বড় বিনিয়োগের ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন আদানি

230347kalerkantho-2--2019-02-10-5স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

ঝুঁকি নিতে ভালোবাসেন ভারতের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানি। তাই তো শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়াসহ আরো অনেক দেশেই বড় বড় বিনিয়োগ করছেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশে আরেকটি যৌথ বিনিয়োগ নিয়ে এসেছেন এ উদ্যোক্তা। সিঙ্গাপুরের উইলমার গ্রুপের সঙ্গে মিলে আদানি গ্রুপ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে ১০০ একর জমি ইজারা পেতে বেজার সঙ্গে সম্প্রতি একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ শিল্পনগরে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকায় ১১টি কারখানা স্থাপন করা হবে। ভারতের গুজরাটেও আগামী পাঁচ বছরে ৫৫ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন গৌতম আদানি। এ অর্থে গড়ে তোলা হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোলার পার্ক, তামার কারখানা, সিমেন্ট ইউনিট এবং লিথিয়াম ব্যাটারি তৈরির কারখানা। ঘোষণা দিয়েছেন পেট্রোকেমিক্যাল ব্যবসা শুরু করার। জার্মানির একটি কম্পানির সঙ্গে অংশীদারির ভিত্তিতে এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে ১৬ হাজার কোটি রুপি। এ ছাড়া মান্দ্রায় গড়ে তোলা হবে একটি ১জিডাব্লিউ ডাটা সেন্টার। গুজরাট রাজ্যের মান্দ্রা বন্দর পরিচালনারও দায়িত্বে রয়েছে আদানি গ্রুপ।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নবম ভাইব্র্যান্ট গুজরাট সম্মেলনে আদানি আরো জানান, গত পাঁচ বছরে গুজরাটে তাঁর কম্পানির বিনিয়োগ ৫০ হাজার কোটি রুপি অতিক্রম করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের বিনিয়োগ আরো বাড়াচ্ছি। এসব প্রকল্প থেকে কর্মসংস্থান আসবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৫০ হাজারের বেশি।

কৃষিপণ্য থেকে আদানি গ্রুপের ব্যবসা শুরু হলেও বর্তমানে দেশের বড় বড় প্রায় সব ব্যবসায় রয়েছে আদানির অংশগ্রহণ। অবকাঠামো নির্মাণ থেকে শুরু করে কয়লা খনি, লজিস্টিকস, বন্দর, শিপিং, জ্বালানি, কৃষি ও খাদ্যপণ্য, কোল্ড স্টোরেজ, রিয়েল এস্টেট, পরিবহন, প্রতিরক্ষাসহ আরো নানা খাতে এ কম্পানির ব্যবসা রয়েছে।

গৌতম আদানির ক্যারিয়ার জীবনের শুরুটাও হয়েছিল ঝুঁকির মধ্য দিয়ে। বাবা টেক্সটাইলের ব্যবসা করতেন। তিনি কলেজের পড়াশোনা শেষ করে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে ভর্তি হলেও ব্যবসার প্রতি আগ্রহ থেকে দ্বিতীয় বর্ষেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়েন। তবে বাবার টেক্সটাইল ব্যবসায় নয়, বরং ১৯৭৮ সালে মুম্বাইয়ে মাহেন্দ্রা ব্রাদার্সের ডায়মন্ড কম্পানিতে কাজ শুরু করেন। মাত্র দুই-তিন বছর কাজ করেই ১৮ বছর বয়সে তিনি নিজেই একটি ডায়মন্ড ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এরপর একজন মিলিয়নেয়ারে পরিণত হলেও ১৯৮১ সালে আহমেদাবাদে ভাইয়ের প্লাস্টিক কারখানা পরিচালনার দায়িত্ব নেন। ১৯৮৫ সালে নিজেই প্লাস্টিকের কাঁচামাল আমদানি শুরু করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি আদানি এক্সপোর্টস লিমিটেড গড়ে তোলেন, যা বর্তমানে আদানি এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেড নামে পরিচিত, আদানি গ্রুপের মূল কম্পানি। তিনি গুজরাটের আহমেদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৬২ সালে।

ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসাব অনুযায়ী গৌতম আদানির সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৮.৭ বিলিয়ন ডলার। ২০১৭ সালে ইন্ডিয়া টুডের জরিপে ভারতের চতুর্থ প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হন। তিনি আদানি ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট। এ প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে মানবহিতৈষী অনেক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। ইকোনমিক টাইমস, লাইভমিন্ট, উইকিপিডিয়া।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *