বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভনর্র এস এম মনিরুজ্জামান বলেছেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এনজিওদের মাধ্যমে কৃষি ঋণ বাড়লেও স্বল্প সুদে তারা ঋণ পাচ্ছেন না। কৃষি ও পল্লী ঋণের নীতিমালা প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
এটা গত অর্থবছরের তুলনায় ৬.৮ শতাংশ বেশি। বিগত বছরে ব্যাংকগুলোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
বুধবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন ডেপুটি গর্ভনর এসএম মনিরুজ্জামান।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ বিতরণ করতে হবে শস্য খাতে,ন্যূনতম ১০ শতাংশ মৎস্য খাতে এবং প্রাণি সম্পদ খাতে ১০ শতাংশ বিতরণ করতে হবে। এছাড়াও কষি যন্ত্রপাতি, দারিদ্র বিমোচন ও অন্যান্য খাতে বাকি অর্থ বিতরণ করতে হবে।
ব্যাংকগুলোর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বাইরে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ৯৬১ কোটি টাকা কষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করবে। ব্র্যাক বিতরণ করবে ৬০০ কোটি টাকা।
লক্ষ্যমাত্রার ৫২ শতাংশ বিতরণ করবে বেসরকারি খাতের ব্যাংক, সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক বিতরণ করবে ৩০ শতাংশ, বিশেষায়িত ব্যাংক বিতরণ করবে ১৫ শতাংশ ও বিদেশি ব্যাংক বিতরণ করবে ৩ শতাংশ ঋণ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহ পরিচালক অশোক কুমার দে ও কষি ঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মনোজ কান্তি বৈরাগী বক্তব্য দেন।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড