ডেসকোর ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত শক্তি ও জ্বালানী শিল্প খাতের কোম্পানি ডেসকোর শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ৩০ জুন ২০২১ সালের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানিটির পরিচালনা বোর্ড।

এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.৮৬ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৪৭.৯৯ টাকা।

আগামী ১৫ জানুয়ারি কোম্পানিটি বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৮ নভেম্বর।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ

আবারো নিলামে উঠছে বিলাসবহুল ১১০ গাড়ি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

কারনেট ডি প্যাসেজ সুবিধার আওতায় আসা বিলাসবহুল ১১০টি গাড়ি নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এই গাড়িগুলো অখালাস অবস্থায় বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে রয়েছে। এসব গাড়ি চারবার নিলামে তুলেও বিক্রি না হওয়ায় বন্দরের ইয়ার্ডে স্তূপ পড়েছে। ইয়ার্ড খালি করতে আগামী ৩ ও ৪ নভেম্বর ফের নিলামে উঠছে বিলাসবহুল এসব গাড়ি।

নিলামের তালিকায় নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে বিএমডাব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, জাগুয়ার, লেক্সাস, মিৎসুবিসি প্রভৃতি।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মো. তোফায়েল আহমেদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কিংবা চট্টগ্রাম বন্দরের ওয়েসবাইটে নিলাম সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

আগ্রহী কেউ গাড়ি কিনতে চাইলে টেন্ডার জমা দিতে হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও মোংলায় কাস্টমস অফিসে রাখা টেন্ডার বাক্সে টেন্ডার আবেদন খামবন্ধ অবস্থায় জমা দিতে হবে। এ ছাড়া আগ্রহী কেউ গাড়ি দেখতে চাইলে জাতীয় পরিচয় কিংবা পাসপোর্টের ছবিসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করে আগে থেকে পাস নিতে হবে। গাড়ি পরিদর্শনের তিনদিন আগে পাস নিতে আবেদন করতে হবে। গাড়ি পরিদর্শনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৭ থেকে ২৮ অক্টোবর এবং ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর।

আবার অনলাইনে নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারবেন ক্রেতারা। আগামী ১৮ অক্টোবর সশরীরের বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজস্ব বোর্ড ও চট্টগ্রাম কাস্টমস এর ওয়েবসাইটে নিলামে তোলা পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ দুই-একদিনের মধ্যে আপলোড করা হবে। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো নিলামে তোলা হচ্ছে এসব গাড়ি। এর আগে চারটি নিলামে একটি গাড়িও বিক্রি হয়নি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আ

৪ দিন পর কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে বেনাপোল বন্দরে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা চার দিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকার পর আজ শনিবার সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর ফলে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে উভয় বন্দর এলাকায়।

সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন পেট্রাপোল বন্দর থেকে রপ্তানি পণ্য নিয়ে প্রায় তিনশ’ ট্রাক আসে বেনাপোল বন্দরে। আর বেনাপোল দিয়ে একশ’ থেকে দেড়শ’ ট্রাক রপ্তানিপণ্য নিয়ে যায় ভারতে। দেশের ৭৫ ভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত ১২ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত টানা চার দিন ভারতে সরকারি ছুটি থাকায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। ভারতে ছুটির সময় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাসসহ শুল্কবিভাগ ও বন্দরের সকল কাজকর্ম চালু ছিল। পাসপোর্টযাত্রী চলাচল ছিল স্বাভাবিক।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, চার দিন বন্ধ থাকার পর আজ শনিবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। টানা চারদিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় আজ যে পরিমাণ ট্রাক আসা যাওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। দুপুর ১২টা পর্যন্ত দু’দেশের মধ্যে ৮০ থেকে একশ’ ট্রাক আসা যাওয়া করেছে। পণ্যজটের পাশাপাশি যানজটও রয়েছে বন্দর এলাকায়। আগামীকাল রবিবার দ্রুত পণ্য খালাস হলে সে জট কমতে থাকবে বলে তিনি জানান।

ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, শারদীয় দুর্গাপূজার কারণে ভারতে সরকারি ছুটি থাকায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চার দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। আজ শনিবার সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি পুনরায় চালু হয়েছে। বাংলাদেশে প্রবেশের অপেড়্গায় শত শত পণ্যবাহী ট্রাক ভারতীয় বন্দর এলাকা ও বনগাঁ পার্কিং এ দাঁড়িয়ে আছে বলে তিনি জানান।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব অফিসার সাইফুর রহমান মামুন জানান, শনিবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। তবে ট্রাকের সংখ্যা অনেক কম। আমদানি-রপ্তানি শুরু হওয়ায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে দু’দেশের বন্দর এলাকায়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আ

মাথাপিছু আয়ে ভারতের ওপরে বাংলাদেশ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দিক দিয়ে ২০২০ সালে প্রথম বারের মতো ভারতকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ। গত ১৫ বছর ধরে বার্ষিক ৬ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বার্ষিক ৩৫৫ বিলিয়ন ডলার উৎপাদন নিয়ে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

বিশ্বের বেশিরভাগ অর্থনীতি মহামারিতে সংকুচিত হলেও বাংলাদেশ এই সময়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

মহামারিতে ২০২০ সালে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভারত। এ বছর দেশটির জিডিপি কমে ২ হাজার ৬৬০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক আউটলুক ডাটাবেসের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ এ ভারতের মাথাপিছু জিডিপি ২ হাজার ৯৮ ডলার থেকে কমে ১ হাজার ৯২৯ ডলার হয়।

গত বছর আইএমএফ পূর্বাভাষ দিয়েছিল, ভারতের মাথাপিছু জিডিপি ২০২১ সালে ২ হাজার ৩০ ডলার হবে এবং বাংলাদেশের জিডিপি ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯৯০ ডলার হবে। অর্থাৎ, ভারতের থেকে এগিয়ে গেলেও বাংলাদেশের সাফল্য ক্ষণস্থায়ী হবে।

তবে গত মঙ্গলবারে আইএমএফ প্রকাশিত সংশোধিত পূর্বাভাষে বাংলাদেশের এ বছরের মাথাপিছু আয় দেখানো হয়েছে ২ হাজার ১৩৮ ডলার এবং ভারতের ২ হাজার ১১৬ ডলার। আগামী ৫ বছরেও বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ভারতের থেকে এগিয়ে থাকবে বলেই পূর্বাভাষে বলা হয়েছে।

আইএমএফ জানিয়েছে, ২০২১ সালে ভারতের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে ৯ শতাংশ। এই সাফল্য সত্ত্বেও ভারত তাদের নিকটতম প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে মাথাপিছু আয়ে পেছনে ফেলতে পারছে না।

পূর্বাভাষ অনুযায়ী, স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে ২০২৬ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি বেড়ে ৩ হাজার ২৫৩ ডলার হবে, যা ভারতের ৩ হাজার ১৮ ডলারের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি।

৫ বছর পরে বাংলাদেশ ও ভারতের জিডিপি যথাক্রমে ৫৬৫ বিলিয়ন ও ৪ হাজার ৩৯৩ বিলিয়ন ডলার হবে।

বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক শীর্ষ অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ভালো খবর হচ্ছে বাংলাদেশ মাথাপিছু জিডিপি মানদণ্ডে এগিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটি বিশ্বের বাকি দেশগুলো এবং আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে তুলনা করলেও সত্য। এর মাধ্যমে স্বাভাবিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিশীলতা এবং সংকটের সময় সহনশীলতার প্রকাশ পাচ্ছে।’

তবে মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে বেশি বিত্তবান হয়েছে কী না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন জাহিদ।

তিনি বলেন, ‘এই প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ হবে যদি আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী মার্কিন ডলারে প্রকাশিত মাথাপিছু জিডিপির তুলনা করা হয়।’

‘তবে মার্কিন ডলারে মাথাপিছু জিডিপির সঙ্গে রাষ্ট্রীয় মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতার তুলনা করা হলে, উপসংহার অনেকটাই ভিন্ন হবে’, যোগ করেন তিনি।

পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি (পিপিপি) বা ক্রয়ক্ষমতা ভিত্তিক জিডিপি হিসাব করা হয় নমিনাল জিডিপিকে পিপিপি বিনিময় মূল্য দিয়ে ভাগ করে। এই বিনিময় মূল্য যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন ডলারের ক্রয়ক্ষমতার বিপরীতে কোনো একটি দেশের জাতীয় মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতার প্রকৃত পরিস্থিতি প্রকাশ করে।

২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও ভারতের পিপিপি বিনিময় মূল্য যথাক্রমে ডলার প্রতি ৩৩ টাকা এবং ২২ রূপি। সহজভাবে বলতে গেলে, যুক্তরাষ্ট্রে যে পণ্য বা সেবা পেতে ১ ডলার খরচ করাই যথেষ্ট, তা বাংলাদেশে পেতে হলে ৩৩ টাকা খরচ করতে হয়।

একই পণ্য বা সেবা পেতে ভারতে ২২ রূপি খরচ করতে হয়। অর্থাৎ, ভারতীয় মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা বাংলাদেশের টাকার ক্রয়ক্ষমতার চেয়ে ৩৩ শতাংশ বেশি।

আইএমএফের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে জাহিদ জানান, পিপিপি বিনিময় মূল্যের ভিত্তিতে হিসাব করা হলে, ভারতের মাথাপিছু জিডিপি ২০২১ সালে ৭ হাজার ৩১৯ ডলার, যা বাংলাদেশের ৫ হাজার ৭৩৩ ডলারের চেয়ে ২৭ শতাংশ বেশি।

পূর্বাভাষ অনুযায়ী, পিপিপি ডলারে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি ২০২৬ সালের মধ্যে বেড়ে ১০ হাজার ৮৬৬ হবে এবং একই সময় বাংলাদেশে হবে ৮ হাজার ৮৫৯ ডলার।

জাহিদ আরও জানান, গড়ে ভারতের মাথাপিছু আয় তখনো বাংলাদেশের চেয়ে ২২ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি থাকবে, তবে এই পূর্বাভাষ অনুযায়ী এই ব্যবধান কমে আসার কথা।

‘সুতরাং বাংলাদেশ ভারতের কাছাকাছি পর্যায়ে চলে আসছে, এ কথা বলা যায়’, বলেন জাহিদ।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের সাবেক গবেষণা পরিচালক জায়েদ বখত জানান, মহামারির মধ্যেও কৃষি, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি খাতে আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

অপরদিকে, জনসংখ্যা কম বৃদ্ধি পাওয়ায় মাথাপিছু জিডিপি বেড়েছে।

জায়েদ বলেন, ‘আগামী ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে মেগাপ্রকল্পগুলো চালু হলে দেশের অর্থনীতির ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে।’

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন জানান, ২০১২ সাল থেকে ভারতের মাথাপিছু খরচ কমছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মহামারির আগেই ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমে গেছিল, যার পেছনে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত দায়ী।

করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে ভারতের অর্থনীতিতে বড় আকারের মন্দা দেখা দেয়, কিন্তু বাংলাদেশ মাত্র দুই মাস লকডাউনের পর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করার সুযোগ পায়।

জায়েদ বলেন, ‘অর্থনীতিতে যতটুকু ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা হয়নি। সুতরাং আইএমএফের পূর্বাভাষকে বাস্তবসম্মত বলে বিবেচনা কর যায়।’ কপি : ডেইলি স্টার

স্টকমার্কেটবিডি/

মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বুধবার শেয়ারবাজার বন্ধ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

দেশের দুই শেয়ারবাজারে আগামী ২০ অক্টোবর বুধবার মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ‘ঈদ-ই মিলাদুন্নবী’ উপলক্ষে লেনদেন বন্ধ থাকবে। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

উল্লেখ্য, ‘ঈদ-ই মিলাদুন্নবী’ উপলক্ষে প্রতিবছর এই দিনটিতে সরকারী ছুটি থাকে। এজন্য এজন্য দেশের সব ব্যাংক, বীমাসহ সরকারী-বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এরি ধারাবাহিকতায় শেয়ারবাজারের লেনদেনসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

আরবি ১২ রবিউল আউয়ালের দিনে মহানবী হয়রত মুহম্মদ (স) এর জন্ম ও মৃত্যু দিবস হিসেবে পালন করেন মসুলমানরা। এই হিসাবে সেদিন বা ১২ রবিউল আউয়াল সাধারণ ছুটি নির্ধারিত রয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/আ

ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ৩.৪১ শতাংশ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১০ থেকে ১৪ অক্টোবর) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসই’র পিই রেশিও ছিল ২০.২১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে পিই রেশিও ১৯.৫২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৬৯ পয়েন্ট বা ৩.৪১ শতাংশ কমেছে।

ডিএসই’র সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৬৮ পয়েন্টে। এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ১৩.৪১ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৪.২৪ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১৬.৩১ পয়েন্টে, বিমা খাতে ২১.০৭ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ২১.২৪ পয়েন্টে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৩১.৫২ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ৩২.৩৭ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ৩৩.৭৯ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ৩৫.৭৩ পয়েন্টে, সিরামিক খাতে ৩৫.৫৮ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ৩৬.৯৩ পয়েন্টে, খাদ্য খাতে ৪০.১২ পয়েন্টে, পেপার খাতে ৪৭.০৯ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতে ৪৪.৬৮ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ৭৯.৩৮ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৩৬৫.৭৪ পয়েন্টে এবং পাট খাতে (-৩৭.৮৪) পয়েন্টে পিই রেশিও অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি/

বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

পূর্ণ ডোজ টিকা নেওয়া থাকলে আগামী ৮ নভেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন বিদেশি দর্শনার্থীরা।

আজ শুক্রবার হোয়াইট হাউজ এ তথ্য জানিয়েছে বলে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

হোয়াইট হাউজের সহকারী প্রেস সেক্রেটারি কেভিন মুনোজ এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভ্রমণ নীতি আগামী ৮ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। এ ঘোষণা ও তারিখ আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ এবং স্থলপথে ভ্রমণ- উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।’

হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন, ‘সিডিসি ইতোমধ্যেই এয়ারলাইন্সগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে, এফডিএ অনুমোদিত অথবা জরুরি ব্যবহারের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত সব টিকা উড়োজাহাজ ভ্রমণের জন্য গৃহীত হবে।’

স্থল পথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে একই নিয়ম থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

স্টকমার্কেটবিডি/

 

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে লাফার্জ; ২য় ওরিয়ন ফার্মা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে লাফার্জ হোলসিম বিডি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৫৮৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৬৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকার।

আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ৪১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার।

এই তালিকায় থাকা শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ফরচুন সুজের ৩৫৭ কোটি ৮৮ লাখ, বেক্সিমকো লিমিটেডের ৩৪২ কোটি ৪৯ লাখ, পাওয়ার গ্রিডের ৩২৮ কোটি ৫১ লাখ, বিএটিবিসির ২২৮ কোটি ৯১ লাখ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২২১ কোটি ১৫ লাখ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ১৮৩ কোটি ২৪ লাখ ও জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের ১৫৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

৫ দিনে ডিএসই’র বাজার মূলধন কমেছে ২০১২ কোটি টাকা

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ২০১২ কোটি টাকা কমেছে। এসময় সেখানে সূচকগুলোও কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে মোট ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে ৯ হাজার ৬২ কোটি ১১ লাখ টাকার। যা আগের সপ্তাহের ৫ দিনে হয়েছিল ১২ হাজার ৭২৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ২৮.৭৮ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইতে সর্বশেষ সপ্তাহে গড় লেনদেন ১ হাজার ৮১২ কোটি ৪২ লাখ টাকার হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫৪৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকার উপরে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে প্রতিদিনের গড় লেনদেন ২৮.৭৮ শতাংশ কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৯.৭০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৭ হাজার ২৪৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৪৮.২৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২৭১৯ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ২৮.৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫৬৭ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে ৩৮২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১২৪টির, কমেছে ২৩১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির শেয়ার ও ইউনিটের দর। আর ৪টি শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৮২ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ দিনে এই মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৮০ হাজার ১১২ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন ২০১২ কোটি টাকা বা ০.৩৫ শতাংশ কমেছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস