সিএসইর সাথে ইউএফটিসিএলের চুক্তি

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং ইউনাইটেড ফাইনান্সিয়াল ট্রেডিং সিকিউরিটিজ (ইউএফটিসিএল) এর মধ্যে এপিআই শেয়ারিং চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে ইউএফটিসিএল তার গ্রাহকদের সেবা প্রদানে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।

আজ রবিবার সিএসই তার ঢকাস্থ অফিসে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।

এই দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সিএসই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন-উর-রশিদ এবং ইউএফটিসিএল এর চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি সই করেন।

সিএসই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, পর্যায়ক্রমে সব ডুয়েল ট্রেকহোল্ডার কোম্পানীসমূহকে এই সেবা গ্রহণের আওতায় আনার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এই চুক্তির মাধ্যমে সিএসই এবং ইউএফটিসিএল মধ্যকার বন্ধন আরো দৃঢ় হলো এবং সামনে কাজ করার ক্ষেত্র আরো প্রসারিত হয়েছে।

এছাড়া সিএসই এর উপ-মহাব্যবস্থাপক এবং আইটি সার্ভিসেস এর প্রধান হাসনাইন বারী, ইউএফটিসিএল পরিচালক হাসান জাবেদ চৌধুরী এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যে বেশ কিছু ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি মিলেনিয়াম ম্যাচিং ইঞ্জিনে এপিআই (এপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস) এর সাথে সংযোগ নিয়ে নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (ওএমএস) মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য সিএসইতে আবেদন করে। এর মধ্যে ০৪ টি ট্রেকহোল্ডার কোম্পানি এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো শীর্ষ ব্রোকারেজ লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং সিএসই গত ২০১৫ সালে প্রথম এই চুক্তি সম্পাদন করে এবং লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড সফলতার সাথে নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (ওএমএস) এর মাধ্যমে সিএসইতে লেনদেন সম্পন্ন করে আসছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

লেনদেনের শীর্ষে বেক্সিমকো লিমিটেড

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক:

দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, আজ বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির ১২৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক যার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকার।

তৃতীয় স্থানে বেক্সিমকো ফার্মা শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার।

লেনদেনের তালিকার কোম্পানিগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের ৪৫ কোটি ২১ লাখ টাকা, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের ৪২ কোটি ৬৯ লাখ টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৩৪ কোটি ১৯ লাখ টাকার, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ৩০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, ওরিয়ন ফার্মার ২৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, শাইন পুকুর সিরামিক্সের ২৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড লেনদেন হয় ২২ কোটি ৬২ লাখ টাকার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

  1. বেক্সিমকো লিমিটেড
  2. আইএফআইসি ব্যাংক
  3. বেক্সিমকো ফার্মা
  4. বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল
  5. লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ
  6. লংকা বাংলা ফাইন্যান্স
  7. স্কয়ার ফার্মা
  8. ওরিয়ন ফার্মা
  9. শাইন পুকুর সিরামিক্স
  10. ওয়ালটন হাই-টেক লিমিটেড।

ডিএসইতে লেনদেন ১৫’শ কোটি টাকার উপরে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দিনের শেষে লেনদেন ও সূচক বেড়েছে। তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেন কমলেও সূচক বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়

রবিবার দিন শেষে ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০৯.৯০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫৩২৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ২৩.১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২২৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৮.৯৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৯১৫ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৫৩৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার সেখানে লেনদেনের পরিমাণ ১৪০৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

ডিএসইতে আজ ৩৬২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ২৩৮টির শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ৬৫টির। আর দর অপরিবর্তিত আছে ৫৯টির।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, লংকা বাংলা ফাইন্যান্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ওরিয়ন ফার্মা, শাইন পুকুর সিরামিক্স ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

অন্যদিকে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ৩৭০.৫২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৫ হাজার ৩৫৯ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ২৮৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৪টির, কমেছে ৫৮টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার সেখানে লেনদেন হয়েছে ৭৩ কোটি ১২ লাখ টাকা।

দিনশেষে সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে শাইন পুকুর সিরামিক্স ও রবি লিমিটেড।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

উড়োজাহাজ ‘ধ্রুবতারা’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি।

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক:

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে সদ্য যুক্ত হওয়া সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসংবলিত ড্যাশ ৮-৪০০ ধ্রুবতারা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উড়োজাহাজটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।

এ উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী মাহাবুব আলীসহ সংশ্লিষ্টরা। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

বিমানের বহরে এরইমধ্যে যুক্ত হওয়া প্রতিটি উড়োজাহাজের নামকরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের মধ্যে জি-টু-জি ভিত্তিতে কেনা তিনটি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজের প্রথমটি হচ্ছে এই ‘ধ্রুবতারা’।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে সদ্য যুক্ত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির উড়োজাহাজ ‘ধ্রুবতারা’। ছবি: সংগৃহীত।

কানাডার উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড নির্মিত ৭৪ আসনবিশিষ্ট ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজটি পরিবেশবান্ধব এবং অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ। নতুন উড়োজাহাজটি সংযোচিত হওয়ায় বিমান বহরে বিদ্যমান মোট উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৯টি। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর, চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮, দুটি বোয়িং ৭৮৭-৯, ছয়টি বোয়িং ৭৩৭ ও তিনটি ড্যাশ ৮-৪০০ উড়োজাহাজ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

‘চাল আমদানির শুল্ক ৬২.৫ থেকে কমিয়ে ২৫% করা হয়েছে’

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক:

চালের আমদানি শুল্ক এখনকার ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

রবিবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “চালের দাম নিয়ে ভোক্তাদের যাতে কষ্ট না হয়, আবার কৃষকও যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেজন্য নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় চাল আমদানির সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

আমদানির মাত্রা কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে, সেই ব্যাখ্যায় মন্ত্রী বলেন, “কেবল বৈধ আমদানিকারকরা ১০ জানুয়ারির মধ্যে মন্ত্রণালয়ে আমদানির আবেদন করবেন। সেখান থেকে মন্ত্রণালয় কাকে কী পরিমাণ আমদানি করতে দেবে সেই সিদ্ধান্ত জানাবে। অনুমোদন পাওয়ার পর কে কী পরিমাণ আমদানি করেছে সেই হিসাবও রাখা হবে।“

দেশের বাজারে চিকন চালের দাম এখন প্রতিবস্তা (৫০ কেজি) ৩২০০ টাকা থেকে ৩৪০০ টাকার মধ্যে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। খুচরায় প্রতিকেজি সরু চালের দাম পড়ছে ৬৪ টাকা থেকে ৬৬ টাকার মধ্যে। সরু চালের সাথে পাল্লা দিয়ে মাঝারি ও মোটা চালের দামও বেড়েছে। চালের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক রোববার সকালে এক অনুষ্ঠানে বলেন, “চালের দাম কেন এত বাড়বে, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। ১-২ টাকা বাড়াও কিন্তু অনেক বাড়া। সেখানে ৩২-৩৩ টাকার মোটা চাল ৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারণগুলো কি?”

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) গবেষণা বলছে, পরপর চার দফা বন্যায় এবার ধান উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাতে ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল কম উৎপাদন হতে পারে। কিন্তু তারপরও যে পরিমাণ চাল উৎপাদন হবে, তা দিয়ে আগামী জুন পর্যন্ত চাহিদা মিটিয়েও কমপক্ষে ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকার কথা।

এখন আমনের ভরা মৌসুম চললেও ধান ও চাল-দুটোরই দাম গতবছরের তুলনায় বেশি। সরকারের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে নাজিরশাইল ও মিনিকেটের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। আর ইরি বা স্বর্ণার মত মোটা চালের দাম ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়েছে। মাঝারি মানের চাল পাইজাম বা লতার দাম বেড়েছে ১৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ২৩ ডিসেম্বরের যে তথ্য দেওয়া আছে, তাতে সরকারি গুদামগুলোতে মোট ৭ দশমিক ৪৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে। এর মধ্যে চাল ৫ দশমিক ৪২ লাখ মেট্রিক টন এবং গম ২ দশমিক ৪ লাখ মেট্রিক টন। চালের মজুদের এই পরিমাণ গত বছরের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। এই পরিস্থিতিতে ওএমএস, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, রেশনসহ অন্যান্য সরকারি প্রয়োজনে দরপত্র ও জিটুজি ভিত্তিতে চাল আমদানি করছে সরকার। ইতোমধ্যে ভারতের বাজার থেকে ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে এক লাখ টন আল আমদানি শুরু করেছে সরকার। সর্বমোট চার লাখ টন চাল সরকারিভাবে আমদানির দরপত্র সচল হয়েছে বলে সাংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। উপজেলা শহরের হাটবাজারগুলোতে ধানের দামও ‘বেশ বাড়তি’ জানিয়ে তিনি বলেন, এতে কৃষক ‘কিছুটা লাভবান’ হচ্ছেন।

“আমরা প্রতিমণ ১০৪০ টাকা করে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার জন্য বাজার উন্মুক্ত রেখেছি। কিন্তু বাজারে এখন ধানের দাম ১২০০ টাকা। কৃষক সরকারের কাছে না বিক্রি করে বেশি দামে অন্যত্র বিক্রি করছে।”

এ বছর সরকার ৩৭ টাকা কেজি দরে চাল এবং ২৬ টাকা কেজি দরে ধান কিনছে। কিন্তু খোলা বাজারে কৃষক আরও ভালো দাম পাওয়ায় ওই দামে ধান কিংবা চাল কিনতে পারেনি সরকার। চুক্তিবদ্ধ মিলাররাও লোকসানের কথা বলে চাল সরবরাহ থেকে বিরত থেকেছে।

এ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা কারও হুমকির কাছে মাথা নত করব না। তাদের হুমকি নিয়ে তারা থাকুক। সময় সুযোগ হলে কৃষকের কাছ থেকে ১৫/২০ লাখ টন ধান কিনে বাজার নিয়ন্ত্রণ করব।”

বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হলেও তা আগামী বোরো মৌসুমের আগেই থামিয়ে দেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত দেন খাদ্যমন্ত্রী। “আমদানি প্রক্রিয়াটা হবে অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত। আগামী বোরোর সিজনের আগ পর্যন্ত যা প্রয়োজন তাই অনুমোদন দেওয়া হবে।”

বিশেষ পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হলেও দেশে ‘পর্যাপ্ত মজুদ’ রয়েছে বলে দাবি করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।

মন্ত্রী বলেন, দেশে ১৯ হাজার ৭৩৪টি চালকল বা চাতাল রয়েছে। প্রতিটি চাতালে ৫০০ থেকে এক হাজার বস্তা চালের মজুদ থাকে। ছোট ছোট মুদি দোকানগুলোতেও ৫/১০ বস্তা চাল মজুদ থাকে।

“সেই হিসাবে দেশে এখনও (সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে) ৩০ লাখ টন চাল মজুদ রয়েছে বলে আমরা হিসাব করছি। কিন্তু বাজার স্বাভাবিক রাখার জন্য আরও প্রয়োজন।”

সচিব বলেন, “চলতি অর্থবছরে চাহিদার তুলনায় ২৯ লাখ টন ধান বেশি উৎপাদন হয়েছে। আমাদের কোনো ঘাটতি নেই। বিদেশ থেকে আমদানি করছি ব্যালেন্স করার জন্য। আমাদের ভোক্তাকেও দেখতে হবে আবার কৃষককেও দেখতে হবে।” দেশে চালের দাম বাড়া-কমা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হলেও কোন মাসে কেমন ন্যায্যমূল্য হওয়া উচিত তার কোনো ‘মানদণ্ড’ ঠিক করা নেই বলে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “বাজারে ধান চাল কী মূল্যে বিক্রি হলে পরে ক্রেতা, কৃষক কিংবা মিল মালিক লাভবান হবে তার কোনো স্ট্যান্ডার্ড ঠিক করা নেই। এটা ঠিক করার জন্য গত ২৩ ডিসেম্বর বাণিজ্যমন্ত্রণালয়, অর্থমন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় ও খাদ্যমন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে একটি নীতিমালা সুপারিশ করবেন আচিরেই।“

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

সাইফ পাওয়ারের এজিএমের সময় পরিবর্তন

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সেবা ও আবাসন খাতের কোম্পানি সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) সময় পরিবর্তন করেছে। কোম্পানিটির এজিএম আগামী ২৯ ডিসেম্বর সকাল ৪টা ৩০ মিনিট অনুষ্ঠিত হবে। সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পরিচালনা বোর্ডের সভায় ১৭ তম এই এজিএমটির সময় অনিবার্যকারণ বশত সময় পরিবর্তন করা হয়। এজিএমটি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে কোম্পানিটি ওইদিন সকাল ১১টায় এজিএমের ঘোষণা দিয়েছিল।

এজিএমের অন্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

ডিএসইতে ২ ঘন্টায় ৮’শ কোটি টাকার লেনদেন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ লেনদেন চলছে সূচকের ওঠানামার মধ্য দিয়ে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আজ রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল ১২টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স ৯৭.০৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫৩১৫ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২১.৪৭ পয়েন্ট বেড়ে ১২২৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৬.৯৪ পয়েন্ট বেড়ে ১৯১৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এ সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ৭৯৯ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার। আর লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩৩টির, কমেছে ৫৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দর।

এদিকে লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা পর সকাল ১২টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ৩২০.৫৪ বেড়ে ১৫ হাজার ৩০৯ পয়েন্টে অবস্থান করে।

সকাল ১২টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার। এই সময়ের ১৫৩টিরদাম বেড়েছে, কমেছে ২৭টি। আর ৩৫টি শেয়ারের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

২০২০ সালে ১৫টি কোম্পানির আইপিও অনুমোদন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

গত বছর (জানুয়ারি-ডিসেম্বর,২০) ১৫টি কোম্পানিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আইপিওতে শেয়ারবাজারে আসা বড় কোম্পানিগুলো হচ্ছে- রবি আজিয়াটা লিমিটেড, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড, লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড,মীর আক্তার হোসেন লিমিটেড, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ সহ ১৫ কোম্পানি।

এগুলোর মধ্যে বরি আজিয়াটা শেয়ারবাজার থেকে সবচেয়ে বেশি ৫২৩ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড এবং লুব-রেফ (বাংলাদেশ)। কোম্পানি দুটি শেয়ারবাজার থেকে আইপিওর মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকা করে উত্তোলন করবে।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে মীর আক্তার হোসাইন লিমিটেড। কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে ১২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।

আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তলনের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে দেশের চতুর্থ প্রজন্মের ব্রাংক এনআরবিসি কমার্শিয়ার ব্যাংক লিমিটেড। কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে ১২০ কোটি টাকা উত্তোলন করার জন্য অনুমোদন পেয়েছে।

পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে দেশের ইলেক্ট্রকিন পণ্য উৎপাদনে জায়ান্ট কোম্পানি ওয়াল্টন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে।

এছাড়াও ইন্ডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৫০ কোটি টাকা,এসোসিয়েট অক্সিজেন ১৫ কোটি টাকা,এএফসি হেলথ্ ১৭ কোটি টাকা,ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেম ৩০ কোটি টাকা,ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স ১৬ কোটি টাকা এবং তৌফিকা ফুডস এন্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৩০ কোটি টাকা, সোঁনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ১৯ কোটি টাকা, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ১৬ কোটি টাকা শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলন করবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএস

হেলথ কেয়ার হিরোদের সংবর্ধনা দিলো ওয়ালটন

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনা মহামারি মোকাবিলায় জীবন বাজি রেখে চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংবর্ধনা দিয়েছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।

শুক্রবার (ডিসেম্বর ২৫) বিকালে রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে ‘হেলথ কেয়ার হিরোস’ শীর্ষক এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়।

করোনা মহামারি মধ্যে জীবন বাজি রেখে দায়িত্ব পালনকারী দেশের সকল চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞাস্বরূপ ৩০ জন চিকিৎসক ও ৫ জন নার্সকে সম্মাণনা ক্রেস্ট দেয় ওয়ালটন। সেইসঙ্গে প্রত্যেককে দেয়া হয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিন। দায়িত্ব পালনের সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী দুই চিকিৎসকের পরিবারকে দেয়া হয় ১ লাখ টাকা করে।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে নিজের জীবন বাজি রেখে করোনাভাইরাস মহামারির বিভিষীকাময় পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরইমধ্যে দায়িত্ব পালনের সময় কয়েক হাজার চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছে ১৫৯ জন চিকিৎসক। তাদের এই বিশাল আত্মত্যাগ প্রশংসার দাবিদার। আর তাই প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতা থেকে হেলথ কেয়ার হিরোদের সংবর্ধনার দেয়ার এই উদ্যোগ। যারা সংবর্ধনা পেলেন তার বাইরে দেশের সকল ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও টেকনিশিয়ানদেরকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছে ওয়ালটন।

করোনা মহামারিতে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশাল ত্যাগের কথা বিবেচনা করে তাদেরকে বিশেষ সম্মাণনা দেয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ দেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। তিনি আশা করেন- ওয়ালটনকে অনুসরণ করে অন্যান্য ব্যবাসয়িক প্রতিষ্ঠানগুলোও আগামীতে এ ধরণের প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিবে।

অনুষ্ঠানে চিকিৎসক ও নার্সরা করোনা মহামারি মোকাবিলায় তাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশেষ সম্মাণনা দেয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, করোনা সংক্রমণের শুরুতেই সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ওয়ালটন। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাংবাদিকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিপুল পরিমান প্রোটেকটিভ স্যুট, মেডিক্যাল মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হেড কভার ও স্যু-কভার, সেফটি গগলস ইত্যাদি ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বা পিপিই সরবরাহ করেছে ওয়ালটন। করোনা লকডাউনের সময় ওয়ালটন প্লাজা ও পরিবেশকদের মাধ্যমে দেশের সর্বত্র খাদ্য সামগ্রীসহ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান বিতরণ করা হয়। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে তিন কোটি টাকা অনুদান প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকেও অর্থ সহায়তা দিয়েছে ওয়ালটন। প্রত্যেক কর্মীর চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি লকডাউনের শুরুতেই কর্মীদের মধ্যে ৭৭ কোটি টাকা প্রফিট বোনাস দিয়েছে ওয়ালটন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি’র সভাপতি খ্যাতনামা চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেনসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসক, পরিচালক ও নার্স।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/