আগামী মার্চে রামপাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব: সচিব

বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রামপাল কয়লা ভিত্তিক পাওয়ার প্লান্টের নির্মাণ কাজ থেমে থাকেনি। বাংলাদেশ-ভারত এই দুই দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প হিসেবে রামপাল পাওয়ার প্লান্টের সার্বিক কর্মকাণ্ড সন্তোষজনকভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি আগামী মার্চ মাসেই রামপাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে।

শনিবার রামপাল পাওয়ার প্লান্টের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে এমনই আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিদ্যুৎ সচিব।

বিকালে তিনি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র চত্বরে একটি বকুল গাছের চারাও রোপণ করেন।

এর আগে সকালে তিনি রামপাল পাওয়ার প্লান্টে পৌঁছে বিভিন্ন কাজের অগ্রগতি সরেজমিন পরিদর্শন করেন। পরে প্রকল্প মূল্যায়ন সভায় অংশ নেন।

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত সামাজিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে প্রকল্প এলাকায় শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন তিনি।

কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কাজী আবসার উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে আয়োজিত হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. মোহসিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন, বিউবো সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান, পিজিসিবি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়াসহ সংশ্লিষ্ট পদস্থ কর্মকর্তারা।

পোশাক কারখানাগুলোকে ১৭ নির্দেশনা!

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ দ্রুত ছাড়তে পারে এ আশঙ্কায় রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলোর প্রতি ১৭টি নির্দেশনা দিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

গত সপ্তাহে দেওয়া বিজিএমইএর সচিব মো. ফয়জুর রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পোশাক কারখানায় উৎপাদন শুরু ও ছুটির সময় শ্রমিকদের ভিড় এড়ানোর জন্য ভিন্ন ভিন্ন সময় নির্ধারণে জোর দিতে হবে। তা ছাড়া শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের ব্যবস্থা করা দরকার। সম্ভব হলে বিভিন্ন বিভাগের কর্মঘণ্টার জন্য আলাদা শিফটের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কারখানায় প্রবেশের সময় শ্রমিকদের দেহের তাপমাত্রা পরিমাপ এবং প্রয়োজনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে। কারখানায় প্রবেশের সময় প্রধান ফটকসংলগ্ন এলাকায় শ্রমিকদের হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত সাবান-পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে।

কাজের জায়গায় শ্রমিকদের ভিড় এড়িয়ে চলার জন্য শ্রমিকদের উৎসাহিত করতে পরামর্শ দিয়ে নির্দেশনা বলা হয়েছে, দুপুরের খাবারের বিরতিসহ অন্যান্য বিরতির সময় বিভিন্ন বিভাগের শ্রমিকদের আলাদা আলাদা সময় নির্ধারণ করতে হবে।

এর পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে সার্বক্ষণিকভাবে শ্রমিক-কর্মচারীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা দিয়ে বিজিএমইএ সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য লোকসমাগম এড়িয়ে চলতে শ্রমিকদের পরামর্শ দিতে বলেছে।

বিজিএমইএর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। তার নমুনা পরীক্ষার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হলে রোগীকে আইসোলেশনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রোগীর সংস্পর্শে আসা অন্যদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করতে হবে কারখানা কর্তৃপক্ষকে।

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তৈরি পোশাকশিল্পে করোনার সংক্রমণের মাত্রা ছিল খুবই সামান্য- উল্লেখ করে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা গাইডলাইন ও হেলথ প্রটোকল যথাযথভাবে অনুসরণ করে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছিল। অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিলে করোনার নতুন ধরন অমিক্রনও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

বাংলাদেশ অন-অ্যারাইভাল ভিসা আবারো চালু

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনাভাইরাসের কারণে দেড় বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর বিদেশি নাগরিকদের জন্য আবারও বাংলাদেশে আগমনী ভিসা (ভিসা অন-অ্যারাইভাল) চালু হয়েছে।

চলতি মাসের ১ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগ থেকে চারটি ক্যাটাগরিতে অন-অ্যারাইভাল ভিসা চালুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব তরফদার মাহমুদুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিন্মোক্ত ক্যাটাগরির ব্যক্তিদের আগমনী ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে-

# বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিক এবং তাদের স্বামী/স্ত্রী/সন্তান।

# কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারী বিদেশি নাগরিক।

# বিদেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী।

# বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে কোনো সরকারি সভা/সেমিনার/কনফারেন্স/অন্য কোনো ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য আগত বিদেশি নাগরিক।

প্রয়োজনবোধে বিশেষ বিবেচনায় সুরক্ষাসেবা বিভাগের পূর্বানুমতি নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো ভ্রমণকারীকে অন-অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া যেতে পারে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, আগমনী যাত্রীদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্ধারিত কোভিড-১৯ প্রটোকল অনুসরণ করতে হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

৬ সপ্তাহ বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দরপতন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বিশ্ববাজারে তেলের দাম টানা ছয় সপ্তাহ ধরে কমছে। যা ২০১৮ সালের পর সবচেয়ে বেশি সময় ধরে দর পতনের ঘটনা। করোনাভাইরাসের উদ্বেগজনক নতুন ধরন ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটলো। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

আল-জাজিরার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে একদিনেই জ্বালানি তেলের দাম কমেছে প্রায় ১০ মার্কিন ডলার। তারও পাঁচ সপ্তাহ আগে থেকে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ছিল নিম্নমুখী।

ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টানা ছয় সপ্তাহ ধরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমেছে। ২০১৮ সালের পর টানা এত সময় ধরে তেলের দরপতনের ঘটনা ঘটেনি।

এ পরিস্থিতির মধ্যে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বিশ্ববাজারে দৈনিক আরও চার লাখ ব্যারেল তেল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে ওপেক ও তার মিত্ররা। এতে করে তেলের চাহিদা কমে যাওয়ার শঙ্কার মধ্যে তেলের সরবরাহ বাড়লে বিশ্ববাজারে দাম আরও কমে যেতে পারে।
সূত্র: আল-জাজিরা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ নীতিমালা বাস্তবায়নে সময় চায়

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অল্প কয়েকটি ভালো অবস্থানে থাকলেও অধিকাংশই নিয়মনীতি ও তদারকি কার্যক্রমে দুর্বলতার কারণে এখন গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নতুন নিয়মনীতি চালু শুরু করেছে।

কিন্তু তা এখনই মানতে চাইছে না আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সংগঠন বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএলএফসিএ)।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ১৪ সেপ্টেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ পুনঃ তফসিলসংক্রান্ত নীতিমালা জারি করে। কিন্তু বিএলএফসিএ করোনার কারণে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নীতিমালা বাস্তবায়ন না করার দাবি জানিয়েছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে চিঠি দিয়েছেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যাচাই না করেই বারবার ঋণ পুনঃ তফসিল করছে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ঋণ পরিশোধের সূচি পুনর্নির্ধারণ এবং যথাযথভাবে পুনঃ তফসিল প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় এসব প্রতিষ্ঠানের আদায়ের প্রকৃত চিত্র প্রতিফলিত হচ্ছে না।

এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কেবল বিরূপ মানে শ্রেণিকৃত (নিম্নমান, সন্দেহজনক ও ক্ষতিজনক) ঋণ পুনঃ তফসিল করতে পারবে। ঋণ নিয়মিত করার প্রতিটি পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত হারে এককালীন জমা নিতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান এখন থেকে কোনো ঋণ তিনবারের বেশি পুনঃ তফসিল করতে পারবে না। আর তৃতীয় দফা পুনঃ তফসিলের পরও কোনো গ্রাহক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তিনি স্বভাবজাত বা ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন।

এ ছাড়া পুনঃ তফসিল করা ঋণের শুধু যেটুকু আদায় হবে তার বিপরীতে সুদ আয় খাতে নেওয়া যাবে। দ্রুত এই নীতিমালা বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে পিই বেড়েছে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বিদায়ী সপ্তাহে (২৮ থেকে ২ ডিসেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) সোয় ১ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৮.১৭ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৮.৪১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.২৪ পয়েন্ট বা ১.৩২ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১১.৮৭ পয়েন্টে। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২৫.৯৮ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ৩৩.৬৩ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৭.৮০ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৪.৮০ পয়েন্টে, বীমা খাতের ২১.২১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ১৪.৫১ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ৬৫.৪৬ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৩.৮৮ শতাংশ, চামড়া খাতের ৪১.৫৮ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৫৮.৯০ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ১০১.৩৯ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৩০৬.৭৬ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৫০.৪৯ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৩.১৫ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ২২.৫৭ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ১০৭.৬১ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই (-) ৩২.৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

রবিবার থেকে সারাদেশে টিসিবির পণ্য বিক্রি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আগামীকাল রবিবার থেকে সারাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে চারটি পণ্য বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আজ শনিবার টিসিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বলা হচ্ছে, কাল সকাল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশের ৪০০ থেকে ৪৫০ জন ডিলারের ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে চিনির পাশাপাশি মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি, যা আগামী ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এতে একজন ক্রেতা দিনে ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি চিনি, ৬০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল, ১১০ টাকা দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল ও ৩০ টাকা দরে আড়াই কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

পাঁচ মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ২৪ দশমিক ২৯ শতাংশ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

পোশাক রপ্তানির উচ্চ প্রবৃদ্ধির ওপর ভর করে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রপ্তানি আয় বেড়েছে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ৯৭৯ কোটি মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৩ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি।

অন্যদিকে, একক মাস হিসেবে সর্বশেষ নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৭৪৭ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ১ হাজার ৯৭৯ কোটি ডলার। আর গত অর্থবছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ হাজার ৫৯২ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।

অন্যদিকে, নভেম্বর মাসে ৩৫৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪০৪ কোটি ১৩ লাখ ডলার। সুতরাং লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় গত মাসে রপ্তানি আয় ১৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের নভেম্বরে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩০৭ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।

প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাক খাতের রপ্তানি আয় ভালো হওয়ায় রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে রপ্তানিমুখী শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমই-এর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ইউনিট প্রতি পোশাকের মূল্য বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্রেতাদেশ বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানির অবস্থা ভালো। যেভাবে আমরা ক্রেতাদেশ পাচ্ছি, তাতে মনে করি আগামী কয়েক মাস প্রবৃদ্ধির এই ধারা ধরে রাখতে পারব।

তিনি বলেন, রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে বিজিএমই’র পক্ষ থেকে আমরা কাজ করছি। পাশাপাশি রপ্তানি সম্প্রসারণের অনেক সুযোগ এখন তৈরি হয়েছে। সেসব সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগাতে বন্দর অবকাঠামো উন্নয়ন, শুল্ক-কর সংক্রান্ত ও ব্যাংকিং জটিলতা নিরসনে সরকারকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।

ইপিবির হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় ও প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় দুই-ই বেড়েছে। ১ হাজার ৪১১ কোটি ৫৭ লাখ ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৮৫ কোটি ৬২ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। গতবছরের একইসময়ে এই খাতে রপ্তানি ছিল ১ হাজার ২৮৯ কোটি ৪৬ লাখ ডলার।

জুলাই-নভেম্বর সময়ে নিট পণ্যের (সোয়েটার, টি-শার্ট জাতীয় পোশাক) রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৮৩ কোটি ৮৩ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৮৯৮ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৯১ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭১৩ কোটি ৬৩ লাখ ডলার।

আলোচ্য সময়ে ওভেন পণ্যের (শার্ট, প্যান্ট জাতীয় পোশাক) রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। ৬২৭ কোটি ৭৪ লাখ ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ওভেন পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৬৮৭ কোটি ডলারের। গতবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৫৭৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলার।

জুলাই-নভেম্বর এই ৫ মাসে অন্যান্য পণ্যের মধ্যে প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি আয় বেড়েছে। এই খাতে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার,যার প্রবৃদ্ধি ২৯ দশমিক ৮ শতাংশ। কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির আয় বেড়েছে উল্লেখ করার মত।

এ সময়ে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি।

আলোচ্য সময়ে ৪৫ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৭ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ সময়ে মাছ রপ্তানি হয়েছে ২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের, যা গতবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি। এছাড়া টেরিটাওয়েল, হোম টেক্সটাইল ও হস্তশিল্প পণ্যের রপ্তানি আয়ও বেড়েছে। সূত্র: বাসস

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

নভেম্বরে বিও হিসাব বেড়েছে ৯ হাজার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

নভেম্বর মাসে নতুন করে ৯ হাজার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব খুলেছে বিনিয়োগকারীরা। সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, অক্টোবর মাসের শেষ দিন শেয়ারবাজারে বিও হিসাব ছিল ২০ লাখ ১০ হাজার ৫০০টি। আর নভেম্বর মাসের শেষ দিন বিও হিসাব ২০ লাখ ১৯ হাজার ৭৮৩টিতে দাঁড়ায়। অর্থাৎ নভেম্বর মাসে ৯ হাজার ২৮৩টি বিও হিসাব বেড়েছে।

গত মাসে পুরুষদের বিও হিসাব ৭ হাজার ২৬টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭৫৪টিতে। অক্টোবর মাসের শেষ দিন পুরুষদের বিও হিসাব ছিল ১৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮২৮টিতে। আর নভেম্বর মাসে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব দুই হাজার ১৪৩টি বেড়ে পাঁচ লাখ তিন হাজার ৬৯৬টিতে দাঁড়িয়েছে। অক্টোবর মাসের শেষ দিন নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল পাঁচ লাখ এক হাজার ৫৫৩টিতে।

অক্টোবর মাসের শেষ দিন কোম্পানি বিও হিসাব ছিল ১৫ হাজার ১১৯টি। কোম্পানি বিও ১১৪টি বেড়ে নভেম্বর মাসের শেষ দিন দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২২৩টিতে।

গত মাসে দেশে অবস্থানকারী বিনিয়োগকারীদের ৯ হাজার ৮৩৬টি বিও হিসাব বেড়েছে। এর মাধ্যমে গত মাসের শেষ দিন দেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ১৪ হাজার ৭০৯টিতে। যা অক্টোবর মাসের শেষ দিন ছিল ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮৭৩টিতে।

নভেম্বর মাসে বিদেশে অবস্থানকারী বিনিয়োগকারীদের ৬৬৭টি বিও হিসাব কমে দাঁড়িয়েছে ৮৯ হাজার ৮৪১টিতে। অক্টোবর মাসের শেষ দিন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ৯০ হাজার ৫০৮টিতে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো; ২য় ওয়ান ব্যাংক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সর্বশেষ সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির ৫৫২ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪২৮ কোটি ২৯ লাখ টাকার।

১৯৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ফার্ষ্ট সিকিউনিটিজ ব্যাংক লিমিটেড।

লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আইএফআইসি ব্যাংকের ১৬৩ কোটি ১৩ লাখ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৪৫ কোটি ৫৭ লাখ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ১৪০ কোটি ৭২ লাখ, বেক্সিমকো ফার্মার ১৩৪ কোটি ১৩ লাখ, জেনেক্স ইনফোসিসের ১৩২ কোটি ৩৩ লাখ, ব্র্যাক ব্যাংকের ১০৩ কোটি ৭ লাখ ও ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেডের ৯২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এস