আইপিওতে বিডিংকারীদের মানদণ্ডকে আরো ফলপ্রসূ করতে চায় বিএসইসি

bsecস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বর্তমানে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এলিজিবল ইনভেস্টর (ইআই) হিসেবে বিডিংয়ে অংশগ্রহণ করতে পারে। তবে ইআই হিসেবে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের যোগ্যতার মানদণ্ডকে আরো ফলপ্রসূ করতে চায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এজন্য কারা কারা ইআই হতে পারবে, এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন।

বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) উদ্যোগে আয়োজিত বিনিয়োগশিক্ষার গুরুত্ব ও বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় ডিএসইর ভূমিকা শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।

গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর আইডিইবি ভবনে অনুষ্ঠিত ওই সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী, অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার বালা ও খন্দকার কামালউজ্জামান। সভাপতি ছিলেন ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম। সেমিনারের দ্বিতীয় সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসইর চিফ রেগুলেটরি অফিসার (সিআরও) একেএম জিয়াউল হাসান খান।

এ সেশনে বিনিয়োগশিক্ষার গুরুত্ব ও বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় ডিএসইর ভূমিকা নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান ও ডিবিএর প্রেসিডেন্ট মোস্তাক আহমেদ সাদেক। সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দুটি বাজার রয়েছে। একটি হচ্ছে প্রাইমারি, আরেকটি সেকেন্ডারি। তবে সেকেন্ডারি বাজার নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তা বেশি। লেনদেনের সময় কোনো ধরনের কারসাজি হচ্ছে কিনা, এ ব্যাপারে বিএসইসিকে সবসময় সতর্ক থাকতে হয়।

তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, এজন্য আমাদের সার্ভিল্যান্সের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আমরা বাজার মনিটরিং করছি। তবে বাজারে কারসাজি নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক দায়িত্ব দুই স্টক এক্সচেঞ্জের। কারসাজিসহ যেকোনো ধরনের আইনি ব্যত্যয় চিহ্নিত, উদ্ঘাটন ও তদন্ত করে এ বিষয়ে বিএসইসির কাছে প্রতিবেদন পাঠানোর দায়িত্ব হচ্ছে স্টক এক্সচেঞ্জের। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব কমিশনের।

আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কোম্পানির তালিকাভুক্তির সময় কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার দায়িত্ব প্রথম ইস্যুয়ারের ওপর বর্তায় উল্লেখ করে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, এক্ষেত্রে ইস্যু ব্যবস্থাপক ও নিরীক্ষকেরও দায়িত্ব রয়েছে। আইপিও অনুমোদনের সময় স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে বিএসইতে প্রতিবেদন পাঠায়। যতক্ষণ পর্যন্ত এসব অসঙ্গতি দূর না হয়, ততক্ষণ কমিশন আইপিও অনুমোদন করে না।

সেমিনারে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিনিয়োগকারীরা তালিকাভুক্ত কোম্পানির মূল্য সংবেদনশীল তথ্য, এজিএম ও লভ্যাংশসংক্রান্ত বেশকিছু প্রশ্ন করেন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *