স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :
দেশের অর্থনীতির আকার আগামী অর্থবছরের মধ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, অর্থনীতির আয়তন ১০০ বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করতে স্বাধীনতার প্রথম ৩৮টি বছর সময় লেগেছিল। তার বিপরীতে সেখানে মাত্র ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পরিকল্পনা ও তার সঠিক বাস্তবায়নের ফলে আমাদের অর্থনীতির আকার চারগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪১১ বিলিয়ন ডলারে স্পর্শ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, আগামী অর্থবছরেই তা ৫০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে।
রবিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি উদ্যাপন অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্য, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিসহ রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই মাইলফলক স্পর্শ করা সম্ভব হয়েছে। অর্থনীতির সব খাতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি বলেন, গত ১২ বছরে বাংলাদেশের অভাবনীয় অর্জন রূপকথার গল্পের মতোই। সারাবিশ্বে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এমনকি, করোনার সময় যখন সারাবিশ্বের অর্থনীতি ৩.১ শতাংশ সংকোচিত হয়েছে, সেই সময়ও বাংলাদেশের অর্থনীতির সকল সূচক ছিল উর্ধমুখী।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, গত ১২ বছরে আমাদের দারিদ্র্যের হার অর্ধেক হ্রাস পেয়েছে। শিক্ষার হার ৫৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। গত এক যুগে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান আমরা সৃষ্টি করেছি। এ সময় আমাদের মাথাপিছু আয় ৬৮৬ ডলার থেকে চারগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০৫৪ ডলার অতিক্রম করেছে। তিনি বলেন, আমাদের রেমিটেন্স আয় ৪.৯ বিলিয়ন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করেছে। পণ্য সেবা রফতানি তিনগুণ বেড়ে ৪৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীতি হয়েছে। তিনি আশা রেখে বলেন, আগামী অর্থবছরে দেশের রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬.১ বিলিয়ন ডলার থেকে সাতগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৪৭ বিলিয়ন ডলার।
আমাদের প্রত্যাশা, চলতি অর্থবছরে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আকার বেড়েছে। কোভিডের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা ভাল নয়, তারপরও বাংলাদেশ ভাল করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধামুক্ত উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তর করা হবে। তিনি বলেন, ২০৪১ সালে সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। জাতির পিতার স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/