সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংকের এমডিদের তথ্য চায় দুদক

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

রাষ্ট্রমালিকানাধীন দুই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস আগে তাঁদের দুর্নীতির খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁরা হলেন সোনালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধান ও অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম। দুদক চিঠি দিয়ে তাঁদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য চেয়েছে।

সোনালী ব্যাংকের এমডির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রূপালী ব্যাংকের এমডি থাকাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৪ কোটি টাকা খরচ করেছেন। আর অগ্রণী ব্যাংকের এমডির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঘুষ ও অবৈধ সুবিধা দিয়ে ঋণ প্রদানসহ নিয়োগ ও বদলি-বাণিজ্য করে অর্জিত অবৈধ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। এ জন্য অগ্রণী ব্যাংকের এমডি ও তাঁর স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তলব করেছে দুদক। আর সোনালী ব্যাংকের এমডির বিষয়ে তথ্য চেয়ে রূপালী ব্যাংকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

দুজনই প্রায় ছয় বছর ধরে এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিন বছর রূপালী ব্যাংকের এমডি পদে দায়িত্ব শেষে ২০১৯ সালের ২০ আগস্ট নতুন করে তিন বছরের জন্য সোনালী ব্যাংকের এমডির দায়িত্ব পান আতাউর রহমান প্রধান। একই দিনে অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ শামস-উল ইসলামকে দ্বিতীয় দফায় একই পদে বহাল রাখা হয়। ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট তাঁরা এমডি হিসেবে প্রথম নিয়োগ পেয়েছিলেন।

সোনালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তিনি ব্যাংকিং নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে খেলাপি গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি টাকা কমিশন নিয়ে ঋণ পুনঃতফসিল করেছেন। এর মাধ্যমে ক্ষতিতে পড়েছে ব্যাংক। সেই টাকা পাচার করে বাড়ি কিনেছেন। এ জন্য রূপালী ব্যাংকের কাছে বেশ কিছু নথিপত্র চেয়েছে দুদক। তার মধ্যে রয়েছে ঢাবির সিনেট নির্বাচন উপলক্ষে খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের অফিস আদেশ ও নির্বাচন উপলক্ষে খরচের বিল, খুলনা শাখার গ্রাহক ক্রিসেন্ট জুট মিল এবং স্থানীয় শাখার গ্রাহক বিউটিফুল জ্যাকেট ও দি বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসের সব ধরনের নথিপত্র। এ ছাড়া আতাউর রহমান প্রধান এমডি থাকাকালে রূপালী ব্যাংকে যত কর্মচারী নিয়োগ হয়েছে, সেই নথিও চেয়েছে দুদক।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *