সাবসিডিয়ারিতে ৯২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে মালেক স্পিনিং

malekনিজস্ব প্রতিবেদক :

উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে বস্ত্র খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি মালেক স্পিনিং মিলস লিমিটেডের সাবসিডিয়ারি জেএম ফ্যাব্রিকস লিমিটেড। এজন্য নিজ তহবিল ও ব্যাংকঋণ মিলিয়ে ৯২ কোটি ৬২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করবে তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানটি। মূল কোম্পানি সেখানে কোনো অর্থ সরবরাহ করবে না। গতকাল অনুষ্ঠিত এক সভায় সাবসিডিয়ারির এ পরিকল্পনা অনুমোদন করে মালেক স্পিনিংয়ের পর্ষদ।

কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, জেএম ফ্যাব্রিকস লিমিটেডের পর্ষদ নিজেদের বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা ১ কোটি ৩০ লাখ পিস বাড়াতে কারখানার সংস্কার, সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের (বিএমআরই) পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এর অংশ হিসেবে কারখানায় নতুন একটি প্রডাক্ট লাইন চালু করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর কোম্পানিটির বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ৪ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার পিস থেকে বেড়ে ৫ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার পিসে উন্নীত হবে। এছাড়া অধিক মূল্যসংযোজনের সুবাদে কোম্পানির মুনাফা মার্জিনও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

কোম্পানির কর্মকর্তারা জানান, জেএম ফ্যাব্রিকস লিমিটেডের ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ারের মালিক মালেক স্পিনিং। এ কারণে মালেক স্পিনিংয়ের আর্থিক প্রতিবেদনে সাবসিডিয়ারি কোম্পানিটির উৎপাদন সক্ষমতা, বিক্রি ও মুনাফার প্রভাব পড়বে। প্রস্তাবিত ব্যবসা সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় ব্যয়িতব্য ৯২ কোটি ৬২ লাখ টাকা জেএম ফ্যাব্রিকসের নিজস্ব তহবিল এবং ব্যাংকঋণের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। এ প্রকল্পে মালেক স্পিনিং মিলস কোনো অর্থ সরবরাহ করবে না।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৬ সালের মে মাসে মালেক স্পিনিং জানায়, কারখানার বিএমআরইর পাশাপাশি সাবসিডিয়ারির সক্ষমতা বাড়াতে মোট ১৭৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছেন কোম্পানির উদ্যোক্তারা। এর মধ্যে বিএমআরই প্রস্তাব-১-এর আওতায় ৩২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা মালেক স্পিনিং কারখানার স্থাপনা সংস্কার ও যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনে ব্যয় করা হবে। এতে পণ্যের মানের পাশাপাশি উৎপাদন সক্ষমতাও বাড়বে। ব্যাংক বা অন্য কোনো উত্স থেকে প্রকল্পের অর্থসংস্থান করা হবে।

এর বাইরে সাবসিডিয়ারি সালেক স্পিনিং মিলস লিমিটেডের বস্ত্র ইউনিট সম্প্রসারণের জন্য ১৪৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। নিজস্ব তহবিল কিংবা ঋণ থেকে এ প্রকল্পে অর্থসংস্থান করবে সালেক স্পিনিং। এজন্য মূল প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো পুঁজি সংগ্রহ করবে না তারাও। সালেক স্পিনিংয়ের ৯৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে মালেক স্পিনিংয়ের কাছে।

এদিকে মালেক স্পিনিংয়ের গত পাঁচ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১১-১২ হিসাব বছরে ২৯৬ কোটি ৬১ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৫-১৬ হিসাব বছরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা। পাঁচ বছরের বিক্রি কমেছে ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। তাছাড়া ২০১১-১২ হিসাব বছরে ৩৫ কোটি ১২ লাখ টাকা নিট লোকসানের বিপরীতে ২০১৫-১৬ হিসাব বছরে ১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা নিট মুনাফা করেছে কোম্পানিটি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *