‘হিস্টোরিক্যাল কস্ট বেসিস’ পদ্ধতিতে সামিটের সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন

summitনিজস্ব প্রতিবেদক :

সামিট গ্রুপের তালিকাভুক্ত সামিট পাওয়ারের সঙ্গে একই গ্রুপভুক্ত তিন বিদ্যুৎ কোম্পানি একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় সম্পদ পুনর্মূল্যায়নের ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মানা হয়নি। হাইকোর্টে অনুমোদিত একীভূতকরণ স্কিমে সম্পদ পুনর্মূল্যায়নে ‘কারেন্ট কস্ট প্রাইস বেসিস’ পদ্ধতি ব্যবহারের শর্ত দেওয়া হলেও একীভূত হওয়া তিন কোম্পানি ‘হিস্টোরিক্যাল কস্ট বেসিস’ পদ্ধতি অনুসরণ করেছে। ফলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির যন্ত্রপাতির অবচয়জনিত ক্ষতি না ধরায় সম্পদমূল্য বেড়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর শেয়ারহোল্ডাররা সামিট পাওয়ারের বেশি শেয়ার নিয়েছেন।

সামিট পাওয়ারের একীভূতকরণের বিষয়ে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি গঠিত তদন্ত কমিটি এমন মতামত দিয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, কমিশনের এনফোর্সমেন্ট বিভাগ আগামী ১৫ ডিসেম্বর এ বিষয়ে এক শুনানিতে উপস্থিত হয়ে সামিটের পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কোম্পানি সচিবসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলেছে। একই বিষয়ে দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদকেও ব্যাখ্যা দিতে শুনানিতে ডেকেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এ বিষয়ে সামিট পাওয়ারের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা স্বপন কুমার পাল বলেন, বিএসইসি থেকে একীভূতকরণ কার্যক্রম নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তাদের শুনানিতে ডেকেছে। শুনানিতেই সামিটের অবস্থান তুলে ধরা হবে। এ মুহূর্তে এর থেকে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তালিকাভুক্ত সামিট পাওয়ারের সঙ্গে একই গ্রুপের তালিকাভুক্ত সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার (বর্তমানে তালিকাচ্যুত) এবং অপর দুই কোম্পানি সামিট নারায়ণগঞ্জ পাওয়ার ও সামিট উত্তরাঞ্চল পাওয়ার একীভূত হয়।

বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, সামিটের একীভূতকরণ প্রক্রিয়াটি পরীক্ষা করতে গিয়ে তারা দেখেছেন, উচ্চ আদালত সম্পদ পুনর্মূল্যায়নের যে পদ্ধতি অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন কোম্পানিগুলো তা অনুসরণ করেনি। একীভূতকরণ কার্যক্রমের অনিয়ম উদঘাটনে গঠিত কমিশনের তদন্ত কমিটিও এমন তথ্য পেয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, একীভূত হওয়া কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ খাতের হওয়ায় এগুলোর সম্পদের প্রধান অংশই বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। যে কোনো যন্ত্রের মেয়াদ নির্দিষ্ট থাকে এবং বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে অবচয় হিসাবের কারণে দাম কমতে থাকে। এ কারণে ‘কারেন্ট কস্ট প্রাইস বেসিস’ পদ্ধতিতে যন্ত্রপাতির যৌক্তিক দর নির্ধারিত হয়। অথচ সামিটের কোম্পানিগুলো হিস্টোরিক্যাল কস্ট বেসিস পদ্ধতি অনুসরণ করেছে বলে তারা তথ্য পেয়েছেন। এতে একীভূত হওয়া কোম্পানির সম্পদমূল্য বেশি ধরা হয়েছে। সে অনুযায়ী বেশি শেয়ার ইস্যু করা হয়েছে। এতে সামিট পাওয়ারের অতিরিক্ত মূলধন বেড়েছে। এতে কোম্পানিটির পুরনো শেয়ারহোল্ডাররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

স্ককমার্কেটবিডি.কম/এমএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *