ৪০ শতাংশের সরবরাহকারী হবে বেসরকারি খাত। পাঁচ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন গড়ে দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে এ খাতের শেয়ারগুলোর গড় লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ৯ শতাংশ কমেছে। বর্তমান বাজারে এই খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়াররের প্রতি বেশি আগ্রহী সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি অর্থবছরে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও ৬ দশমিক ২ শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ধরে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে। অন্যান্য বছরের মতো এবারো সেখানে শেয়ারবাজারের জন্য বিশেষ কিছু ছিল না। এছাড়া তালিকাভুক্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি এ সময়ে তাদের অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠ কোম্পানির আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। এছাড়া এ সময়েই কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশিত উপাত্তে দেখা গেছে, গেল অর্থবছরে রফতানি প্রবৃদ্ধি ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশে নেমে এসেছে। সরকার চলতি বছর রফতানিতে ৭ শতাংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধি আশা করছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব কারণে বিশেষ বিক্রয় চাপ দেখা না গেলেও সব মিলিয়ে সতর্ক ছিলেন বিনিয়োগকারীরা, বিশেষ করে ঈদের আগে-পরে দুই সপ্তাহের সূচক বৃদ্ধির পর নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। অনেক বিনিয়োগকারী স্বল্পমেয়াদে মুনাফা তুলে নেয়ার পর নতুন শেয়ার কিনতে অপেক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতির চেয়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অর্ধবার্ষিক ও প্রান্তিক প্রতিবেদনই তাদের অনেকের কাছে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
প্রায় সব খাতেরই কিছু কোম্পানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি মুনাফা দেখিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অর্ধবার্ষিক ফলাফল প্রকাশকারী বেশির ভাগ কোম্পানির আয় কমেছে। চলতি বছরের প্রথমার্ধের ফলাফল বিনিয়োগকারীদের কাছে অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এর কারণ মূলত বছরের শুরুর দিককার রাজনৈতিক অস্থিরতা তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আয়ে ঠিক কেমন প্রভাব ফেলেছে, এটি পর্যবেক্ষণ করা।
বিনিয়োগকারীদের সতর্ক অবস্থানের কারণে গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে সূচক কিছুটা কমেছে। টানা নয় কার্যদিবসের দরবৃদ্ধির পর মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতার পাশাপাশি সপ্তাহজুড়েই সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন অনেক বিনিয়োগকারী। অবশ্য সূচকের হ্রাস-বৃদ্ধির মধ্যেই সপ্তাহ শেষে দৈনিক গড় লেনদেন কিছুটা বেড়েছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/