পণ্য রফতানিতে রেকর্ড: প্রবৃদ্ধি ৪৮ শতাংশ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনার ধাক্কা কাটিয়ে দ্বিগুণ গতিতে ছুটতে শুরু করেছে দেশের রফতানি খাত। সদ্যসমাপ্ত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ থেকে ৪৯০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। তাতে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় পণ্য রফতানিতে ৪৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ২ হাজার ৪৭০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এ আয় ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি।

অন্যদিকে একক মাস হিসাবে ডিসেম্বরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সঙ্গে প্রবৃদ্ধিও হয়েছে। অক্টোবর মাসে ৪৯০ কোটি ৭৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার সমমূল্যের পণ্য রফতানি হয়েছে। একক মাসে এত বেশি রফতানি আয় আর কখনও দেশে আসেনি, যা একক মাসে রেকর্ড আয়। এর আগে গত অক্টোবরে ৪৭২ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছিল। রোববার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ইপিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ হাজার ১৩৮ কেটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ২ হাজার ৪৬৯ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। এ ছাড়া গত বছরের একই সময়ে আয় হয়েছে ১ হাজার ৯২৩ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ ছাড়া একক মাস ডিসেম্বরে মাসে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সঙ্গে প্রবৃদ্ধিও হয়েছে। এ মাসে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৯১ কোটি ২০ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ৪৯০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় বেড়েছে ২৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ ছাড়া গত বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ৩৩০ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৮ দশমিক ২৭ শতাংশ।

ইপিবি সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে তৈরি পোশাক খাতে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৭২৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ১ হাজার ৯৯০ কোটি ৭ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৮ দশমিক ০২ শতাংশ। পাশাপাশি হিমায়িত খাদ্য খাতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। আয় হয়েছে ৩৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আয় বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ ছাড়া গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২১ দশমিক ২ শতাংশ।

মোট রফতানি আয়ের মধ্যে ৮০ দশমিক ৫৭ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক থেকে। এর মধ্যে নিট পোশাক থেকে এসেছে ১ হাজার ১৬৬ কোটি ১৬ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৩১ শতাংশ। লক্ষ্যের চেয়ে বেশি এসেছে ১৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ওভেন পোশাক থেকে এসেছে ৮৭৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আয় বেড়েছে ২৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *