৪৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে দেশের রিজার্ভ

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন (৪ হাজার ৫০০ কোটি) ডলারের নিচে নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১১৩ কোটি ১০ লাখ ডলারের আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪৪ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে, যা গত সাত মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। এই রিজার্ভ দিয়ে ছয় মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

হঠাৎ করে আমদানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় রিজার্ভ কমছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতির বিশ্লেষক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের নিম্নগতি রিজার্ভ কমার আরও একটি কারণ বলে জানিয়েছেন তারা।

বেশ কয়েক বছর ধরে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকে। একের পর এক রেকর্ড হয়। মহামারি করোনাকালে আমদানিতে ধীরগতি আর রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের ঊর্ধ্বগতির কারণে গত ২৪ আগস্ট বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে, যা ছিল অতীতের যে কোনও সময়ের চেয়ে বেশি।

সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে আকুর জুলাই-আগস্ট মেয়াদের আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। আমদানি বাড়ায় রিজার্ভ থেকে প্রয়োজনীয় ডলার চলে যাওয়ায় অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে তা ৪৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। রপ্তানি বাড়ায় গত এক মাসে তা খানিকটা বেড়ে ৪৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে ওঠে। বৃহস্পতিবার আকুর দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪৪ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, গত সেপ্টেম্বর মাসে ৬৯৯ দশমিক ৬০ কোটি (৭ বিলিয়ন) ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়েছে, যা এক মাসের হিসাবে অতীতের যে কোনও সময়ের চেয়ে বেশি। আর চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ১৮ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি।

রেমিট্যান্সের চার মাসের তথ্য প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) ৭০৫ কোটি ৫০ লাখ (৭ দশমিক ০৫ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ৮৮১ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। এ হিসাবে এই চার মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ২০ শতাংশ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *