দেশের রিজার্ভ এখন ১৯৬০ কোটি ডলার

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের পদ্ধতি অনুযায়ী গত এক সপ্তাহে দেশের রিজার্ভ কমেছে ১১৮ কোটি ডলার।

সম্প্রতিবাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

এতে বলা হয়, গত ৮ই নভেম্বর আইএমএফের বিপিএম-৬ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) ম্যাথডের ভিত্তিতে রিজার্ভ ছিল ২০৭৮ কোটি ডলার। বুধবার সেই রিজার্ভ নেমে এসেছে ১৯৬০ কোটি ডলারে।

অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুযায়ী এক সপ্তাহ আগে ৮ই নভেম্বর রিজার্ভ ছিল ২৬৫১ কোটি ডলার। আর ১৫ই নভেম্বর এটি কমে দাঁড়িয়েছে ২৫২৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ ৭ দিনের ব্যবধানে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ১২৫ কোটি ডলার।

বিশ্বজুড়ে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম-৬) অনুযায়ী, রিজার্ভ গণনায় বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন তহবিলের পাশাপাশি বিমানকে দেওয়া ঋণ গ্যারান্টি, পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া ঋণ, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকে আমানত এবং নির্দিষ্ট গ্রেডের নিচে থাকা সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ রিজার্ভের অন্তর্ভুক্ত নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক আগে এগুলোকেও রিজার্ভ হিসাবে দেখিয়ে আসছিল।

এসব হিসাব বাদ দেওয়ার কারণে রিজার্ভ থেকে ৫ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার কমে যায়। তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। তবে তা প্রকাশ করা হয় না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেই হিসাবে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এখন যে পরিমাণ প্রকৃত রিজার্ভ আছে, তা দিয়ে শুধু ৩ মাসের আমদানি খরচ মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশে ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সংকটের কারণে রিজার্ভ থেকে বাজারে প্রচুর ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া এ মাসে আকুর বিলও পরিশোধ হয়েছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম-এসব কারণেই মূলত রিজার্ভ কমছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/////

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *