এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের বাৎসরিক বোর্ড সভা আহবান

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান এশিয়া ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বাৎসরিক বোর্ড সভা আগামী ২৬ এপ্রিল আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র থেকে জানা যায়, সেদিন বেলা ২:৩০ টায় রাজধানীর বাংলামোটরে বিমাটির প্রধান কার্যালয়ে বোর্ড সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

আসন্ন বোর্ড সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ১৯(১) অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০২১ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।

এ সভায় বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হবে। এছাড়া রেকর্ড ডেট ও এজিএমের দিন ঘোষণা করা হবে।

এ বোর্ড সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করবে বিমাটি। গত বছর বিমাটি ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেছিল।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি

তৃতীয় প্রান্তিকে ডরিন পাওয়ারের মুনাফা বেড়েছে ১২১ শতাংশ

স্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত জ্বালানী ও শক্তি খাতের কোম্পানি ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস এন্ড সিস্টেমস লিমিটেডের চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা ১২১ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর পরবর্তী মুনাফা এসেছে ৫৫ কোটি ১ লাখ ৭৭ হাজার ১২৩ টাকা। যা গত বছর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির মুনাফা ছিল ২৪ কোটি ৯৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮৪২ টাকা। এসময় কোম্পানিটির মুনাফা গত বছরের তুলনায় ১২১ শতাংশ বেড়েছে।

আর চলতি বছরের ৯ মাস শেষে কোম্পানিটির কর পরবর্তী মুনাফা অর্জন হয়েছে ১৩৪ কোটি ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৭৮৬ টাকা। যা গত বছরের এই ৯ মাসে এই মুনাফা ছিল ৮৭ কোটি ৫১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫৯ টাকা।

আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের এই প্রান্তিকে (জানুয়ারি – মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩.৩৮ টাকা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১.৫৩ টাকা। এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে।

চলতি বছরের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮.২৪ টাকা। গত বছরের এ সময়ের কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৫.৩৮ টাকা। এসময় কোম্পানিটির আয় গত বছরের তুলনায় বেড়েছে।

এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদের মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫১.০৮ টাকা। যা গত ২০২১ সালের ৩০ জুন ছিল ৪৩.২২ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

৬ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট আসছে

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

করোনা পরবর্তী অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রাথমিকভাবে ৬ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকার সম্ভাব্য বাজেট প্রাক্কলন করা হয়েছে, যা মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ৭৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা।

রবিবার (১৭ এপ্রিল) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

অর্থমন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রাক্কলন করা হয়েছে। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক্কলিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম এবং বর্তমান সরকারের টানা ১৪তম এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের চতুর্থ বাজেট। আসন্ন বাজেটে প্রাক্কলিত জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি
আগামী বাজেটে ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রাক্কলন করা হযেছে। চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের জিডিপির আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪৪ লাখ ১৭ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

রাজস্ব আদায়
আগামী অর্থবছরে সম্ভাব্য রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছর মোট আয় ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। ফলে আগামী বাজেটে মোট আয় বাড়ছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের মধ্যে এনবিআরকে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি জিডিপির প্রায় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছর এনবিআরকে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া আছে। সে হিসেবে লক্ষ্যমাত্রা ৪০ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে প্রস্তাব করা হবে নতুন অর্থবছরের বাজেটে।

এছাড়া আগামী বাজেটে মোট আয়ের মধ্যে এনবিআর বর্হিভূত খাত থেকে আয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। কর বহির্ভূত রাজস্ব ধরা হয়েছে ৪৭ হাজার কোটি টাকা।

বাজেটের ঘাটতি
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক্কলিত বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। সে হিসাবে বাজেট ঘাটতি বাড়ছে ২৮ হাজার ২৬০ কোটি টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/