চীনের অর্থনীতির শ্লথগতির সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের মতো বিশ্বের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। দিনশেষে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারের দরপতন হয়েছে তিন শতাংশেরও বেশি। ইউরোপ আর এশিয়ার প্রধান বাজারগুলোতেও একই প্রবণতা দেখা গেছে।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালস্ট্রিট শেয়ারবাজারে দরপতন ঘটে ৩ শতাংশ, চীনের সাংহাই শেয়ারবাজারে দরপতন ঘটে ৪.২৭ শতাংশ। ওই দিনসহ পুরো সপ্তাহে সাংহাই শেয়ারবাজারে ১১.৫ শতাংশ দরপতন ঘটে। এশিয়ার অন্যান্য বাজারের মধ্যে টোকিও শেয়ারবাজারে দর পড়ে ২.৯৮ শতাংশ, হংকংয়ে ১.৫৩ শতাংশ, লন্ডন বেঞ্চমার্ক এফটিএসই-১০০ সূচক পড়ে ২.৮৩ শতাংশ, প্যারিসের ক্যাক-৪০ সূচক পড়ে ৩.১৯ শতাংশ, ফ্রাংকফ্রুটস ড্যাক্স-৩০ সূচক পড়ে ২.৯৫ শতাংশ। ওই দিন ব্লু-চিপ দাও জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ পড়ে ৩.১২ শতাংশ। পুরো সপ্তাহে এ সূচক পড়ে ৫.৮২ শতাংশ। সিঙ্গাপুর ও সিডনি সূচক পড়ে ১.৩ শতাংশ করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বছরজুড়েই ধীর অর্থনীতিতে রয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশ চীন। এ অবস্থায় দেশটি রপ্তানি বাড়াতে গত সপ্তাহে মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটায়। যা উদীয়মান বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে ও বিশ্ব শেয়ারবাজারে উদ্বেগ তৈরি করে। এ প্রসঙ্গে সিএমসি মার্কেট ইউকের বিশ্লেষক জ্যাসপার লোলার বলেন, বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারে দরপতনের মূল কারণই হচ্ছে চীনের মুদ্রার অবমূল্যায়ন। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে শিল্প কর্মকাণ্ড কমার নেতিবাচক খবর।
চীনের অর্থনীতি গত বছর ৭.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। যা ১৯৯০ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন। এ বছর এ গতি আরো শ্লথ হয়ে পড়েছে। চলতি বছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতি ৭ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
এএফপি, রয়টার্স।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি