আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি বাণিজ্য ঠেকেছে তলানিতে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আখাউড়া স্থলবন্দরে রপ্তানি বাণিজ্য কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। আর আমদানি বাণিজ্য ঠেকেছে তলানিতে। ভারতে এ স্থলবন্দর দিয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ৩০৪ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি কম হয়েছে। একই সময়ে ২২৩ কোটি টাকার পণ্য আমদানি কম হয়েছে। বন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক সময় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে অর্ধশতাধিক পণ্য ভারতে রপ্তানি হতো। এখন রপ্তানি হচ্ছে হাতে গোনা কয়েকটি পণ্য। তাছাড়া নিজেদের চাহিদামতো পণ্য আমদানির সুযোগ না পাওয়ায় আমদানি বাণিজ্যে আগ্রহ কমেছে ব্যবসায়ীদের। এসব কারণেই আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি ও আমদানি এত কমেছে। আমদানি বাণিজ্য তলানিতে নামায় আশানুরূপ রাজস্ব পাচ্ছে না বন্দর এবং শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ।

আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি হয়েছিল ৬৮০ কোটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ১৭৪ টাকার পণ্য। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ৩৭৬ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার ৯১১ টাকার পণ্য। সে হিসেবে রপ্তানি কমেছে প্রায় ৩০৪ কোটি টাকা। এ ছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারত থেকে আমদানি হয়েছিল ২৮৮ কোটি ৪১ লাখ ১৩ হাজার ৪৬৮ টাকার পণ্য। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে মাত্র ৬৫ কোটি ৯৩ লাখ ৬১ হাজার ৫২৮ টাকার পণ্য। আমদানি পণ্য থেকে শুল্ক কর্তৃপক্ষ রাজস্ব পেয়েছে ৫৫ লাখ ৭৮ হাজার ৬৯৮ টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে সড়ক ও রেল যোগাযোগব্যবস্থা আগের চেয়ে ভালো হওয়ায় অনেক পণ্য এখন নিজ দেশ থেকেই সংগ্রহ করেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। স্থল শুল্ক স্টেশন সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। ওই সময় স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য চলত। ২০০৮ সালে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় আখাউড়া। মূলত এ বন্দর দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোয় পণ্য রপ্তানি হয়। বছর পাঁচেক আগেও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া পণ্যের তালিকায় ছিল হিমায়িত মাছ, পাথর, রড, সিমেন্ট, তুলা, ভোজ্য তেল, এলপি গ্যাস, প্লাস্টিক, শুঁটকি ও বিভিন্ন খাদ্যসামগীসহ অর্ধশতাধিক পণ্য।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *